ঢাকা ১২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

অপহরণ ও মানব পাচার চক্রের মূলহোতা সহ ৬ অপহরণকারী গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ৯০২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ কেন্দ্রিক অপহরণ ও মানব পাচার চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুলসহ ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৫টি, উখিয়া থানায় ১টি এবং ঈদগাঁও থানায় ১টি মোট ৭টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মেম্বারের ছেলে মুহিত কামাল(৩৪), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার হাফেজুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), নতুন পল্লান পাড়া এলাকার কাদির হোসের ছেলে রোহিঙ্গা হাবিকুল্লাহ প্রকাশ লালু(৩০), রামু দাড়িয়ারদীঘি এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ আব্বাস মিয়া প্রঃ জাহাঙ্গীর (৪০), রামু থৈয়ংগা কাটা এলাকার আব্দুল আলমের ছেলে সৈয়দুল আলম(২৪), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দার আব্দুস সালামের ছেলে তাহের হোসেন (২৫)।
র‍্যাবব সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফের একটি অপহরণ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনজিও এবং কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ দেওয়ার কথা বলে নিরীহ লোকদেরকে টেকনাফে নিয়ে এসে জিম্মি করে। পরবর্তীতে মায়ানমারের বিভিন্ন নাম্বারে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার থেকে কল দিয়ে ভিকটিম এর পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে থাকে।
কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গত ২৩ জুলাই র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি টীম গোপন সংবাদে জানতে পারে গত ২০ জুলাই তৌহিদ নামে এক যুবক কক্সবাজারের ঈদঁগাও উপজেলার পোকখালি এলাকার হামিদ হোসেনের এবং নিজামুদ্দিনকে রাজমিস্ত্রির কাজ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। পরে মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে ইমু নাম্বার থেকে ফোন করে প্রতিজন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। উক্ত ঘটনায় ২৩ জুলাই একটি অপহরণ মামলা হয় এবং পুলিশ তৌহিদকে গ্রেফতার করে। তৌহিদের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাবের আভিযানিক দল মূল চক্রকে গ্রেফতারের কাজ করছে। পরবর্তীতে গত ৭ আগস্ট সকালে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে অপহরণ চক্রের চকরিয়া-রামু-ঈদগাঁও এলাকার এজেন্ট সাইদুল আমিন এবং আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী এই চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুল ইসলামসহ আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ধুত অপহরণকারীরা জানায় কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভিকটিমদের কাজ দেওয়ার কথা বলে টেকনাফে এনে দুর্গম পাহাড়ে গুদামঘরে বন্দি করে রাখে। ভিকটিমের সংখ্যা ২০-২৫ জন হলে তাদেরকে মাছধরা বোটে করে সেন্টমার্টিন এ নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে মায়ানমারের অপহরণ চক্রের সদস্যরা মাছ ধরার বোটে করে তাদের মায়ানমারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মায়ানমারের নাম্বারে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার দিয়ে কল দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। স্থানীয় বিকাশ নাম্বারে মুক্তিপন এর টাকা প্রেরণ করা হলে তারা ভিকটিমকে মাছ ধরার বোটে করে আবার টেকনাফে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরোও বলেন, টেকনাফ সদর নতুন পল্লান পাড়া, লম্বরি এবং লেংগুর বিল এলাকার প্রত্যেক পরিবার এই অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত। এই অপহরণ চক্রের মূল হোতারা এলাকার লোকদেরকে টাকা দিয়ে প্রশাসনের কোন গাড়ি বা কোন সদস্যকে দেখলে সাথে সাথে whatsapp এ্যাপের মাধ্যমে গ্রুপে জানিয়ে দেয়।
গ্রেফতার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

