ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

জার্মানে নতুন ইমিগ্রেশন আইন: আসতে পারবে যে কোন দক্ষ শ্রমিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩ ৮৭ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানে নতুন ইমিগ্রেশন আইন চালু হয়েছে। এই আইনে একজন দক্ষ শ্রমিক যে কোন দেশ থেকে কাজ করতে আসতে পারবে। এমনকি কিছু নিয়ম মেনে কাজ খুজঁতেও আসতে পারবে । বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনার পাশাপাশি ডিপ্লোমা ( আউসবিল্ডুং) করতেও আসতে পারবে । ডিপ্লোমা করার সময় তার কোম্পানী বেতন / ভাতাও দিবে । আয়ের উপর নির্ভর করে স্ত্রী সন্তান এবং বাবা মা / শ্বশুড় শ্বাশুড়ী সাথে থাকতে পারবে । শুধু তাই নয় , যে বিদেশী কাজ করতে আসবেন , তার উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল পরিবারের অন্যরাও তার সাথে জার্মানিতে বসবাস করতে পারবেন কিছু শর্ত সাপেক্ষে । গুগেলে অনলাইনেই আপনি নিজে সব করতে পারবেন কারো সহযোগীতা ছাড়া । এমনকি আপনি কৃষির উপর দক্ষ হলে কৃষিকাজেও আসতে পারেন ।

জার্মানির পার্লামেন্ট এই অভিবাসন আইন অনুমোদন করেছে যার লক্ষ্য নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং আরও নন-ইইউ কর্মীদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে জার্মানিতে আসতে উৎসাহিত করা ।

বিলটি গ্রহণকে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেছেন যে জার্মানিতে এখন বিশ্বের অন্যতম আধুনিক অভিবাসন আইন থাকবে।

আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির অবসান ঘটানো এবং যোগ্য তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকদের আসা সহজ করা ।
জার্মানি দক্ষ শ্রমিকদের আকৃষ্ট করতে অভিবাসন আইন সংশোধন করেছে ।

নতুন আইনটি পয়েন্ট-ভিত্তিক কানাডিয়ান সিস্টেমকে অনুসরণ করে বিধিনিষেধ কমিয়ে এবং নতুন সুযোগ তৈরি করে জার্মানিকে আরও অভিবাসন-বান্ধব দেশে রূপান্তর করার জন্য কাজ করবে ।

“দক্ষ শ্রমিকের অভাবকে জার্মান অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে খারাপ দিক বলে মনে করা হয়। প্রায় ৪০০,০০০ শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে জার্মানির বিভিন্ন সেক্টরে , “ভোটের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এমপিদের বলেছিলেন এই আইনটি দক্ষ বিদেশী নাগরিকদের জার্মানিতে কাজের সন্ধান করার অনুমতি দেবে । যোগ্যতার মানদণ্ডের মূল বিষয় ভাষার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বা ডিপ্লোমা যা জার্মানরা আউসবিল্ডুং হিসেবে দেখে । যোগ্য আবেদনকারীরা একটি কার্ড পাবেন যাতে তারা কমপক্ষে ১২ মাসের জন্য দেশে চাকরি খোঁজার অনুমতি পাবেন ।

নতুন এ আইনটি পাশ হওয়ার কারনে “প্রধানত তিনটি নতুন বিষয় উন্নয়ন হয়েছে: প্রথমত বিদেশীদের যোগ্যতার স্বীকৃতি। দ্বিতীয়ত কাজের অভিজ্ঞতা একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে; এবং তৃতীয়, পয়েন্ট-ভিত্তিক ব্যবস্থা ” যা হ্যান্স ভর্লান্ডার, টিইউ ড্রেসডেনের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেছেন ।

“জার্মানি অভিবাসন দেশ নয় এবং আমরা এক হতে পারি না, “প্রাক্তন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ১৯৮৯ সালে বলেছিলেন ।

অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের নেতৃত্বে পূর্ববর্তী সরকার ইতিমধ্যে ২০২০ সালে জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য অভিবাসন আইন চালু করেছিল, নতুন পদ্ধতিটি দেশটির অভিবাসন আইনকে আরও শিথিল করবে ।

সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানিতে অভিবাসনের প্রতি অসন্তোষ পুনরুত্থিত হচ্ছে কারণ দেশটি ২০২২ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান শরনার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলো । আশা করা যাচ্ছে শরনার্থী আসা কমবে ,আসবে দক্ষ শ্রমিক , কমবে শ্রমিক ঘাটতি , বাড়বে অর্থনৈতিক খাত, বিদেশীরা হবে উপকৃত । বাংলাদেশ যেহেতু জনশক্তি রপ্তানীকারক দেশ , সরকার নিতে পারে এই সুযোগটি বাংলাদেশের বেকারত্ব কমানোর জন্য , আয় করতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জার্মানে নতুন ইমিগ্রেশন আইন: আসতে পারবে যে কোন দক্ষ শ্রমিক

