ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

নোয়াখালীর যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদ গাজীপুরে গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে নোয়াখালীতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শেখ ফরিদকে (৭০) গাজীপুরের শ্রীপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব),

বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল। শেখ ফরিদ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মৃত আফজাল হক ওরফে আলী আজমের ছেলে।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালী এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন শেখ ফরিদ। তিনি ও অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীরা অগ্নিসংযোগ, পাশবিক নির্যাতন ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন।,

শেখ ফরিদ তার সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার বাঞ্চারাম গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা এবং নির্যাতনসহ তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বামনী বাজারে মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, মুক্তিযোদ্ধা শরাফত আলী, মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবসহ ১০/১২ জনের একটি দল একটি অপারেশন শেষে ১৫ নম্বর সুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় একটি হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখে নিরাপত্তার কারণে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ১৬ নম্বর সুইচ গেটের দিকে চলে যান।, তখন যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদসহ অন্যান্য রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কথা বসুরহাট ও চাপরাশির হাট রাজাকার ক্যাম্পে জানিয়ে দেন।

বসুরহাট ও চাপরাশিরহাট রাজাকার ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনা ও যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদসহ ১০০/১২০ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা, একজন পথচারী ও দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় শেখ ফরিদসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকাররা ধান ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করেন।

২০১৭ সালে শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নোয়াখালীর যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদ গাজীপুরে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:২০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৯৭১ সালে নোয়াখালীতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় যুদ্ধাপরাধী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি শেখ ফরিদকে (৭০) গাজীপুরের শ্রীপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব),

বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-২ এর একটি দল। শেখ ফরিদ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মৃত আফজাল হক ওরফে আলী আজমের ছেলে।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শিহাব করিম জানান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালী এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন শেখ ফরিদ। তিনি ও অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীরা অগ্নিসংযোগ, পাশবিক নির্যাতন ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি জড়িত ছিলেন।,

শেখ ফরিদ তার সহযোগী রাজাকারদের নিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার বাঞ্চারাম গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা এবং নির্যাতনসহ তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেন। এছাড়াও ১৯৭১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বামনী বাজারে মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, মুক্তিযোদ্ধা শরাফত আলী, মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওহাবসহ ১০/১২ জনের একটি দল একটি অপারেশন শেষে ১৫ নম্বর সুইচ গেইট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় একটি হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখে নিরাপত্তার কারণে তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ১৬ নম্বর সুইচ গেটের দিকে চলে যান।, তখন যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদসহ অন্যান্য রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কথা বসুরহাট ও চাপরাশির হাট রাজাকার ক্যাম্পে জানিয়ে দেন।

বসুরহাট ও চাপরাশিরহাট রাজাকার ক্যাম্প থেকে পাকিস্তানি সেনা ও যুদ্ধাপরাধী শেখ ফরিদসহ ১০০/১২০ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা, একজন পথচারী ও দুইজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময় শেখ ফরিদসহ অন্যান্য যুদ্ধাপরাধী রাজাকাররা ধান ক্ষেতে লুকিয়ে থাকা নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করে গুলি করে হত্যা করেন।

২০১৭ সালে শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এরপর থেকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে আত্মগোপন করেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।