ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

১৫ই আগস্টের পর টানা কর্মসূচি, আসছে গণভবন-বঙ্গভবন ঘেরাও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ এখন প্রকাশ্য বিস্ময়। আর এই মতবিরোধের কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত এই মতবিরোধে তারেক জিয়ারই জয় হবে। তারেক জিয়া এখন আগ্রাসী, সহিংস এবং আক্রমনাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাইছেন’।

আর শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়ার নির্দেশই বিএনপিতে বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করেন বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা। এ কারণেই বিএনপি সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর এবং আগ্রাসী কর্মসূচিতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, ১৫ই আগস্ট যেহেতু জাতীয় শোক দিবস, এই সময়ে কর্মসূচি পালন করলে নানারকম নেতিবাচক কথাবার্তা হবে, আন্তর্জাতিক মহলেও এবং সুশীল সমাজের কাছেও এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর এ কারণেই বিএনপির নেতারা ১৫ই আগস্টের পর থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ভাবছেন।,

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় বিএনপি নেতারা। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ১৫ই আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারে বিএনপি। এছাড়াও ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির কথাও বলা হচ্ছে, যে কর্মসূচিতে ঢাকার বাইরে থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ঢাকায় মিলিত হবেন। মূলত বিএনপির লক্ষ্য হলো, রাজপথ দখল করা এবং রাজপথে লাখো লাখো কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। এর মাধ্যমেই তারা সরকারের পতন ঘটাতে চায়। এছাড়াও বিএনপির নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে গণভবন ঘেরাও’র মতো কর্মসূচি পালন করতে পারে। এমনকি বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে বিএনপির। তবে বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, অহিংস কর্মসূচি পালনের কোন বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমেই কূটনীতিকদের হৃদয় জয় করতে পেরেছে বিএনপি।,

এ সমস্ত কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এসে যদি আক্রমনাত্মক কর্মসূচি পালন করা হয়, সেক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সমর্থন বিএনপি থেকে সরে যেতে পারে। ফলে আন্দোলনে বিএনপি অপাংক্তেয় হয়ে পড়তে পারে। তবে বিএনপির শরিকদের মধ্যেও আক্রমণাত্মক কর্মসূচি, বিশেষ করে ব্যাপক জনগণকে ঢাকা শহরের রাস্তায় নামানোর চাপ রয়েছে। এ ধরনের কর্মসূচির কথা বলছেন মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন জোটের নেতৃবৃন্দ। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, ধাপে ধাপে তারা চূড়ান্ত কর্মসূচিতে যাবেন, তাদের কর্মসূচির লক্ষ্য একটাই, তা হলো- রাজপথে যেন ব্যাপক জনসমাগম হয়। বিএনপি নেতারা এটাও বলছেন, তারা সহিংস কর্মসূচি চান না, তাদের সব কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেই হয়তো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অশান্ত করে তুলতে পারে, সেটি যেন না হয়। সেজন্যই তারা সচেতন থাকবে বলেও বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

১৫ই আগস্টের পর টানা কর্মসূচি, আসছে গণভবন-বঙ্গভবন ঘেরাও

আপডেট সময় : ১১:৫৫:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি গতকাল পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে। পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের পর বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, কর্মসূচি ঘোষণা নিয়ে বিএনপি’র নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ এখন প্রকাশ্য বিস্ময়। আর এই মতবিরোধের কারণেই শেষ পর্যন্ত বিএনপি কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত এই মতবিরোধে তারেক জিয়ারই জয় হবে। তারেক জিয়া এখন আগ্রাসী, সহিংস এবং আক্রমনাত্মক কর্মসূচি গ্রহণ করতে চাইছেন’।

আর শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়ার নির্দেশই বিএনপিতে বাস্তবায়িত হবে বলে মনে করেন বিএনপির অধিকাংশ নেতা-কর্মীরা। এ কারণেই বিএনপি সামনের দিনগুলোতে আরও কঠোর এবং আগ্রাসী কর্মসূচিতে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, ১৫ই আগস্ট যেহেতু জাতীয় শোক দিবস, এই সময়ে কর্মসূচি পালন করলে নানারকম নেতিবাচক কথাবার্তা হবে, আন্তর্জাতিক মহলেও এবং সুশীল সমাজের কাছেও এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। আর এ কারণেই বিএনপির নেতারা ১৫ই আগস্টের পর থেকে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা ভাবছেন।,

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিতে চায় বিএনপি নেতারা। বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ১৫ই আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে পারে বিএনপি। এছাড়াও ঢাকা অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচির কথাও বলা হচ্ছে, যে কর্মসূচিতে ঢাকার বাইরে থেকে নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা করে ঢাকায় মিলিত হবেন। মূলত বিএনপির লক্ষ্য হলো, রাজপথ দখল করা এবং রাজপথে লাখো লাখো কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি। এর মাধ্যমেই তারা সরকারের পতন ঘটাতে চায়। এছাড়াও বিএনপির নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় এবং প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে গণভবন ঘেরাও’র মতো কর্মসূচি পালন করতে পারে। এমনকি বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে বিএনপির। তবে বিএনপির মধ্যে এ নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, অহিংস কর্মসূচি পালনের কোন বিকল্প নেই। শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, সভা-সমাবেশ ইত্যাদি কর্মসূচির মাধ্যমেই কূটনীতিকদের হৃদয় জয় করতে পেরেছে বিএনপি।,

এ সমস্ত কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এসে যদি আক্রমনাত্মক কর্মসূচি পালন করা হয়, সেক্ষেত্রে কূটনীতিকদের সমর্থন বিএনপি থেকে সরে যেতে পারে। ফলে আন্দোলনে বিএনপি অপাংক্তেয় হয়ে পড়তে পারে। তবে বিএনপির শরিকদের মধ্যেও আক্রমণাত্মক কর্মসূচি, বিশেষ করে ব্যাপক জনগণকে ঢাকা শহরের রাস্তায় নামানোর চাপ রয়েছে। এ ধরনের কর্মসূচির কথা বলছেন মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিভিন্ন জোটের নেতৃবৃন্দ। তবে বিএনপির নেতারা বলছেন, ধাপে ধাপে তারা চূড়ান্ত কর্মসূচিতে যাবেন, তাদের কর্মসূচির লক্ষ্য একটাই, তা হলো- রাজপথে যেন ব্যাপক জনসমাগম হয়। বিএনপি নেতারা এটাও বলছেন, তারা সহিংস কর্মসূচি চান না, তাদের সব কর্মসূচি হবে শান্তিপূর্ণ। এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেই হয়তো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অশান্ত করে তুলতে পারে, সেটি যেন না হয়। সেজন্যই তারা সচেতন থাকবে বলেও বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন।