সংবাদ শিরোনাম ::
পানির নিচে আমনের বীজতলা বিপাকে কৃষক
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময় : ০২:০৪:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অতি বর্ষণে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলা পঁচে গেছে। এতে বিপাকে পরেছে বরগুনা জেলার আমকলি ত কৃষকরা। কৃষকদের দাবী বীজতলা পঁচে যাওয়ার নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। এ সুযোগে কতিপয় অসাধু বীজ ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রি করছেন।
জানাগেছে, উপজেলায় ২৩ হাজার ৫’শ হেক্টর আমন ধান চাষ উপযুক্ত জমি রয়েছে। ওই জমির জন্য এক হাজার এক’শ ৭৫ হেক্টর আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। কিন্তু টানা অতি বর্ষণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় আমনের অধিকাংশ বীজতলা পঁচে গেছে। এ সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুল্যে বীজ বিক্রি করছেন। এতে বিপাকে পরেছেন কৃষকরা।
রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, কুকুয়া, আঠারোগাচিয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ আমনের বীজতলায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে বীজ পঁচে গেছে। কৃষকদের নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে জানান কৃষক বশির হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের বাজারখালী গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম খলিল বলেন, বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আমনের বীজ পঁচে গেছে। এখন নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। কিন্তু ঘরে বীজ নেই। বাজার থেকে অতিরিক্ত দামে বীজ কিনতে হচ্ছে।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী গ্রামের কৃষক রাসেল হাওলাদার বলেন, অতি বর্ষণে আমনের বীজতলা পানিতে তলিয়ে বীজ পঁচে গেছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, আমনের বীজতলায় পানি জমে বীজ পঁচে গেছে। নতুন বীজ না করা পর্যন্ত জমিতে বীজ বপন করতে পারবো না।
আমতলী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবীদ মোঃ রাসেল বলেন, টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় আমনের বীজতলায় ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেছে এখন নিরুপণ করতে পারবো কত পরিমান ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কৃষকদের হতাশ হওয়ার কারন নেই, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ রয়েছে