প্রবাসী সাংবাদিকদের মূল্যায়ন
- আপডেট সময় : ০৬:৩৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩ ৬৬২ বার পড়া হয়েছে
খান লিটন, জার্মান থেকে: সময়ের প্রয়োজনে বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা দেড় কোটি প্রবাসীদের মধ্যে সব দেশেই শখের বসে অনেকে বাংলা মিডিয়ায় কাজ করেন । দুই একটি মিডিয়া হাউস ছাড়া বেশীর ভাগই আমাদের বেতন বা সন্মানি দেন না । বেতন বা সন্মানি না দেওয়ায় কোন জবাবদিহিতা থাকে না । এমনকি নিউজে ক্রেডিট পর্যন্ত দিতে চায় না । নিউজ পাঠিয়ে দারোগা , হাবিলদার সবাইকে ফোন করতে হয় । বরং অনেক মিডিয়ার বার্তা সম্পাদক , এমনকি ভূঁইফোঁড্ মিডিয়ার মালিকও প্রবাসী শখের সাংবাদিকদের কাছ থেকে উপঢৌকন সহ নগদ টাকা নেন । বিএনপি মতালম্বী একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধান এই কাজের জন্য পুরস্কার পাওয়ার কথা ছিলো , কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তিনি চাকরি হারিয়ে এখন স্ট্রিট টক শো করেন । ঐ বার্তা প্রধান প্রবাসীদের টক শো করিয়ে ৪/৫ হাজার টাকা নিতেন । অন্য একটি টেলিভিশনের সিও তাদের প্রতিনিধি থাকা সত্বেও তার উপঢৌকন ও বেহেস্তের সুখ এই জনমে পাওয়ার জন্য যার তার নিউজ দিয়ে দেয়। তাছাড়া ঢাকা থেকে যারা দেশের বাইরে আসেন তখন উনারা নিজেদের মনে করেন মার্কটালি , আমরা হরলাল পোদ্দার । তারা মূলধারার সাংবাদিক , আমরা তাদের কৃপায় প্রবাসী চিঠিপত্র কলামের সাংবাদিক । এমনকি ইংল্যান্ডের সাংবাদিকরাও অমনটা ভাবেন , তবে সবাই না । তারা রোম, প্যারিস, লিসবন , বার্লিন বা জেনেভাকে এক ভাবে । তারা নিউজ খোঁজে না , রেভিনিউ খোঁজে । সরাসরি বলে, এই নিউজ প্রচার করে তাদের কি লাভ? জানিনা তারা নিউজ চ্যানেল না বিজ্ঞাপন চ্যানেল ! ভাল কথা , বিজ্ঞাপন না হলে চ্যানেল চলবে কি করে ! কিন্তু সব দেশ তো এক না । এই গেলো বাংলাদেশের বার্তা বিভাগ ও বিলেতি সাংবাদিকদের চোখে আমাদের মূল্যায়ন । অপরদিকে আমরা কমিউনিটির সংবাদই বেশী করে থাকি। কমিউনিটির অনেকে তাদের নিউজ সংগ্রহ করতে গেলে যাতায়াত খরচ ও পকেট মানি দেয় কৃপা করে । কিন্তু কোন কারনে যদি কারো নাম বা ছবি বাদ পরে , তাহলে সামনে পিছনে যেভাবে যে পারে সে আমাদের চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে । অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে যখন রাজনৈতিক নেতারা আসেন , তাদের উপঢৌকনে প্লেনের ওজন দিয়ে নিতে পারে না । অথচ ঐ নেতার সাথে তোলা ছবিটা প্রবাসী সাংবাদিকরাই তুলে ধরেন । অনেক অনুষ্ঠান আয়োজকরাই কোন সন্মানী দেয় না । কিন্তু তারা অনুষ্ঠানের অন্যান্য কাজে টাকা ব্যয় করেন কিন্তু একজন সাংবাদিককে তার যাতায়াত খরচ দিতে কার্পন্য করেন । একজন ইমাম এবং পূরোহিত যদি দোয়া পড়াইয়া ছদগা বা হাদিয়া নিতে পারেন তবে সাংবাদিককে তার পারিশ্রমিক কেন দেয়া হবে না বা দিতে চান না । ওকে, রহিম কে পারিশ্রমিক দিতে হয় , তাহলে করিমকে বলি । করিমও খুশী মনে রহিমকে দাওয়াত না দেওয়ায় মুখ চেপে হেসে জনে জনে বুম ধরে বিখ্যাত হয় । ওগোর তলা ( মুরগীর খোঁপ) বলা হয় আগরতলা । ঢাকা আর ইউকের সম্প্রচার এক না । প্রত্যেকটা প্রবাসী সংবাদকর্মী সে হোক মোবাইল সাংবাদিক আর ফেইসবুক সাংবাদিক বা ভুল বানানের সাংবাদিক , নরমাল কাজ করে আপনাদের তুলে ধরতে চেষ্টা করে । তাদের সহযোগীতা করুন প্লিজ , মূল্যায়ন করুন , তারা ভাল কিছু দিচ্ছে এবং দিবে । ভিডিও করে নিলেই নিউজ হয় না , নিউজ বানাতে কষ্ট করতে হয় , সময় নষ্ট হয় ।
ছবি-রোম ২০১১ ইংও কাতার ২০২৩ ইং।Note:- আমরা যারা কোন রাজনীতি করি , যেখানে সহকর্মীরা গৃহপালিত বানিয়ে রাখতে চেষ্টা করে।