ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

দুঃসময় এলে দুর্দিনের নেতাকর্মীরাই পাশে থাকবে, প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ৪১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দলের দুঃসময়ে যারা সামনে ছিল, যারা দুর্দিনের কর্মী, কমিটি করার সময় তাদের সামনে রেখে মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য এতে অংশ নেন।,

সভা সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তারপর একে একে সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাদের বিভাগীয় রিপোর্ট পেশ করেন। সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন যখন সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন তখন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জেবুন্নেছা হক কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তিনি তার এলাকার সাংগঠনিক অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আমি অনেক ত্যাগী নেতার নাম দিয়েছিলাম। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। কমিটিতে রাখা হয়নি। টাকাওয়ালা দেখে কমিটি দেওয়া হয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু টাকা আছে তাদের কমিটিতে রাখবে, আর যাদের টাকা নেই তাদের রাখবে না, সেটা তো হতে পারে না। টাকা থাকলেও সে দলের ত্যাগী কী না যাচাই-বাছাই করে কমিটি দিতে হবে। দুর্দিনের কর্মীদের নেতা বানাতে হবে। আজকে যারা আসছে তারা দলের মধ্যে গণ্ডগোল করছে। দুঃসময় এলে আমার দুর্দিনের নেতাকর্মীরাই থাকবে। ওরা (ব্যবসায়ী, আমলা, হাইব্রিড নেতা) কিন্তু আসবে না। সুনামগঞ্জে যে সমস্যা রয়েছে, আপনারা বসে ঠিক করে ফেলুন।,

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নিদের্শ দিয়েছিলেন এলাকায় কারও বিরুদ্ধে কেউ যেন কিছু না করে, সবাই মিলে-মিশে থাকতে হবে। বিএনপির মধ্যে যে ভেদাভেদ ছিল সেটা তারা ভুলে গিয়ে এক হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখনো পারেনি। এখনও আমরা নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরা বলাবলি করি। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সব ওয়ার্ড ও থানার কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করার নিদের্শ দিয়েছেন দলের সভাপতি। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করার সময় এমন নিদের্শনা দেওয়া হয়’।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা বলেছেন ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে না পারলে মহানগরের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। কমিটি না থাকার কারণে গত ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় মহানগরের নেতাদের বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দলের প্রধান।,

সূত্র আরও জানান, গত ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় সব ভারপ্রাপ্তকে ভারমুক্ত করা হয়েছিল। সেই বিষয়টি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা ও উপজেলা গিয়ে মিটিং করার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আওয়ামী লীগের সব উন্নয়ন তৃণমূলের তুলে ধরার জন্য নেতাদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দুঃসময় এলে দুর্দিনের নেতাকর্মীরাই পাশে থাকবে, প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৪:১৩:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দলের দুঃসময়ে যারা সামনে ছিল, যারা দুর্দিনের কর্মী, কমিটি করার সময় তাদের সামনে রেখে মূল্যায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (১২ আগস্ট) রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ নির্দেশনা দেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সব সদস্য এতে অংশ নেন।,

সভা সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তারপর একে একে সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাদের বিভাগীয় রিপোর্ট পেশ করেন। সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আহমদ হোসেন যখন সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন তখন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জেবুন্নেছা হক কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। তিনি তার এলাকার সাংগঠনিক অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আমি অনেক ত্যাগী নেতার নাম দিয়েছিলাম। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। কমিটিতে রাখা হয়নি। টাকাওয়ালা দেখে কমিটি দেওয়া হয়েছে।”

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু টাকা আছে তাদের কমিটিতে রাখবে, আর যাদের টাকা নেই তাদের রাখবে না, সেটা তো হতে পারে না। টাকা থাকলেও সে দলের ত্যাগী কী না যাচাই-বাছাই করে কমিটি দিতে হবে। দুর্দিনের কর্মীদের নেতা বানাতে হবে। আজকে যারা আসছে তারা দলের মধ্যে গণ্ডগোল করছে। দুঃসময় এলে আমার দুর্দিনের নেতাকর্মীরাই থাকবে। ওরা (ব্যবসায়ী, আমলা, হাইব্রিড নেতা) কিন্তু আসবে না। সুনামগঞ্জে যে সমস্যা রয়েছে, আপনারা বসে ঠিক করে ফেলুন।,

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নিদের্শ দিয়েছিলেন এলাকায় কারও বিরুদ্ধে কেউ যেন কিছু না করে, সবাই মিলে-মিশে থাকতে হবে। বিএনপির মধ্যে যে ভেদাভেদ ছিল সেটা তারা ভুলে গিয়ে এক হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এখনো পারেনি। এখনও আমরা নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরা বলাবলি করি। এগুলো বন্ধ করতে হবে।

সভায় উপস্থিত নেতারা জানান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সব ওয়ার্ড ও থানার কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করার নিদের্শ দিয়েছেন দলের সভাপতি। সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করার সময় এমন নিদের্শনা দেওয়া হয়’।

শেখ হাসিনার বক্তব্যের বরাত দিয়ে সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা বলেছেন ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড ও থানা কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে না পারলে মহানগরের কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। কমিটি না থাকার কারণে গত ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় মহানগরের নেতাদের বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি বলে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন দলের প্রধান।,

সূত্র আরও জানান, গত ৬ আগস্ট বিশেষ বর্ধিত সভায় সব ভারপ্রাপ্তকে ভারমুক্ত করা হয়েছিল। সেই বিষয়টি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের জেলা ও উপজেলা গিয়ে মিটিং করার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আওয়ামী লীগের সব উন্নয়ন তৃণমূলের তুলে ধরার জন্য নেতাদের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তারিখ এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।