অপহরণ ও মানব পাচার চক্রের মূলহোতা সহ ৬ অপহরণকারী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৩:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের টেকনাফ কেন্দ্রিক অপহরণ ও মানব পাচার চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুলসহ ৬ জন অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১৫ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃত অপহরণ চক্রের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় ৫টি, উখিয়া থানায় ১টি এবং ঈদগাঁও থানায় ১টি মোট ৭টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লান পাড়া এলাকার মৃত সিরাজ মেম্বারের ছেলে মুহিত কামাল(৩৪), একই ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার হাফেজুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৮), নতুন পল্লান পাড়া এলাকার কাদির হোসের ছেলে রোহিঙ্গা হাবিকুল্লাহ প্রকাশ লালু(৩০), রামু দাড়িয়ারদীঘি এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মোঃ আব্বাস মিয়া প্রঃ জাহাঙ্গীর (৪০), রামু থৈয়ংগা কাটা এলাকার আব্দুল আলমের ছেলে সৈয়দুল আলম(২৪), উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের বি ব্লকের বাসিন্দার আব্দুস সালামের ছেলে তাহের হোসেন (২৫)।
র‍্যাবব সুত্রে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফের একটি অপহরণ চক্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জায়গা থেকে এনজিও এবং কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ দেওয়ার কথা বলে নিরীহ লোকদেরকে টেকনাফে নিয়ে এসে জিম্মি করে। পরবর্তীতে মায়ানমারের বিভিন্ন নাম্বারে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার থেকে কল দিয়ে ভিকটিম এর পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে থাকে।
কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী বলেন, গত ২৩ জুলাই র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি টীম গোপন সংবাদে জানতে পারে গত ২০ জুলাই তৌহিদ নামে এক যুবক কক্সবাজারের ঈদঁগাও উপজেলার পোকখালি এলাকার হামিদ হোসেনের এবং নিজামুদ্দিনকে রাজমিস্ত্রির কাজ দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। পরে মিয়ানমারের সিম ব্যবহার করে ইমু নাম্বার থেকে ফোন করে প্রতিজন থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। উক্ত ঘটনায় ২৩ জুলাই একটি অপহরণ মামলা হয় এবং পুলিশ তৌহিদকে গ্রেফতার করে। তৌহিদের দেওয়া তথ্য মতে র‌্যাবের আভিযানিক দল মূল চক্রকে গ্রেফতারের কাজ করছে। পরবর্তীতে গত ৭ আগস্ট সকালে র‌্যাব-১৫ এর একটি দল তথ্য প্রযুক্তি মাধ্যমে অপহরণ চক্রের চকরিয়া-রামু-ঈদগাঁও এলাকার এজেন্ট সাইদুল আমিন এবং আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী এই চক্রের মূলহোতা মুহিত কামাল ও সাইফুল ইসলামসহ আরো ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, ধুত অপহরণকারীরা জানায় কক্সবাজারের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভিকটিমদের কাজ দেওয়ার কথা বলে টেকনাফে এনে দুর্গম পাহাড়ে গুদামঘরে বন্দি করে রাখে। ভিকটিমের সংখ্যা ২০-২৫ জন হলে তাদেরকে মাছধরা বোটে করে সেন্টমার্টিন এ নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে মায়ানমারের অপহরণ চক্রের সদস্যরা মাছ ধরার বোটে করে তাদের মায়ানমারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মায়ানমারের নাম্বারে রেজিস্ট্রেশনকৃত ইমু নাম্বার দিয়ে কল দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট মুক্তিপণ দাবি করে। স্থানীয় বিকাশ নাম্বারে মুক্তিপন এর টাকা প্রেরণ করা হলে তারা ভিকটিমকে মাছ ধরার বোটে করে আবার টেকনাফে নিয়ে এসে ছেড়ে দেয়।
তিনি আরোও বলেন, টেকনাফ সদর নতুন পল্লান পাড়া, লম্বরি এবং লেংগুর বিল এলাকার প্রত্যেক পরিবার এই অপহরণ চক্রের সাথে জড়িত। এই অপহরণ চক্রের মূল হোতারা এলাকার লোকদেরকে টাকা দিয়ে প্রশাসনের কোন গাড়ি বা কোন সদস্যকে দেখলে সাথে সাথে whatsapp এ্যাপের মাধ্যমে গ্রুপে জানিয়ে দেয়।
গ্রেফতার অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে ঈদগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।