ঢাকা ০৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

ভারত আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে কী পাপ করল বিএনপকে প্রশ্ন নানকের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ২৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, গণমাধ্যমে এসেছে, ভারত আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি গুরুত্ব বুঝে শেখ হাসিনাকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। এতে ভারত কী এমন পাপটা করল মির্জা ফখরুল সাহেব? কেন তিনি ভারতের বিরুদ্ধে বললেন-ভারত যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমরা সেটা স্বাভাবিক ভাবে নিব না। আসলে আপনারা (মির্জা ফখরুল) স্বাভাবিক ভাবে কিছুই মানেন না।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারত যখন মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে, সেটি কী ছিল তাহলে? সেদিন তো ভারতের সেনাবাহিনীর রক্ত ঝড়েছে, জীবন দিয়েছে। তাহলে কি ফখরুল সাহেব পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সুরে বলবেন-ভারতের সেনাবাহিনীরা অনুপ্রবেশকারী ছিলেন?

শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’ শীর্ষক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে লড়াই চলছে। এই লড়াই যদি জিততে না পারি বাংলাদেশ পাকিস্তানের পরিনত হবে। এই আদর্শিক লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনা। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে।’

১৯৭৫ সালের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে আনন্দ ছিল। কারণ ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আশার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর। কিন্তু ১৪ আগস্ট হটাৎ মধ্যে রাতে গুলি ও কামানের শব্দে পুরো ঢাকা শহর স্তব্ধ হয়ে গেল। খবর এলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন আওয়ামী লীগের দুর্বলতা, কাপুরুষতার কারণে হত্যার প্রতিবাদ করতে পারি নাই।

তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। তার বড় প্রমান হল হত্যার বিচার করা যাবে না ইনডেমনিটি আইন করলেন। সেই আইনের কারণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিচার চাইতে পারেনি। হত্যাকারীদের দেশ থেকে সহজে চলে যেতে সাহায্য করেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। মূলত জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।”

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান অত্যাচারের স্টিমার রোলার চালায় আমাদের উপর। জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করলেন খুনি জিয়াউর রহমান। তার সময় বঙ্গবন্ধু নাম নেয়া পাপ ছিল। এই ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।’

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, পৃথিবীতে অনেক হত্যা কাণ্ড আমরা দেখেছি। কিন্তু একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ তার পুরো পরিবার কে হত্যা করা আমরা দেখিনি। সেদিন কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাকে হত্যা করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের আদলে দেশ পরিচালিত করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল দাসের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারত আমেরিকাকে বার্তা দিয়ে কী পাপ করল বিএনপকে প্রশ্ন নানকের

আপডেট সময় : ১১:৫১:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, গণমাধ্যমে এসেছে, ভারত আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতি গুরুত্ব বুঝে শেখ হাসিনাকে ডিস্টার্ব করা যাবে না। এতে ভারত কী এমন পাপটা করল মির্জা ফখরুল সাহেব? কেন তিনি ভারতের বিরুদ্ধে বললেন-ভারত যদি আমাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে আমরা সেটা স্বাভাবিক ভাবে নিব না। আসলে আপনারা (মির্জা ফখরুল) স্বাভাবিক ভাবে কিছুই মানেন না।

তিনি বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, ভারত যখন মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সাহায্য করেছে, সেটি কী ছিল তাহলে? সেদিন তো ভারতের সেনাবাহিনীর রক্ত ঝড়েছে, জীবন দিয়েছে। তাহলে কি ফখরুল সাহেব পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সুরে বলবেন-ভারতের সেনাবাহিনীরা অনুপ্রবেশকারী ছিলেন?

শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে’ শীর্ষক স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।’

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আজকে লড়াই চলছে। এই লড়াই যদি জিততে না পারি বাংলাদেশ পাকিস্তানের পরিনত হবে। এই আদর্শিক লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে শেখ হাসিনা। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য ছাত্রলীগকে সতর্ক থাকতে হবে।’

১৯৭৫ সালের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাঝে আনন্দ ছিল। কারণ ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আশার কথা ছিল বঙ্গবন্ধুর। কিন্তু ১৪ আগস্ট হটাৎ মধ্যে রাতে গুলি ও কামানের শব্দে পুরো ঢাকা শহর স্তব্ধ হয়ে গেল। খবর এলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। সেদিন আওয়ামী লীগের দুর্বলতা, কাপুরুষতার কারণে হত্যার প্রতিবাদ করতে পারি নাই।

তিনি বলেন, জেনারেল জিয়া বঙ্গবন্ধুর হত্যা কান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল। তার বড় প্রমান হল হত্যার বিচার করা যাবে না ইনডেমনিটি আইন করলেন। সেই আইনের কারণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিচার চাইতে পারেনি। হত্যাকারীদের দেশ থেকে সহজে চলে যেতে সাহায্য করেন জিয়াউর রহমান। তিনি হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। মূলত জিয়াউর রহমান সরাসরি বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।”

আওয়ামী লীগের এই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান অত্যাচারের স্টিমার রোলার চালায় আমাদের উপর। জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করলেন খুনি জিয়াউর রহমান। তার সময় বঙ্গবন্ধু নাম নেয়া পাপ ছিল। এই ইতিহাস আমাদের ভুলে গেলে চলবে না।’

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, পৃথিবীতে অনেক হত্যা কাণ্ড আমরা দেখেছি। কিন্তু একটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান সহ তার পুরো পরিবার কে হত্যা করা আমরা দেখিনি। সেদিন কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে নাই। তাকে হত্যা করেছে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের আদলে দেশ পরিচালিত করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি কাজল দাসের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ।’