ঢাকা ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

বেগম জিয়া কি তারেকের নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেগম জিয়ার কি হয়েছে? তার শারীরিক অবস্থা কেমন? তিনি কি ভালো আছেন, নাকি তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে? তিনি কি আশঙ্কামুক্ত? নাকি তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কা-জাগানিয়া?- ইত্যাদি নানা প্রশ্নে বিএনপি এখন বিভ্রান্তিকর উত্তর দিচ্ছে। গতকাল বিএনপি নেতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার জাহিদ বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তারেক জিয়ার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন অন্য কথা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল এবং তার কিছু হলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে, যারা যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না- হঠাৎ করে আমীর খসরু মাহমুদ এরকম আশঙ্কার কথা বললেন কেন?- এর পিছনে কি কোনো অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে?

উল্লেখ্য যে, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম অসুখ বিসুখে ভুগছেন। তার বয়স আশির কাছাকাছি। এ রকম বয়সে একজন মানুষের নানা রকম রোগ থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি এসব রোগশোক নিয়েও ফিরোজায় বেশ ভালই ছিলেন।’

একাধিক সূত্র আমাদেরকে জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি ঘটেনি যে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করতে হবে।’ ফিরোজায় যখন ছিলেন তখন তিনি বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ’তে সেরকম দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ খুব কম। আর এখানেই প্রশ্নটি উঠেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কি তাহলে বিএনপি কোন ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে?

আমরা দেখছি যে, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যুর পর এই মৃত্যুকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই মৃত্যুকে ঘিরে নানা রকম রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট জামায়াত। শুধু তাই নয়, জামায়াত এই মৃত্যুর দিন ঢাকার শাহবাগ এলাকায় তাণ্ডব করেছে। জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াত সামনের দিনগুলোতে এই নিয়ে আরো অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহলে কি বিএনপি জামায়াতের মডেল অনুসরণ করবে?

এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া পুরোপুরি বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। এই সময় যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটানো হয়, ইচ্ছা করে যদি তাকে শঙ্কার মধ্যে ফেলা হয়, তাহলে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? বিভিন্ন মহল মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক জিয়ার রাজনৈতিক মতপার্থক্য এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কারণেই বিএনপি চরমপন্থার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারছে না। কারণ বিএনপি এক দফা ঘোষণার পরে বেগম জিয়া চারবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে নেন এবং আন্দোলন করার ক্ষেত্রে আগে সংগঠনকে গুছানোর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এখনো বিএনপি’র মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। বিশেষ করে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাদের কাছে বেগম খালেদা জিয়া অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে তুলনায় তারেক জিয়া একজন মতলববাজ, ধূর্ত, সুবিধাবাদী এবং উদ্ধত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত। তারেককে অনেকে ভয় পায় বটে, কিন্তু তাকে ভালোবাসে না।,

তারেক বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র- এজন্য তার নেতৃত্ব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলে না। কিন্তু তার নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপিতে আলাপ-আলোচনা হয়। আর তারেক এখন বিএনপিতে নিরঙ্তুশ কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে চান। সেই কর্তৃত্বের পথে বেগম খালেদা জিয়া, তার প্রধান বাধা। তাহলে কি তারেক জিয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান? বেগম খালেদা জিয়ার যদি কোন ক্ষতি হয়, বেগম খালেদা জিয়ার যদি শারীরিক অবস্থার কোনো বড় বিপর্যয় ঘটে, তাহলে তারেক জিয়ার দুটি আকাঙ্ক্ষা একবারেই পূরণ হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তাহলে বিএনপির নেতৃত্বে তিনি ভারমুক্ত হবেন। আবার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে পুঁজি করে সাঈদী স্টাইলে সারাদেশে তাণ্ডব চালাতে পারবেন।,

ইতিমধ্যে বিএনপি আন্দোলনের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গিয়ে একটু চাপেই পড়েছে। কারণ এই পদযাত্রা-সমাবেশের মধ্যে আন্দোলন করে বিএনপি সরকারকে চাপে ফেলতে পারছে না। তাই সারাদেশে ভাঙচুর তাণ্ডব, যা ২৯ জুলাই বিএনপি করেছিল, তেমনটি করতে গেলে তাদের লাশ প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে তারা যদি এরূপ একটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে যদি রাজনীতির মাঠকে নিয়ন্ত্রণহীন করে, তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। এর আগেও একই রকম ঘটনা দেখা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার রায় হয় ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে তিনি লন্ডনে ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনেই থাকতে চেয়েছিলেন রায় পর্যন্ত। কিন্তু তারেক জিয়া তখনও এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন। তাদের হিসাব ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে, সারাদেশে মানুষের ঢল নামবে। একটি পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে। কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটেনি। এখন কি তারেক জিয়ার এই নিষ্ঠুরতার বলি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া? এই প্রশ্ন এখন অনেকের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বেগম জিয়া কি তারেকের নিষ্ঠুর ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছেন

আপডেট সময় : ০৮:৪১:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেগম জিয়ার কি হয়েছে? তার শারীরিক অবস্থা কেমন? তিনি কি ভালো আছেন, নাকি তার পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে? তিনি কি আশঙ্কামুক্ত? নাকি তার শারীরিক অবস্থা শঙ্কা-জাগানিয়া?- ইত্যাদি নানা প্রশ্নে বিএনপি এখন বিভ্রান্তিকর উত্তর দিচ্ছে। গতকাল বিএনপি নেতা এবং বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার জাহিদ বলেছিলেন, বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তারেক জিয়ার মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বললেন অন্য কথা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতিশীল এবং তার কিছু হলে তার জন্য সরকার দায়ী থাকবে, যারা যারা জড়িত তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না- হঠাৎ করে আমীর খসরু মাহমুদ এরকম আশঙ্কার কথা বললেন কেন?- এর পিছনে কি কোনো অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে?

