ভুস্বর্গীয় রুপে ফিরেছে বৃহত্তম চলনবিল
- আপডেট সময় : ০৬:৪০:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩ ২৯ বার পড়া হয়েছে
সিংড়া (নাটোর) সংবাদদাতা: পর্যটকদের জন্য এমনই অপরূপ সৌন্দর্য মেলে ধরেছে প্রানের চলনবিল। তবে চলতি বছর দেরিতে হলেও বর্ষার আগমনে প্রান ফিরেছে চলনবিলের। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমের এই সময়ে চলনবিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা।
প্রায় ১১৫০ বর্গকিলোমিটার চলনবিল আবহমান বাংলার হৃদয়কাড়া অপরূপ সৌন্দর্য আর ইতিহাস-ঐতিহ্যমণ্ডিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভরপুর উত্তর জনপদের বিরল প্রাকৃতিক জলসম্পদ দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল। বিশাল অবয়ব আর ঐতিহ্যে ভরা কিংবদন্তির ভাণ্ডার চলনবিলে বর্ষার বিপুল জলরাশি, প্রাকৃতিক মাছ আর অজস্র পাখির সমারোহ যে কোনো পর্যটকের হৃদয় কাড়ে।
তাই বর্ষা মৌসুমের প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রকৃতিপ্রেমী হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে শত শত নৌকা ছুটে বেড়ায় চলনবিলের বুকচিরে। চলনবিলের দর্শনীয় স্থানগুলো মূলত বর্ষাকালেই বেশি আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। এ সময়েই থৈ থৈ পানির কারণে সব জায়গায় যাওয়াটাও সহজ।
প্রয়োজনীয় ব্যাক্তিগত ও স্থানিয় প্রতিনিধিদের উদ্যোগে, বিবিন্ন স্থাপনা,রাস্তাঘাট,ব্রিজ সহ যথাযথ পরিকল্পনায় আকর্ষনীয় রুপ নিয়েছে চলনবিল।
বর্ষায় এসব এলাকায় রাস্তার উভয় পাশেই দেখা মেলে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশির। প্রায় ৩৫০ বছর আগে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া এলাকায় ইসলাম প্রচার করতে আসা ঘাসী-ই-দেওয়ানের তিশিখালীর মাজার সহ সিংড়া-তারাশ সাবমারসিবল রাস্তা ও চলনবিল পরযটণ কেন্দ্রকে ঘিরে আলড়ন সৃষ্টি করেছে প্রাকৃতিক সৌন্দযের লিলাভুমি চলনবিল। এখানে শুক্রবারসহ সপ্তাহের অন্যান্য দিন হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে। এর পাশেই বিশাল জলরাশির মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন পার্ক।
স্থানীয় এমপি এ্যড.জুনাইদ আহমেদ পলকের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সিংড়ার পয়েন্ট,সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া ও তিশিখালি এখন পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।
বিশ্রামাগার বা রাত্রিযাপনের সুব্যবস্থা না থাকায় দূরাগত ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা বেড়াতে এসে কিছুটা বিপাকে পড়েন। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য রিসোর্ট নির্মাণসহ যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা আর পরিকল্পিত উদ্যোগের কারনে বৃহত্তম জল সম্পদ চলনবিল দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠবে আগামির চলনবিল।