ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প  কাউন্দিয়া ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কের অপর নাম’কুখ্যাত ভূমিদস্যু সাইফুল আলম খান চেয়ারম্যান সাংবাদিকের গলায় জুতোর মালা; বিএমএসএফ’র তদন্ত কমিটি গঠন; তিনদিনের মধ্যে বিচার দাবি  পরকিয়ায় আত্মহত্যার দায়ভার স্বামী-শ্বাশুড়ীর উপর চাপানোর অভিযোগ বেলকুচিতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের জন্য দোয়া ও আহতের আরগ্য কামনায় ছাত্র সমাবেশ

জাপাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রলোভন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করতে চায় কোন কোন মহল। আর সে লক্ষ্যে তারা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সংবিধানের আওতায় নির্বাচন হবে এবং যে সমস্ত দল ইচ্ছা তারা নির্বাচনে আসবে। আর যারা নির্বাচনে আসবে না তাদের নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থায় যেকোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচন করা না করার অধিকার আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে বিএনপি এবং অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ না করে তাহলে কি সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ তুলে নির্বাচন বানচাল করা হবে?—এই প্রশ্নগুলি এখন রাজনীতিতে ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের পাল্লা ভারী করার চেষ্টা করছে তেমনি বিএনপি চাইছে যে আওয়ামী লীগকে এক ঘরে করে দিতে। ইতিমধ্যে বিএনপি-জামায়াত সহ ৩৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে।,

আওয়ামী লীগ এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে। আওয়ামী লীগের জন্য আশার কথা হলো এইটাই যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকরা যদি আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, এছাড়াও যদি খেলাফত আন্দোলন সহ আরও কিছু ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আওয়ামী লীগের ধারণা। কিন্তু এখন জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাথে কথা বলছেন একাধিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। এমনকি বিদেশি কূটনীতিকরাও তার সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছে। জাতীয় পার্টি যদিও এর আগে ঘোষণা করেছিল যে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গেছে। যদিও সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সুর পাল্টে গেছে। তিনি এখন নির্বাচন করার চেয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার কথা বেশি বলছেন এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এমন বক্তব্য তিনি বলছেন। ,

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, কূটনৈতিকদের প্রলোভন এবং সুশীল সমাজের পরামর্শে জিএম কাদের এ ধরনের প্রস্তাব করছেন বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টিকে টোপ দেওয়া হয়েছে যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে বা বয়কট করে তাহলে যে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে সেখানে জাতীয় পার্টির প্রসব করানো হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যেন ভালো করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।,

২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪-এ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। জাতীয় পার্টিও আংশিকভাবে এ নির্বাচন বর্জন করেছিল। কিন্তু তারপরও জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। তখন থেকে জাতীয় পার্টির দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আছে। এবার যদি তারা নির্বাচন না করে তাহলে সেই নির্বাচনে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে অনেকে মনে করছে। আর এটি মাথায় রেখেই যারা বাংলাদেশের নির্বাচন চায় না তারা জাতীয় পার্টিকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে যে তারা যেন জাতীয় পার্টি যেন নির্বাচন বর্জন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাপাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রলোভন

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অনিশ্চিত করতে চায় কোন কোন মহল। আর সে লক্ষ্যে তারা আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলা হয়েছে, সংবিধানের আওতায় নির্বাচন হবে এবং যে সমস্ত দল ইচ্ছা তারা নির্বাচনে আসবে। আর যারা নির্বাচনে আসবে না তাদের নিয়ে সরকারের কিছু করার নেই। গণতান্ত্রিক একটি ব্যবস্থায় যেকোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচন করা না করার অধিকার আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি নির্বাচনে বিএনপি এবং অন্যান্য বড় রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ না করে তাহলে কি সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ তুলে নির্বাচন বানচাল করা হবে?—এই প্রশ্নগুলি এখন রাজনীতিতে ক্রমশ বড় হয়ে উঠছে। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের পাল্লা ভারী করার চেষ্টা করছে তেমনি বিএনপি চাইছে যে আওয়ামী লীগকে এক ঘরে করে দিতে। ইতিমধ্যে বিএনপি-জামায়াত সহ ৩৪টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে।,

আওয়ামী লীগ এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাজ করছে। আওয়ামী লীগের জন্য আশার কথা হলো এইটাই যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের শরিকরা যদি আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, এছাড়াও যদি খেলাফত আন্দোলন সহ আরও কিছু ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে সেই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে আওয়ামী লীগের ধারণা। কিন্তু এখন জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাথে কথা বলছেন একাধিক সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। এমনকি বিদেশি কূটনীতিকরাও তার সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যোগাযোগ করছে। জাতীয় পার্টি যদিও এর আগে ঘোষণা করেছিল যে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং এর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেখা গেছে। যদিও সবগুলো নির্বাচনে জাতীয় পার্টি আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সুর পাল্টে গেছে। তিনি এখন নির্বাচন করার চেয়ে নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার কথা বেশি বলছেন এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় এমন বক্তব্য তিনি বলছেন। ,

বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, কূটনৈতিকদের প্রলোভন এবং সুশীল সমাজের পরামর্শে জিএম কাদের এ ধরনের প্রস্তাব করছেন বলে মন্তব্য করেছেন। সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টিকে টোপ দেওয়া হয়েছে যদি তারা নির্বাচন বর্জন করে বা বয়কট করে তাহলে যে অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে সেখানে জাতীয় পার্টির প্রসব করানো হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি যেন ভালো করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।,

২০০৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মহাজোট থেকে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪-এ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল। জাতীয় পার্টিও আংশিকভাবে এ নির্বাচন বর্জন করেছিল। কিন্তু তারপরও জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। তখন থেকে জাতীয় পার্টির দেশের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে আছে। এবার যদি তারা নির্বাচন না করে তাহলে সেই নির্বাচনে আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে না বলে অনেকে মনে করছে। আর এটি মাথায় রেখেই যারা বাংলাদেশের নির্বাচন চায় না তারা জাতীয় পার্টিকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করছে যে তারা যেন জাতীয় পার্টি যেন নির্বাচন বর্জন করে।