ঢাকা ০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা গাজীপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিজিট  পালিত ছেলেকে হারানো ছেলের আসনে বসিয়েছি, সে রোহিঙ্গা নয়: আব্দু সালাম

যেভাবে কমাবেন শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি বরাবরই ছিল। এখন তা আরও বাড়ছে। কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য তারা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।

বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব

কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুনঃ শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

সময় বেঁধে দিনঃ এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা-শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে’।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুনঃ ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুনঃ শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।,

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যেভাবে কমাবেন শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: মোবাইলের প্রতি শিশুদের আসক্তি বরাবরই ছিল। এখন তা আরও বাড়ছে। কখনও পড়াশোনা কিংবা গেম খেলার জন্য আবার কখনও ইউটিউব দেখার জন্য তারা ফোনে মুখ গুঁজে বসে থাকছে। ফলে এর কুপ্রভাব পড়ছে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর।

এ জন্য মা-বাবাও অনেকখানি দায়ী। নিজেদের ব্যস্ততার সময়ে হয়তো চিন্তাভাবনা না করেই শিশুদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন স্মার্টফোন। দিনে দিনে সেই যন্ত্রই হয়ে উঠেছে শিশুটির বন্ধু।

বকুনি দিয়ে কিংবা মেরে শিশুকে শাসন করবেন না কিংবা তার কাছ থেকে স্মার্টফোন কখনো কেড়ে নিবেন না। বুঝিয়ে যত্ন সহকারে তার মধ্যে অন্য কাজের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে হবে। শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন সেসব

কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ শিশুর হাতে যে ডিভাইস দিচ্ছেন তাতে কঠিন পাসওয়ার্ড সেট করুন। এতে আপনি ছাড়া সে মোবাইল ফোন বা ডিভাইসের লক খুলতে পারবে না। ফলে যখন তখন আপনার অজান্তে মোবাইল ফোন ব্যবহারও করতে পারবে না।

ঘরে খেলার ব্যবস্থা করুনঃ শিশুর জন্য ঘরেই খেলার পরিবেশ তৈরি করে দিন। এতে শিশু বাইরে যেতে না পারলেও ঘরেই নিজের মতো খেলতে পারবে।

সময় বেঁধে দিনঃ এই সময়ে প্রযুক্তি থেকে শিশুদের দূরে রাখা বাস্তবসম্মত নয়। দক্ষ করে গড়ে তুলতেও শিশুদের স্মার্টযন্ত্রের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। কার্টুন দেখা, গেম খেলা-শিশুদের খুবই স্বাভাবিক প্রবণতা। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি কাজে তাকে সময় বেঁধে দিন। সময় শেষে তাকে বুঝিয়ে যন্ত্রটি সরিয়ে আনুন। এতে তার মধ্যে যেমন সময়ানুবর্তিতা তৈরি হবে, তেমনি পর্দার প্রতি আসক্তিও কমে আসবে’।

শিশুকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুনঃ ছবি আঁকা, নতুন কিছু বানানো বা গাছের পরিচর্যা করতে উৎসাহিত করুন শিশুকে। বাড়ির আশেপাশে পার্ক থাকলে বিকেলে শিশুকে নিয়ে ঘুরতে যান। ঘরের কাজেও তাদেরকে সাহায্য করতে বলতে পারেন।

শিশুর সঙ্গে প্রচুর কথা বলুনঃ শিশুর হাতে স্মার্টফোন তুলে না দিয়ে বরং ঐ সময়ে আপনি নিজে গল্প করুন তার সঙ্গে। গল্প বলা, বই পড়ে শোনানো, কবিতা বলা বা গান গেয়ে শোনানোর মতো কাজগুলো করলে যেমন শিশুর বুদ্ধির বিকাশ দ্রুত হবে, তেমনি মোবাইল আসক্তিও কমে যাবে।,

উপহার হিসেবে স্মার্টফোন নয়ঃ অনেক অভিভাবকই সন্তানকে কোনো কাজের প্রণোদনা হিসেবে স্মার্টফোন উপহার দিতে চান। এতে শিশুটি নিজের কাজে মনোযোগী হয় ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে শিশুটির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।