আইনি লড়াইয়ে কোণঠাসা ইউনূসের শেষ ভরসা যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ১০:১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ৫২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: একের পর এক আইনি লড়াইয়ে ব্যাকফুটে যাচ্ছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে দান কর প্রদান সংক্রান্ত মামলায় তিনি হেরে যান। এরপর তাকে ১২ কোটির বেশি টাকা দান কর হিসেবে প্রদান করতে হয়। সে টাকা তিনি পরিশোধ করেছেন। দান কর মামলার রেশ কাটতে না কাটতেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আজ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম লঙ্ঘন আইনে মামলা চলবে বলেও জানিয়েছেন। এর ফলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিম্ন আদালতে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে যে মামলা সে মামলা লড়তে হবে।’ এটি ইউনূসের জন্য একটি বড় ধরনের বিড়ম্বনা। তবে শুধু এটিই নয়, গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ পাচার সংক্রান্ত একটি দুর্নীতির তদন্ত এখনও করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই অভিযোগে বলা হয়েছে যে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন’।
মামলার ভারে জর্জরিত ড. ইউনূস এখন আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরপাক খাচ্ছেন। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত নিরপেক্ষ এবং পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সম্পর্কে এই রায় প্রদান করেছে। রায়ের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। প্রচলিত আইনি লড়াইয়ে বিপর্যস্ত ইউনূসের এখন শেষ ভরসা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এইসব বিষয় নিয়ে নালিশও করেছেন।’
একাধিক সূত্র বলছে, ড. ইউনূসের সঙ্গে নিয়মিতভাবে মার্কিন দূতাবাসের লোকজন যোগাযোগ করছেন এবং তারা তাকে এখন পর্যন্ত আশ্বস্ত করেছেন। অনেকেই মনে করেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে টানাপোড়েন তার মধ্যে একটি বড় কারণ হল ড. ইউনূস। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারণেই বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নাক গলাচ্ছে বলেও সরকারের দায়িত্বশীল অনেকে মনে করেন। বিশেষ করে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে বয়স জনিত কারণে যখন তিনি অবসরে যান, তখন থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে তিনি লাগাতার অপপ্রচার করছেন।’
বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ডেমোক্র্যাট দলের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। ডেমোক্রেটিক দলের প্রভাবশালী বিল ক্লিনটন পরিবারের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব রয়েছে এবং যখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থেকে অবসর দেওয়া হয়েছিল তখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ওকালতি করতে ফোন করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তিনি ডেমোক্রেটিক দলের এবং হিলারি ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। আর কারণেই তিনি এখন এই সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম অভিযোগ করছেন।’
অনেকে মনে করেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন পেশাদার লবিস্ট এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অনেকের পক্ষেও তিনি লবিং করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগে বাংলাদেশের গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পক্ষ থেকেও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লবিং করতে গিয়েছিলেন। পেশাদার এই লবিস্ট কি তাহলে স্বাধীনতাবিরোধী বা অন্য কোনো শক্তির হয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লবিং করছেন নাকি তিনি নিজেকে আইনি লড়াই থেকে বাঁচার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ওপর নির্ভর করছেন? তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ড. ইউনূসের বিষয় নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এবং সার্বক্ষণিক খবর রাখছে এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই।’