ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

আবারও পিছিয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল যোগাযোগ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ৭২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে রেললাইন ভেঙে নিচ দিয়ে পানি চলাচল করছে। আবার কোথাও রেললাইনের পাথর সরে গেছে এবং সেতুও ধসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হচ্ছে না চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। তবে এক মাস পিছিয়ে অক্টোবরের শেষে উদ্বোধন হবে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক।,

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপথের কারণে পানি আটকে ডুবে যায় সাতকানিয়া চন্দনাইশসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, সেতু কিংবা কালভার্ট নয় অতি বৃষ্টিতে ডুবেছে এলাকা।

স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়ার কেরানিহাট অংশে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় প্রবল স্রোত। এতে আঁকাবাঁকা হয়ে যায় রেললাইন। পানির স্রোতে দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্তের। নিচ থেকে সরে যায় পাথরও।

স্থানীয় আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, রেললাইনের কারণে আমাদের এখন বন্যা হয়েছে। পাহাড়ি থেকে নেমে আসা পানি সরে যাওয়ার পথ না পেয়ে রেললাইনের ওপর প্রবাহিত হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি প্রবাহিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সেতু ও কালভার্ট নেই রেলপথে। ফলে বান্দরবান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি রেললাইনে আটকে তৈরি হয় বন্যা।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বলছে, চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম লট-ওয়ান ৫০ কিলোমিটার অংশে ১৮টি সেতু ও ১৪০টি কালভার্ট রয়েছে। তাদের দাবি, সেতু কিংবা কালভার্ট নয় অতি বৃষ্টির কারণে বন্যায় ডুবেছে এলাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তমা কনস্ট্রাকশন অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মো. নাজমুল হোসেন বলেন, এখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য যথেষ্ট সেতু ও কালভার্ট রয়েছে। মূলত রেকর্ড সংখ্যক বৃষ্টির জন্য এই সমস্যা হয়েছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের কথা থাকলেও বন্যার কারণে এক মাস পিছিয়ে অক্টোবরের শেষে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সেপ্টেম্বরে আমাদের কাজ শেষ করার ডেডলাইন ছিলো। বন্যায় অক্টোবরের মাঝামাঝিতে উদ্বোধন হতে পারে।,
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প,
১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।,

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আবারও পিছিয়ে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেল যোগাযোগ, অক্টোবরে চলবে ট্রেন

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বন্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক স্থানে রেললাইন ভেঙে নিচ দিয়ে পানি চলাচল করছে। আবার কোথাও রেললাইনের পাথর সরে গেছে এবং সেতুও ধসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন হচ্ছে না চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। তবে এক মাস পিছিয়ে অক্টোবরের শেষে উদ্বোধন হবে জানিয়েছেন প্রকল্পটির পরিচালক।,

অন্যদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, রেলপথের কারণে পানি আটকে ডুবে যায় সাতকানিয়া চন্দনাইশসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি, সেতু কিংবা কালভার্ট নয় অতি বৃষ্টিতে ডুবেছে এলাকা।

স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বন্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনের সাতকানিয়ার কেরানিহাট অংশে ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় প্রবল স্রোত। এতে আঁকাবাঁকা হয়ে যায় রেললাইন। পানির স্রোতে দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্তের। নিচ থেকে সরে যায় পাথরও।

স্থানীয় আবুল কাশেম অভিযোগ করে বলেন, রেললাইনের কারণে আমাদের এখন বন্যা হয়েছে। পাহাড়ি থেকে নেমে আসা পানি সরে যাওয়ার পথ না পেয়ে রেললাইনের ওপর প্রবাহিত হয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, পানি প্রবাহিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সেতু ও কালভার্ট নেই রেলপথে। ফলে বান্দরবান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি রেললাইনে আটকে তৈরি হয় বন্যা।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বলছে, চকরিয়া থেকে চট্টগ্রাম লট-ওয়ান ৫০ কিলোমিটার অংশে ১৮টি সেতু ও ১৪০টি কালভার্ট রয়েছে। তাদের দাবি, সেতু কিংবা কালভার্ট নয় অতি বৃষ্টির কারণে বন্যায় ডুবেছে এলাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের তমা কনস্ট্রাকশন অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার মো. নাজমুল হোসেন বলেন, এখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য যথেষ্ট সেতু ও কালভার্ট রয়েছে। মূলত রেকর্ড সংখ্যক বৃষ্টির জন্য এই সমস্যা হয়েছে।
এদিকে সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের কথা থাকলেও বন্যার কারণে এক মাস পিছিয়ে অক্টোবরের শেষে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সেপ্টেম্বরে আমাদের কাজ শেষ করার ডেডলাইন ছিলো। বন্যায় অক্টোবরের মাঝামাঝিতে উদ্বোধন হতে পারে।,
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্প,
১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারি-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার রেললাইন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের প্রায় সাত বছর পর ২০১৮ সালে ডুয়েল গেজ এবং সিঙ্গেল ট্র্যাক রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রামু পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।,