ঢাকা ১০:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ৪২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বানারীপাড়ায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ‘টকশো ব্যক্তিত্ব’ একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার পক্ষ থেকে বানারীপাড়া ও উজিরপুরে জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবারের সদস্যের ছবিসহ শ্রদ্ধাঞ্জলির ৯০টি বড় সাইজের ব্যানার লাগানো হয়। এর বেশ কয়েকটি ব্যানার ছিঁড়ে ও ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।’

এ সম্পর্কে একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ব্যক্তিগত সহকারী এনাম আহমেদ বলেন, আমরা ১২ আগস্ট থেকে ব্যানার লাগানো শুরু করি। ১৪ আগস্ট বানারীপাড়ার রায়হাট ও শিমুলতলা নামক স্থানে আমাদের ফ্রেমসহ ব্যানার রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়।’

এ ব্যাপারে একে ফাইয়াজুল হক রাজু তার ফেসবুক আইডিতে স্যাটাটাস দিয়ে র্শীষ এক জনপ্রতিনিধিকে ইঙ্গিত করে তার লোকজন এ ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে দাবি করে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি এদেরকে নব্য খন্দকার মোশতাক, ভন্ড, প্রতারক ও কাপুরুষ বলে অভিহিত করে লেখেন, এদের দেহ যত বড়, মন ততটাই ছোট ও কুটিল বুদ্ধিতে ঠাসা । এরা ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমির হোসেন আমু, এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে একে ফায়জুল হকের বিরোধীতা করে। ওই সময় প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার নদীতে ভাসিয়ে দেয়। সেখানেও ছিল জননেত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি।

এ প্রসঙ্গে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন,১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এটা অতি জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিগগিরই আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’

এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এস এম মাসুদুল আলম চৌধূরী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

প্রসঙ্গত, শেরে বাংলার একমাত্র তনয় ও একে ফাইয়াজুল হক রাজুর পিতা প্রয়াত একে ফায়জুল হক ১৯৭০.৭৯ ও ৯৬ সালে বরিশাল সংযুক্ত পিরোজপুর বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অভিপ্রায়ে একে ফাইয়াজুল হক রাজু ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে নৌকার টিকিট পেতে চান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

আপডেট সময় : ০৯:৪৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের বানারীপাড়ায় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের দৌহিত্র আওয়ামী লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য বিশিষ্ট ‘টকশো ব্যক্তিত্ব’ একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার পক্ষ থেকে বানারীপাড়া ও উজিরপুরে জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার শহীদ পরিবারের সদস্যের ছবিসহ শ্রদ্ধাঞ্জলির ৯০টি বড় সাইজের ব্যানার লাগানো হয়। এর বেশ কয়েকটি ব্যানার ছিঁড়ে ও ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা।’

এ সম্পর্কে একে ফাইয়াজুল হক রাজুর ব্যক্তিগত সহকারী এনাম আহমেদ বলেন, আমরা ১২ আগস্ট থেকে ব্যানার লাগানো শুরু করি। ১৪ আগস্ট বানারীপাড়ার রায়হাট ও শিমুলতলা নামক স্থানে আমাদের ফ্রেমসহ ব্যানার রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ও ভেঙে ফেলা হয়।’

এ ব্যাপারে একে ফাইয়াজুল হক রাজু তার ফেসবুক আইডিতে স্যাটাটাস দিয়ে র্শীষ এক জনপ্রতিনিধিকে ইঙ্গিত করে তার লোকজন এ ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে দাবি করে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি এদেরকে নব্য খন্দকার মোশতাক, ভন্ড, প্রতারক ও কাপুরুষ বলে অভিহিত করে লেখেন, এদের দেহ যত বড়, মন ততটাই ছোট ও কুটিল বুদ্ধিতে ঠাসা । এরা ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আমির হোসেন আমু, এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে একে ফায়জুল হকের বিরোধীতা করে। ওই সময় প্রার্থীর নির্বাচনী পোস্টার নদীতে ভাসিয়ে দেয়। সেখানেও ছিল জননেত্রী ও বঙ্গবন্ধুর ছবি।

এ প্রসঙ্গে ফাইয়াজুল হক রাজু বলেন,১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এটা অতি জঘন্য ও ঘৃণিত কাজ। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। শিগগিরই আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।’

এ ব্যপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) এস এম মাসুদুল আলম চৌধূরী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

প্রসঙ্গত, শেরে বাংলার একমাত্র তনয় ও একে ফাইয়াজুল হক রাজুর পিতা প্রয়াত একে ফায়জুল হক ১৯৭০.৭৯ ও ৯৬ সালে বরিশাল সংযুক্ত পিরোজপুর বানারীপাড়া-স্বরূপকাঠি আসনে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পিতার মত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার অভিপ্রায়ে একে ফাইয়াজুল হক রাজু ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনে নৌকার টিকিট পেতে চান।