ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংলাপ,পর্দার আড়ালে সমঝোতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবম নিরাপত্তা সংলাপ এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এটি কবে অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আসছে নির্বাচনের আগে এই সংলাপে বসতে যাচ্ছে দুই দেশের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর সেক্টরভিত্তিক বিভিন্ন সংলাপ আয়োজিত হয়ে থাকে। এই নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে উভয় দেশের রাজধানীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০২২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অষ্টম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর ধারাবাহিকতায় সংলাপের নবম আসর এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি। কবে নাগাদ এই সংলাপ হবে, তার দিনক্ষণ মুখপাত্র না জানালেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তা হতে পারে।

ঢাকা-ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো নিয়মিত নাকি বিশেষ পর্যায়ের-এমন প্রশ্নে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, সাম্প্রতিক বৈঠক, সংলাপ কিংবা উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের সফর বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্কের নিয়মিত প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একক রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও তারা সর্বাগ্রে অবস্থান করছে। ফলে একটি গতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসাবে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আলোচনা হয়ে থাকে।’

কিন্তু কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, মূলত বিএনপির আন্দোলন সেরকম কোনো আশা-জাগানিয়া ফলাফল দেখাতে না পারায়, এখন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে একটি সমঝোতায় আসতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা সত্যি যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের প্রকাশ্য অবস্থানের পর বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো কিছুটা নমনীয় হতে চলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবম নিরাপত্তা সংলাপ একটি ধারাবাহিক কর্মকান্ড হলেও এবারের নবম নিরাপত্তা সংলাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সংলাপটি আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সংলাপে নির্বাচনের ব্যাপারটি, নির্বাচনে সহিংসতা, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন প্রভৃতি বিষয় উঠে আসবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।,

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক এখনো অনুরোধ জানায়নি বলেও জানিয়েছেন সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক এখন পর্যন্ত অনুরোধ জানায়নি। তবে গত ৯-২৩ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি নির্বাচনি প্রাক-মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এরূপ একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসার পূর্বেই, অর্থাৎ সেপ্টম্বরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল যদি আসে, তারা আসবেন অক্টোবরে। কিন্তু এই সংলাপেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সফরে আসলেও সেটা হবে আই-ওয়াস’।

ওই দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের আটটি হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ নির্মাণের খবরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, সরকারের কাছে এই বিষয়ক পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদে চীন ৮টি হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে পানির সুষম বণ্টন হবে না। পর্যাপ্ত পানি না পেলে বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ চীনের কাছে জানতে চেয়েছে কি? যদি জানতে চায় তাহলে চীনের উত্তর কী?এ প্রশ্নে সেহেলী বলেন, আমরা এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি, যা পরে জানানো হবে। পানি বণ্টন নিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হওয়ার কোনো আলোচনা শুরু হয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি।,

বিশ্লেষকরা মনে করছেন,এবার বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার নিরাপত্তা সংলাপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংলাপে মূলত পর্দার অন্তরালে একটি গোপন সমঝোতাই করা হবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাথে চীন সম্পর্কের সূত্র নিয়েও এই নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হতে পারে। যেহেতু চীনের বলয় থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রেখে নিজেদের বলয়ে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে একটি সমঝোতার আশা করা যেতেই পারে। ভারতের সাথে চীনের সীমান্ত সমস্যা, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পক্ষে ভারতের প্রকাশ্য অবস্থান-এসব বিষয় নিয়েও নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হতে পারে। আর এসব আলোচনায় নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমঝোতা হতেই পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংলাপ,পর্দার আড়ালে সমঝোতা

আপডেট সময় : ০৮:১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবম নিরাপত্তা সংলাপ এবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে এটি কবে অনুষ্ঠিত হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। আসছে নির্বাচনের আগে এই সংলাপে বসতে যাচ্ছে দুই দেশের কর্মকর্তারা। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রতি বছর সেক্টরভিত্তিক বিভিন্ন সংলাপ আয়োজিত হয়ে থাকে। এই নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে উভয় দেশের রাজধানীতে পর্যায়ক্রমে প্রতিবছর নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ২০২২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে অষ্টম যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ায় এর ধারাবাহিকতায় সংলাপের নবম আসর এ বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি। কবে নাগাদ এই সংলাপ হবে, তার দিনক্ষণ মুখপাত্র না জানালেও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে তা হতে পারে।