উল্লেখ্য যে, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই নানা রকম অসুখ বিসুখে ভুগছেন। তার বয়স আশির কাছাকাছি। এ রকম বয়সে একজন মানুষের নানা রকম রোগ থাকবে- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তিনি এসব রোগশোক নিয়েও ফিরোজায় বেশ ভালই ছিলেন।’

একাধিক সূত্র আমাদেরকে জানিয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি ঘটেনি যে, তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করতে হবে।’ ফিরোজায় যখন ছিলেন তখন তিনি বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিত তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউ’তে সেরকম দেখা-সাক্ষাৎ করার সুযোগ খুব কম। আর এখানেই প্রশ্নটি উঠেছে, বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কি তাহলে বিএনপি কোন ভয়ঙ্কর খেলা খেলছে?

আমরা দেখছি যে, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর স্বাভাবিক মৃত্যুর পর এই মৃত্যুকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই মৃত্যুকে ঘিরে নানা রকম রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট জামায়াত। শুধু তাই নয়, জামায়াত এই মৃত্যুর দিন ঢাকার শাহবাগ এলাকায় তাণ্ডব করেছে। জাতীয় শোক দিবসে চট্টগ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে। জামায়াত সামনের দিনগুলোতে এই নিয়ে আরো অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাহলে কি বিএনপি জামায়াতের মডেল অনুসরণ করবে?

এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়া পুরোপুরি বিএনপির নিয়ন্ত্রণে। এই সময় যদি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটানো হয়, ইচ্ছা করে যদি তাকে শঙ্কার মধ্যে ফেলা হয়, তাহলে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? বিভিন্ন মহল মনে করছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক জিয়ার রাজনৈতিক মতপার্থক্য এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার কারণেই বিএনপি চরমপন্থার কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারছে না। কারণ বিএনপি এক দফা ঘোষণার পরে বেগম জিয়া চারবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ডেকে নেন এবং আন্দোলন করার ক্ষেত্রে আগে সংগঠনকে গুছানোর পরামর্শ দেন। পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এখনো বিএনপি’র মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তি। বিশেষ করে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাদের কাছে বেগম খালেদা জিয়া অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে তুলনায় তারেক জিয়া একজন মতলববাজ, ধূর্ত, সুবিধাবাদী এবং উদ্ধত রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচিত। তারেককে অনেকে ভয় পায় বটে, কিন্তু তাকে ভালোবাসে না।,

তারেক বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র- এজন্য তার নেতৃত্ব নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলে না। কিন্তু তার নেতৃত্বের যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপিতে আলাপ-আলোচনা হয়। আর তারেক এখন বিএনপিতে নিরঙ্তুশ কর্তৃত্ব গ্রহণ করতে চান। সেই কর্তৃত্বের পথে বেগম খালেদা জিয়া, তার প্রধান বাধা। তাহলে কি তারেক জিয়া এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান? বেগম খালেদা জিয়ার যদি কোন ক্ষতি হয়, বেগম খালেদা জিয়ার যদি শারীরিক অবস্থার কোনো বড় বিপর্যয় ঘটে, তাহলে তারেক জিয়ার দুটি আকাঙ্ক্ষা একবারেই পূরণ হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তাহলে বিএনপির নেতৃত্বে তিনি ভারমুক্ত হবেন। আবার পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে পুঁজি করে সাঈদী স্টাইলে সারাদেশে তাণ্ডব চালাতে পারবেন।,

ইতিমধ্যে বিএনপি আন্দোলনের পথ খুঁজে পাচ্ছে না। তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গিয়ে একটু চাপেই পড়েছে। কারণ এই পদযাত্রা-সমাবেশের মধ্যে আন্দোলন করে বিএনপি সরকারকে চাপে ফেলতে পারছে না। তাই সারাদেশে ভাঙচুর তাণ্ডব, যা ২৯ জুলাই বিএনপি করেছিল, তেমনটি করতে গেলে তাদের লাশ প্রয়োজন। আর এক্ষেত্রে তারা যদি এরূপ একটি অনভিপ্রেত, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়ে যদি রাজনীতির মাঠকে নিয়ন্ত্রণহীন করে, তাহলে অবাক হবার কিছু থাকবে না। এর আগেও একই রকম ঘটনা দেখা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার রায় হয় ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে তিনি লন্ডনে ছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনেই থাকতে চেয়েছিলেন রায় পর্যন্ত। কিন্তু তারেক জিয়া তখনও এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছেন। তাদের হিসাব ছিল বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হলে, সারাদেশে মানুষের ঢল নামবে। একটি পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে। কিন্তু সেরকম কিছুই ঘটেনি। এখন কি তারেক জিয়ার এই নিষ্ঠুরতার বলি হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া? এই প্রশ্ন এখন অনেকের।