বিনম্র শ্রদ্ধায় ইতালিতে ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালিত
- আপডেট সময় : ০৭:৫৫:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৫ আগষ্ট ইতালির রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। আয়োজিত অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিলো আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন, বাণী পাঠ, জাতির পিতার উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা অনুষ্ঠান, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন তেলওয়াত এবং বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় ইতালি, মন্টেনিগ্রো ও সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাংগালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালির প্রতিটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। অসাধারণ মহানুভবতা, মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞার কারণে তিনি কীভাবে সবার হৃদয়ে ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে স্থান করে নেন রাষ্ট্রদূত তা তথ্যসহ তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গে তিনি উপস্থিত সকলকে জীবনের প্রতিটি স্তরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে আহবান জানান। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
দূতাবাসের প্রথম সচিব জনাব আসিফ আনাম সিদ্দিকী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ইতালি আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ সমিতির নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়ী, নারী নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।