ঢাকা-ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো নিয়মিত নাকি বিশেষ পর্যায়ের-এমন প্রশ্নে মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, সাম্প্রতিক বৈঠক, সংলাপ কিংবা উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের সফর বিদ্যমান বহুমাত্রিক সম্পর্কের নিয়মিত প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বহুমাত্রিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একক রপ্তানি বাজার এবং বাংলাদেশে সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ। এছাড়া রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রেও তারা সর্বাগ্রে অবস্থান করছে। ফলে একটি গতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশ হিসাবে ঢাকা-ওয়াশিংটনের মধ্যে নিয়মিতভাবে বিভিন্ন আলোচনা হয়ে থাকে।’

কিন্তু কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, মূলত বিএনপির আন্দোলন সেরকম কোনো আশা-জাগানিয়া ফলাফল দেখাতে না পারায়, এখন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে একটি সমঝোতায় আসতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। এ কথা সত্যি যে, বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের প্রকাশ্য অবস্থানের পর বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয়তো কিছুটা নমনীয় হতে চলেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নবম নিরাপত্তা সংলাপ একটি ধারাবাহিক কর্মকান্ড হলেও এবারের নবম নিরাপত্তা সংলাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সংলাপটি আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সংলাপে নির্বাচনের ব্যাপারটি, নির্বাচনে সহিংসতা, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর আন্দোলন প্রভৃতি বিষয় উঠে আসবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।,

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক এখনো অনুরোধ জানায়নি বলেও জানিয়েছেন সেহেলী সাবরীন। তিনি বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক এখন পর্যন্ত অনুরোধ জানায়নি। তবে গত ৯-২৩ জুলাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি নির্বাচনি প্রাক-মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এরূপ একটি প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর করার কথা রয়েছে। মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, আসন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষককে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক জারিকৃত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হবে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসার পূর্বেই, অর্থাৎ সেপ্টম্বরের শেষের দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের নিরাপত্তা সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল যদি আসে, তারা আসবেন অক্টোবরে। কিন্তু এই সংলাপেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানের একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সেক্ষেত্রে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে সফরে আসলেও সেটা হবে আই-ওয়াস’।

ওই দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের আটটি হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ নির্মাণের খবরের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সেহেলী সাবরীন বলেন, সরকারের কাছে এই বিষয়ক পর্যাপ্ত তথ্য নেই। তখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, ব্রহ্মপুত্র নদে চীন ৮টি হাইড্রোইলেকট্রিক বাঁধ দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, এতে পানির সুষম বণ্টন হবে না। পর্যাপ্ত পানি না পেলে বাংলাদেশ বিপর্যস্ত হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ চীনের কাছে জানতে চেয়েছে কি? যদি জানতে চায় তাহলে চীনের উত্তর কী?এ প্রশ্নে সেহেলী বলেন, আমরা এ বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছি, যা পরে জানানো হবে। পানি বণ্টন নিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি হওয়ার কোনো আলোচনা শুরু হয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এ বিষয়ে কোনো আলোচনা শুরু হয়নি।,

বিশ্লেষকরা মনে করছেন,এবার বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার নিরাপত্তা সংলাপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সংলাপে মূলত পর্দার অন্তরালে একটি গোপন সমঝোতাই করা হবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সাথে চীন সম্পর্কের সূত্র নিয়েও এই নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হতে পারে। যেহেতু চীনের বলয় থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রেখে নিজেদের বলয়ে চায় যুক্তরাষ্ট্র। সে বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে একটি সমঝোতার আশা করা যেতেই পারে। ভারতের সাথে চীনের সীমান্ত সমস্যা, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের পক্ষে ভারতের প্রকাশ্য অবস্থান-এসব বিষয় নিয়েও নিরাপত্তা সংলাপে আলোচনা হতে পারে। আর এসব আলোচনায় নিরাপত্তা সংলাপে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সমঝোতা হতেই পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।