ঢাকা ০৬:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

বিএনপিতে নির্বাচনী প্রচারণা করলেই বহিষ্কার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। আর এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে যারা নিষ্ক্রিয় থাকবেন, তাদেরকে দল থেকে অব্যাহতি এবং শাস্তি প্রদানের বিধান চালু করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। বিভিন্ন নির্বাচনী এরাকায় বিএনপির অনেক প্রার্থী পোস্টার ছেপেছেন এবং গণসংযোগ শুরু করেছেন। তারা পাড়ায়, মহল্লায় বিভিন্ন রকমের কমিটি গঠন করেছেন এবং এই কমিটির মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ সমস্ত তথ্য এসেছে। এ যাবৎকালে ১৩০ জন এরকম নেতাদেরকে পাওয়া গেছে, যারা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছেন। আর এই নির্বাচনী প্রচারণা বিএনপির এক দফা আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে অনেকে মনে করছেন। এর ফলে যেকোনো সময় বিএনপি নির্বাচনমুখী হতে পারে।,

তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন মহল নির্বাচনে ইচ্ছুক বিএনপির এ সমস্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা বলছেন, যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তাহলে ওই সমস্ত প্রার্থীরা যেন স্বতন্ত্র হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীকে সব ধরনের সহযোগীতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে করা হবে। আর এ কারণেই বিএনপির টনক নড়েছে। বিএনপি এখন এই নির্বাচনী প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাদেরকে বার্তা দিয়েছেন এবং এই বার্তায় বলা হয়েছে, যদি বিএনপির কোনো নেতা এক দফা আন্দোলন বা সরকার বিরোধী আন্দোলনের বাইরে কোনো ধরনের নির্বাচন নিয়ে আগাম প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাকে বহিষ্কারও করা হবে।,

রুহুল কবির রিজভী এই বার্তাও দিয়েছেন যে, বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাই এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। তাদের একমাত্র কর্মসূচি হবে, কেন্দ্র থেকে যে সমস্ত কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করা হবে- তা সমর্থন করা এবং প্রতিপালন করা। এক দফার বাইরে গিয়ে অন্য কোনো ইস্যুতে প্রচারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। উল্লেখ্য যে, এর আগেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাদের বহিষ্কারাদেশ এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর থেকেও বিএনপি বেশ কিছু দিন বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু গত দুই বছর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটছে এবং এক বছর আগে থেকেই বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচন করবে, তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।,

এবার বিএনপি আরও এ ধাপ এগিয়ে গেল। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম প্রচারণা করলে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আগ্রহ ব্যক্ত করলেই, তার বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন জেলায় বা নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার ছেপেছেন এবং নানা রকম শুভেচ্ছাসূচক লিফলেট বিতরণ করছেন, তাদেরকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা এটা বন্ধ না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, তা হলো আন্দোলন এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা। দাবি আদায় করা ব্যতিরেকে যদি কেউ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন, তাহলে তিনি দলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।,

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিএনপিতে নির্বাচনী প্রচারণা করলেই বহিষ্কার

আপডেট সময় : ০৯:১২:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। আর এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে যারা নিষ্ক্রিয় থাকবেন, তাদেরকে দল থেকে অব্যাহতি এবং শাস্তি প্রদানের বিধান চালু করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, তাদের নিজ নিজ এলাকায় গণসংযোগ এবং নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। বিভিন্ন নির্বাচনী এরাকায় বিএনপির অনেক প্রার্থী পোস্টার ছেপেছেন এবং গণসংযোগ শুরু করেছেন। তারা পাড়ায়, মহল্লায় বিভিন্ন রকমের কমিটি গঠন করেছেন এবং এই কমিটির মাধ্যমে আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে এ সমস্ত তথ্য এসেছে। এ যাবৎকালে ১৩০ জন এরকম নেতাদেরকে পাওয়া গেছে, যারা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার কাজে নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছেন। আর এই নির্বাচনী প্রচারণা বিএনপির এক দফা আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলে অনেকে মনে করছেন। এর ফলে যেকোনো সময় বিএনপি নির্বাচনমুখী হতে পারে।,

তাছাড়া সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন মহল নির্বাচনে ইচ্ছুক বিএনপির এ সমস্ত নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তারা বলছেন, যদি বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-ও করে, তাহলে ওই সমস্ত প্রার্থীরা যেন স্বতন্ত্র হলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। সেক্ষেত্রে ওই প্রার্থীকে সব ধরনের সহযোগীতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে করা হবে। আর এ কারণেই বিএনপির টনক নড়েছে। বিএনপি এখন এই নির্বাচনী প্রচারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাদেরকে বার্তা দিয়েছেন এবং এই বার্তায় বলা হয়েছে, যদি বিএনপির কোনো নেতা এক দফা আন্দোলন বা সরকার বিরোধী আন্দোলনের বাইরে কোনো ধরনের নির্বাচন নিয়ে আগাম প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং প্রয়োজনে তাকে বহিষ্কারও করা হবে।,

রুহুল কবির রিজভী এই বার্তাও দিয়েছেন যে, বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাই এখন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে পারবেন না। তাদের একমাত্র কর্মসূচি হবে, কেন্দ্র থেকে যে সমস্ত কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করা হবে- তা সমর্থন করা এবং প্রতিপালন করা। এক দফার বাইরে গিয়ে অন্য কোনো ইস্যুতে প্রচারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। উল্লেখ্য যে, এর আগেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। তাদের বহিষ্কারাদেশ এখন পর্যন্ত প্রত্যাহার করা হয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর থেকেও বিএনপি বেশ কিছু দিন বিভিন্ন ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু গত দুই বছর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বিএনপি নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটছে এবং এক বছর আগে থেকেই বিএনপি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে নির্বাচন করবে, তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।,

এবার বিএনপি আরও এ ধাপ এগিয়ে গেল। বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম প্রচারণা করলে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আগ্রহ ব্যক্ত করলেই, তার বিরুদ্ধে শস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যে সমস্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন জেলায় বা নির্বাচনী এলাকায় পোস্টার ছেপেছেন এবং নানা রকম শুভেচ্ছাসূচক লিফলেট বিতরণ করছেন, তাদেরকে অবিলম্বে এটা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি তারা এটা বন্ধ না করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, তা হলো আন্দোলন এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা। দাবি আদায় করা ব্যতিরেকে যদি কেউ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু করেন, তাহলে তিনি দলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।,