তাড়াশ প্রাণিসম্পদ অফিসে চিকিসৎকশূন্য মারা যাচ্ছে গবাদিপশু
- আপডেট সময় : ০৮:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩ ৯১ বার পড়া হয়েছে
সাব্বির মির্জা, তাড়াশ(সিরাজগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর চিকিৎসকশূন্য। ফলে লাম্পি স্কিন রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলাজুড়ে। এই ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিগত ১ মাসে প্রায় অর্ধ শতাধিক গরু মারা গেছে। গরু বাঁচাতে বাধ্য হয়ে স্থানীয় ভ্যাটেরিনারি ওষুধ বিক্রেতাদের পরামর্শে গরুর চিকিৎসা করছেন গেরস্থরা।লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গবাদিপশুর সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে অধিকাংশ গেরস্থ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এদিকে তাড়াশ প্রাণিসম্পদ দপ্তরে চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন ধরে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলামকে তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সপ্তাহে এক থেকে দুইদিন হাসপাতালে আসেন। ভুক্তভোগী গেরস্থরা সরকারি চিকিৎসাসেবা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পল্লী ভ্যাটেরিনারি চিকিৎসক, ভ্যাটেরিনারি ওষুধ বিক্রেতাদের পরামর্শে ওষুধ কিনে রোগাক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করছেন। এতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। জানা গেছে, এ দপ্তরের ভ্যাটেরিনারি সার্জন, ইউএলএ, ভিএফএ, এফ.এ. (এ.আই), কম্পাউন্ডার, অফিস সহকারী, ড্রেসার ও অফিস সহায়কের পদের আরও ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শূন্য রয়ে গেছে দীর্ঘদিন ধরে।এ কারণে চিকিৎসা ব্যবস্থাও একেবারে বন্ধ। পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের গেরস্থ রেজাউল জানান, লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১টি গরু মারা গেছে আমার। সরকারিভাবে কোনো চিকিৎসাসেবা পাইনি। অপরদিকে একই গ্রামের আলমাছের স্ত্রী ছাবেদা খাতুন বলেন, অভাব-অনটনের সংসার আমাদের। গোয়ালের দুইটি গরু অর্থ যোগানের অন্যতম ভরসা। ১টি গরুর লাম্পি স্কিন রোগ হয়েছে ১৫ দিন হয়ে গেল। দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুমাই না। সরজমিন দেখা গেছে, পৌর এলাকার আসানবাড়ী গ্রামের আলমাছের গরু, আবু ছাইমের গরু ও আব্দুল মালেকসহ আরও অনেক গেরস্থের গরু লাম্পি স্কিন রোগে কাতর হয়ে পড়েছে। এসব গরুর সমস্ত শরীরে গুটি বেরিয়েছে। কোনো কোনো গরুর শরীরে ঘা হয়ে গেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. অলিউল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক সপ্তাহে একদিন হলেও তিনি তাড়াশে অফিস করেন।এ প্রসঙ্গে রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি সামাল দেয়ার মতো চিকিৎসক তাড়াশ প্রাণিসম্পদ দপ্তরে নেই। বিসিএস’র নতুন নিয়োগ থেকে জনবল নিয়োগ দেয়ার জোর সুপারিশ করা হবে।