মক্কায় ইসলামের আলোকে সু স্বাস্থ্য অর্জন’শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে
- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩ ৩২ বার পড়া হয়েছে
মক্কা(সৌদি আরব) সংবাদদাতা: সোমবার(২১ আগষ্ট) বাংলাদেশ বিজনেস সোসাইটি(মক্কা-জেদ্দা) উদ্যোগে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি লিডার মুহাম্মদ নাছের খান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামি স্কলার,ঢাকা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম আলোচক মাওলানা খন্দকার মাহাবুবুল হক। যুব সংগঠক আবুল কাশেম হারুনের সঞ্চালনায়,বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সি আই পি মুহাম্মদ ফারুক,বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ সাইয়েদ আলম,লোহাগাড়া প্রবাসী সমিতি সৌদি আরব’র সাধারণ সম্পাদক তারেক আজিজ চৌধুরী,সমাজ সেবক আলহাজ এমরান আবদূল আলিম,সংগঠক মীর মোবারক হোসাইন,সংগঠক মুহাম্মদ ওসমান,সংগঠক মুহাম্মদ আব্দুল কাদের, মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথি মাওলানা খন্দকার মাহাবুবুল হক বলেন, বর্তমানে কর্মক্ষেত্রের কর্মক্ষমতা এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সচেতনতার ওপর মনোযোগ দেয়া খুবই জরুরি। তিনি প্রবাসীদের কে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জন্য আহবান করেন। শারীরিক স্বাস্থ্য বলতে সাধারণ স্বাস্থ্য বোঝায়। ইসলাম প্রতিটি মানুষের সুস্বাস্থ্যের জন্য সুষম খাবার এবং শরীরচর্চার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে মানুষ, জমিনে যা আছে, তা থেকে হালাল পবিত্র বস্তু আহার করো এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তাআলা কতগুলো খাবার হারাম ঘোষণা করেছেন এবং এগুলো থেকে বেঁচে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ছাড়াও স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য রোজা রাখার প্রতি ইসলাম গুরুত্ব আরোপ করেছে এবং রোজাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ইসলামে সুস্বাস্থ্য, শক্তি-সামর্থ্য অর্জন এবং শরীরের সামগ্রিক উন্নতির জন্য নিজেদের শারীরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক পাঁচবার নামাজের মাধ্যমে শরীরচর্চা তার একটি প্রকৃষ্ট উপায়। এর মাধ্যমে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ নড়াচড়া হয় এবং মাংসপেশি প্রসারিত হয়। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকে। নামাজের মাধ্যমে ইবাদতের প্রতি বেশি মনোযোগী হতে হয় এবং আল্লাহর স্মরণে গভীর মনোনিবেশ করতে হয়। আর এই কাজটিতে মানুষের মানসিক ও শারীরিক চাপ অপসারিত হয়। যদি শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাহলে মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য যেমন প্রবল হয়, তেমনি তার মধ্য থেকে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা বিদূরিত হয়।
ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটি লিডার মুহাম্মদ নাছের খান চৌধুরী সভাপতির সমাপনী বক্তব্য মানসিক এবং শারীরিক উভয় স্বাস্থ্যের সাথে যুক্ত জনস্বাস্থ্যের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং উপস্থিতি সকল কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।