সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, হাসপাতালে এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ১০:৫৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অগাস্ট ২০২৩ ৬১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। কিট সংকট থাকায় ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে রোগীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বাইরে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। এতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ রোগীরা। অনেক রোগী আবার পরীক্ষা না করেই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চাপ বেড়ে যাওয়ায় তাদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকারা।
তবে স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, শিগগিরই কিট সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, সারা দেশের মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ভোলার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু কিট ‘এনএস’ না থাকায় বাইরে থেকে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে রোগীদের। এতে দুর্ভোগ আর অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে দরিদ্র রোগীদের।
রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানান, হাসপাতালে আগে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে ৫০ টাকা লাগতো। কিন্তু এখন আর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা হয়না। বাইরে থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে ৩শ’ থেকে ৫শ’ টাকা লাগে। এতে করে তাদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে।,
ভোলা সদরের ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার ৬টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন গড়ে শুধু ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন ৫০ থেকে ১০০ জন রোগী। কিন্তু জনবল সংকট থাকায় তাদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা আক্তার বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ৬১ জন রোগী আছে। কিন্তু একা আমাকেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। নার্স সংকট এবং রোগীর চাপ বাড়তির দিকে থাকায় রোগীর সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। একার পক্ষে রোগী সামলানো কঠিন।
জানতে চাইলে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তায়েবুর রহমান বলেন, কিট সংকট থাকায় গত এক সপ্তাহ ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষা বন্ধ আছ। তবে, অন্যান্য ওষুধ পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। শিগগিরই ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট আসবে। এ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৭৫৯ জন। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও আক্রান্ত হয়েছে ১০৪ জন।,
এদিকে, ডেঙ্গু বিস্তার রোধে ভোলা পৌরসভা থেকে মশক নিধন অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ভোলা পৌরসভার সেনেটারী ইন্সপেক্টর মো: ফারুক। গত কয়েক দিন ধরে টানা বর্ষার কারণে মশার ওষুধ দিতে পারিনি। তবে, বুধবার থেকে আবার মশার ওষুধ ছিটানো শুরু হবে। পৌরসভার বিভওন্ন এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছনতার কাজও শুরু করেছি। তবুও যেন বন্ধ কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না ডেঙ্গু।