ঢাকা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
এনায়েতপুরে শহীদদের স্মরণে ২নং স্থল ইউনিয়নে দোয়া ও আলোচনা সভা  সিরাজগঞ্জ রায়গঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন সাজাপ্রাপ্ত সেই প্রধান শিক্ষক আফছার আলী দূর্গা পূজাকে ঘিরে ব্যস্ত রাউজানের প্রতিমা শিল্পীরা  নারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার গোপন কক্ষটি গোপন ছিল না দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই ঘন্টা পর রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ প্রেমিকার টাকা স্বর্ণলংকার হাতিয়ে নিয়ে ফ্লাইওভার থেকে ফেলে হত্যা  এনায়েতপুরে আগামী ২১শে সেপ্টেম্বর বিএনপির স্মরণ সভাকে সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা  সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান

আওয়ামী লীগের কাউকে তত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে মানবে না বিএনপি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৩২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপি একা নয়, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু রাজনৈতিক দল। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তারা তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবং কূটনৈতিকরা বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই সংকট সমাধানের পথ খুঁজছেন। তারা বিএনপির একটি বক্তব্য, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়’ এই বক্তব্যের সূত্র ধরেই সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কিভাবে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানো যায় তার লক্ষ্যে চেষ্টা করেছিলেন। আর এ লক্ষেই বিএনপির একাধিক নেতাকে কূটনৈতিকরা বলেছিলেন, যদি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বর্তমান সংসদেরই কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে বিএনপি মানবে কিনা। বিএনপির একটি অংশ এ ব্যপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিল।’

ড. আব্দুল মঈন খানের বাসভবনে কূটনৈতিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে এই ব্যপারে বিএনপির অন্তত দুই জন নেতা, একজন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কোনো ব্যক্তি না, এমনকি দলীয় কোনো ব্যক্তিকেও তারা তত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে মানবে না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে এবং এজন্য যদি সংবিধান সংশোধন করতে হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তবে বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, সংবিধান না সংশোধন করেও একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সরকার প্রধান করা যায়। বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানন্ত্রী করা যায়-এমন একটি ফর্মূলা কূটনৈতিকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা’।

তারা বলেছেন, দলীয় কোনো ব্যক্তির অধীনে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বিএনপির তৃণমূল মেনে নেবে না এবং সেটি একইরকম হবে। তাদের এখন নতুন যুক্তি হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে এবং সংসদ যদি বিলুপ্ত না হয়, তাহলে অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলেও নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। আর একারণেই তারা এখন কূটনৈতিকদের কাছে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা উপস্থাপন করেছেন।,

১. বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংবিধান সংশোধন করা এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আগের যে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল সেই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করা।,

২. যদি সেটা আওয়ামীলীগ না করে, সেক্ষেত্রে বর্তমানের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকারে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে নিয়োগ দান করা, যে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নিরপেক্ষ ব্যক্তি হবেন এবং সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। আর অন্য মন্ত্রীসভার সদস্য তারাই থাকতে পারবেন, যারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন না। এর বাইরে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করা হবে যারা প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করবেন।,

এই দুইটি প্রস্তাবের একটিও আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে সমঝোতায় আসতে গেলে তিনটি বিষয়ে তাদেরকে একমত হতে হবে।

প্রথমত, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটির কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে। এবং

তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি যদি এই তিনটি শর্তে এক হয়, তাহলেই কেবল আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করতে রাজি হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আওয়ামী লীগের কাউকে তত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে মানবে না বিএনপি

আপডেট সময় : ০৬:১৩:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। বিএনপি একা নয়, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে আরও কিছু রাজনৈতিক দল। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, তারা তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ে সরকারকে বাধ্য করবে। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের একটি অংশ এবং কূটনৈতিকরা বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই সংকট সমাধানের পথ খুঁজছেন। তারা বিএনপির একটি বক্তব্য, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন নয়’ এই বক্তব্যের সূত্র ধরেই সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে কিভাবে একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানো যায় তার লক্ষ্যে চেষ্টা করেছিলেন। আর এ লক্ষেই বিএনপির একাধিক নেতাকে কূটনৈতিকরা বলেছিলেন, যদি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং বর্তমান সংসদেরই কেউ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে বিএনপি মানবে কিনা। বিএনপির একটি অংশ এ ব্যপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছিল।’

ড. আব্দুল মঈন খানের বাসভবনে কূটনৈতিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে এই ব্যপারে বিএনপির অন্তত দুই জন নেতা, একজন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের কোনো ব্যক্তি না, এমনকি দলীয় কোনো ব্যক্তিকেও তারা তত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে মানবে না। নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকার হতে হবে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে এবং এজন্য যদি সংবিধান সংশোধন করতে হয়, তাহলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। তবে বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা বলছেন, সংবিধান না সংশোধন করেও একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সরকার প্রধান করা যায়। বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানন্ত্রী করা যায়-এমন একটি ফর্মূলা কূটনৈতিকদের কাছে উপস্থাপন করেছেন বিএনপির একাধিক নেতা’।

তারা বলেছেন, দলীয় কোনো ব্যক্তির অধীনে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বিএনপির তৃণমূল মেনে নেবে না এবং সেটি একইরকম হবে। তাদের এখন নতুন যুক্তি হচ্ছে, আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে এবং সংসদ যদি বিলুপ্ত না হয়, তাহলে অন্য কেউ প্রধানমন্ত্রী হলেও নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। আর একারণেই তারা এখন কূটনৈতিকদের কাছে দুটি বিকল্প ব্যবস্থা উপস্থাপন করেছেন।,

১. বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংবিধান সংশোধন করা এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে আগের যে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল সেই তত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করা।,

২. যদি সেটা আওয়ামীলীগ না করে, সেক্ষেত্রে বর্তমানের সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে নির্বাচনকালীন সরকারে একজন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীকে নিয়োগ দান করা, যে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নিরপেক্ষ ব্যক্তি হবেন এবং সেই নিরপেক্ষ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। আর অন্য মন্ত্রীসভার সদস্য তারাই থাকতে পারবেন, যারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন না। এর বাইরে একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টামণ্ডলী গঠন করা হবে যারা প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করবেন।,

এই দুইটি প্রস্তাবের একটিও আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ বলছে, বিএনপিকে সমঝোতায় আসতে গেলে তিনটি বিষয়ে তাদেরকে একমত হতে হবে।

প্রথমত, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটির কোনো ব্যত্যয় করা যাবে না।

দ্বিতীয়ত, বর্তমান সংসদ বহাল থাকবে। এবং

তৃতীয়ত, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিএনপি যদি এই তিনটি শর্তে এক হয়, তাহলেই কেবল আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা করতে রাজি হবে।