সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত! মিথ্যা মামলায় হাজতে প্রেরণ
- আপডেট সময় : ১০:৪০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ওমরদিঘী বন্দর এলাকায় সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত! মিথ্যা মামলা দায়ের করে হাজতে প্রেরণ করেন।
চাল ক্রয়-বিক্রয় সিন্ডিকেটের পক্ষ নিলেন বগুড়ার শাহজাহানপুর থানার ওসি; অবশেষে সাংবাদিকদের আইডি কার্ড, ক্যামেরা থাকা সত্বেও দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ১৫ টাকা কেজি দরে চাউল ক্রয়-বিক্রয়ের সিন্ডিকেটদের বাঁচাতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে শক্ত ধারায় মামলা ফাইল রেডি করেছেন শাহজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম। যেকোন মূল্যে বাঁচাতে তিনি মরিয়া হয়ে পড়েছেন। ১৯ আগস্ট রাতে বগুড়া থেকে যাওয়া বিএমএসএফ এর নেতৃবৃন্দ সহ শাজাহানপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ সাংবাদিক বৃন্দ আটকদের প্রকৃত সাংবাদিক হিসাবে শনাক্ত করার পরেও ওসি তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। সাংবাদিক বৃন্দের হাতে নাতে পাওয়া সরকারি চাল থাকার পরেও চাল সিন্ডিকেটদের বাঁচাতে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাির মামলা দায়ের করেন।স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান ইতি পূর্বে ওই এলাকায় বিপুল পরিমান সরকারি চাল জব্দ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি চাল কেনা বেচা হচ্ছে জেনে তিন সাংবাদিক ঘটনা স্থলে যান। ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাল ব্যাবসায়ী আসিকুর রহমান সংগে থাকা লোকজন ভুয়া ডিবি বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে এবং মারধর শুরু করে একপর্যায়ে তারা সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দেন এবং আইডি কার্ড দেখালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে জানান। এসময় স্থানীয়রা সাংবাদিক আটকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েদেন।
পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরেও ভূয়া ডিবি পরিচয় দানকারী ও চাঁদাবাজ হিসাবে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান আটককৃতদের কাছ থেকে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড, ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন পেয়েছি, যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকোট রাখা আছে। আটককৃতদের পরিবার চাইলে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।