আপডেট সময় : ০৫:৫৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মানে নতুন ইমিগ্রেশন আইন চালু হয়েছে। এই আইনে একজন দক্ষ শ্রমিক যে কোন দেশ থেকে কাজ করতে আসতে পারবে। এমনকি কিছু নিয়ম মেনে কাজ খুজঁতেও আসতে পারবে । বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনার পাশাপাশি ডিপ্লোমা ( আউসবিল্ডুং) করতেও আসতে পারবে । ডিপ্লোমা করার সময় তার কোম্পানী বেতন / ভাতাও দিবে । আয়ের উপর নির্ভর করে স্ত্রী সন্তান এবং বাবা মা / শ্বশুড় শ্বাশুড়ী সাথে থাকতে পারবে । শুধু তাই নয় , যে বিদেশী কাজ করতে আসবেন , তার উপর অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল পরিবারের অন্যরাও তার সাথে জার্মানিতে বসবাস করতে পারবেন কিছু শর্ত সাপেক্ষে । গুগেলে অনলাইনেই আপনি নিজে সব করতে পারবেন কারো সহযোগীতা ছাড়া । এমনকি আপনি কৃষির উপর দক্ষ হলে কৃষিকাজেও আসতে পারেন ।

জার্মানির পার্লামেন্ট এই অভিবাসন আইন অনুমোদন করেছে যার লক্ষ্য নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং আরও নন-ইইউ কর্মীদের কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে জার্মানিতে আসতে উৎসাহিত করা ।

বিলটি গ্রহণকে একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার বলেছেন যে জার্মানিতে এখন বিশ্বের অন্যতম আধুনিক অভিবাসন আইন থাকবে।

আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতির অবসান ঘটানো এবং যোগ্য তৃতীয় বিশ্বের নাগরিকদের আসা সহজ করা ।
জার্মানি দক্ষ শ্রমিকদের আকৃষ্ট করতে অভিবাসন আইন সংশোধন করেছে ।

নতুন আইনটি পয়েন্ট-ভিত্তিক কানাডিয়ান সিস্টেমকে অনুসরণ করে বিধিনিষেধ কমিয়ে এবং নতুন সুযোগ তৈরি করে জার্মানিকে আরও অভিবাসন-বান্ধব দেশে রূপান্তর করার জন্য কাজ করবে ।

“দক্ষ শ্রমিকের অভাবকে জার্মান অর্থনীতির জন্য প্রবৃদ্ধির সবচেয়ে খারাপ দিক বলে মনে করা হয়। প্রায় ৪০০,০০০ শ্রমিক ঘাটতি রয়েছে জার্মানির বিভিন্ন সেক্টরে , “ভোটের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার এমপিদের বলেছিলেন এই আইনটি দক্ষ বিদেশী নাগরিকদের জার্মানিতে কাজের সন্ধান করার অনুমতি দেবে । যোগ্যতার মানদণ্ডের মূল বিষয় ভাষার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বা ডিপ্লোমা যা জার্মানরা আউসবিল্ডুং হিসেবে দেখে । যোগ্য আবেদনকারীরা একটি কার্ড পাবেন যাতে তারা কমপক্ষে ১২ মাসের জন্য দেশে চাকরি খোঁজার অনুমতি পাবেন ।

নতুন এ আইনটি পাশ হওয়ার কারনে “প্রধানত তিনটি নতুন বিষয় উন্নয়ন হয়েছে: প্রথমত বিদেশীদের যোগ্যতার স্বীকৃতি। দ্বিতীয়ত কাজের অভিজ্ঞতা একটি বৃহত্তর ভূমিকা পালন করবে; এবং তৃতীয়, পয়েন্ট-ভিত্তিক ব্যবস্থা ” যা হ্যান্স ভর্লান্ডার, টিইউ ড্রেসডেনের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেছেন ।

“জার্মানি অভিবাসন দেশ নয় এবং আমরা এক হতে পারি না, “প্রাক্তন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল ১৯৮৯ সালে বলেছিলেন ।

অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের নেতৃত্বে পূর্ববর্তী সরকার ইতিমধ্যে ২০২০ সালে জার্মানিতে দক্ষ কর্মীদের জন্য অভিবাসন আইন চালু করেছিল, নতুন পদ্ধতিটি দেশটির অভিবাসন আইনকে আরও শিথিল করবে ।

সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, জার্মানিতে অভিবাসনের প্রতি অসন্তোষ পুনরুত্থিত হচ্ছে কারণ দেশটি ২০২২ সাল থেকে ক্রমবর্ধমান শরনার্থী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলো । আশা করা যাচ্ছে শরনার্থী আসা কমবে ,আসবে দক্ষ শ্রমিক , কমবে শ্রমিক ঘাটতি , বাড়বে অর্থনৈতিক খাত, বিদেশীরা হবে উপকৃত । বাংলাদেশ যেহেতু জনশক্তি রপ্তানীকারক দেশ , সরকার নিতে পারে এই সুযোগটি বাংলাদেশের বেকারত্ব কমানোর জন্য , আয় করতে পারে বৈদেশিক মুদ্রা ।