ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩ ৮২ বার পড়া হয়েছে

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

বাঁচাতে মরিয়া তদন্ত কর্মকর্তা মুশাইব

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর এর ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর অতিঃ মহাপরিচালকের পত্রের আলোকে তদন্তে নেমেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অফিস। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অত্র অফিসের পরিদর্শক মুশাইব ড্রাইভার রাজনের একান্ত মানুষ হওয়ায় ড্রাইভারকে বাঁচাতে বিভিন্ন ফন্দি ও আইনের ফাঁক খোঁজছে এমনটি জানান অভিযোগকারীরা।

জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে পাহাড় খেকো, বালি খেকো, অবৈধ ইটভাটা থেকে মাসোহারা আদায় করে গোপনে অফিসের তথ্য পাছার, বিভিন্ন পরিবেশ ধ্বংসকারীদের সাথে গোপন আঁতাত করার কারনে অভিযানের আগেই খবর পেয়ে যায় পাহাড়, বালি ও বন খেকোরা। আর এতে করেই প্রতিমাসে লাখ টাকার উর্ধে তার আয় এমনটি অভিযোগ করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সংগঠকরা। এনিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন “কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি” গত বছর ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি কক্সবাজার অফিসের ডিডি।

কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি’র নেতারা এ নিয়ে ডিডি’র দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, রাজনের টাকার ভাগ ডিডিও পায়। তাই অভিযোগের কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে ড্রাইভারের স্ত্রীর বিকাশেও টাকা জমা হতো পরিবেশ ধংসকারীদের এমন অভিযোগ গুলো নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে পরবর্তীতে সেভ দ্যা এনভায়রনমেন্ট (সেব) নামক আর একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করলে অধিদপ্তরের অতিঃ মহাপরিচালক গত ১৮/০৭/২০২৩ ইং তারিখের ২২.০২.০০০০.০২.২৭.০১০.২২-১৯৬ স্মারক নং মুলে ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পঃ অঃ কক্সবাজার এর পরিচালক বরাবরে চিটি পাঠান।

তারই প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উক্ত অফিসের পরিদর্শক মুশাইবকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু জানা যায় এই পরিদর্শক মুশাইবের বিরুদ্ধে বিধি ভংগ করে ইটভাটার লাইসেন্স করে দেয়া সহ অবৈধ ইটভাটা থেকে মাসোহারা আদায়ে ড্রাইভার রাজনের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ শুনা যায়। আর এখন সেই পার্টনার ড্রাইভার রাজনকে অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে পরিদর্শক মুশাইব বিভিন্ন ফন্দি ও বিধি খোঁজছে এমন খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বের কর্মস্থলেও অনিয়ম করার কারনে একাধিক বিভাগীয় মামলার ফাঁদে ও পড়েছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। সেব এর নির্বাহী পরিচালক স,ম,ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবরে দিলে, জেলা প্রশাসক বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে পাঠান। অভিযোগটিও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রটের হাতে আইনগত প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুশাইব এর ব্যাক্তিগত মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এত গোপন কথা আপনি কিভাবে জানলেন এবং এই বিষয়ে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের এডি সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অফিসের ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে তদন্ত

আপডেট সময় : ০৬:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

কক্সবাজার সংবাদদাতা:

বাঁচাতে মরিয়া তদন্ত কর্মকর্তা মুশাইব

কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর এর ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর অতিঃ মহাপরিচালকের পত্রের আলোকে তদন্তে নেমেছে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তর অফিস। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা অত্র অফিসের পরিদর্শক মুশাইব ড্রাইভার রাজনের একান্ত মানুষ হওয়ায় ড্রাইভারকে বাঁচাতে বিভিন্ন ফন্দি ও আইনের ফাঁক খোঁজছে এমনটি জানান অভিযোগকারীরা।

জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে পাহাড় খেকো, বালি খেকো, অবৈধ ইটভাটা থেকে মাসোহারা আদায় করে গোপনে অফিসের তথ্য পাছার, বিভিন্ন পরিবেশ ধ্বংসকারীদের সাথে গোপন আঁতাত করার কারনে অভিযানের আগেই খবর পেয়ে যায় পাহাড়, বালি ও বন খেকোরা। আর এতে করেই প্রতিমাসে লাখ টাকার উর্ধে তার আয় এমনটি অভিযোগ করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সংগঠকরা। এনিয়ে পরিবেশবাদী সংগঠন “কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি” গত বছর ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি কক্সবাজার অফিসের ডিডি।

কক্সবাজার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন সোসাইটি’র নেতারা এ নিয়ে ডিডি’র দিকে আঙ্গুল তুলে বলেন, রাজনের টাকার ভাগ ডিডিও পায়। তাই অভিযোগের কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এদিকে ড্রাইভারের স্ত্রীর বিকাশেও টাকা জমা হতো পরিবেশ ধংসকারীদের এমন অভিযোগ গুলো নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হলেও কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এ নিয়ে পরবর্তীতে সেভ দ্যা এনভায়রনমেন্ট (সেব) নামক আর একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক স.ম.ইকবাল বাহার চৌধুরী পরিবেশ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক বরাবরে একটি অভিযোগ দাখিল করলে অধিদপ্তরের অতিঃ মহাপরিচালক গত ১৮/০৭/২০২৩ ইং তারিখের ২২.০২.০০০০.০২.২৭.০১০.২২-১৯৬ স্মারক নং মুলে ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করে ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পঃ অঃ কক্সবাজার এর পরিচালক বরাবরে চিটি পাঠান।

তারই প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য উক্ত অফিসের পরিদর্শক মুশাইবকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু জানা যায় এই পরিদর্শক মুশাইবের বিরুদ্ধে বিধি ভংগ করে ইটভাটার লাইসেন্স করে দেয়া সহ অবৈধ ইটভাটা থেকে মাসোহারা আদায়ে ড্রাইভার রাজনের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ শুনা যায়। আর এখন সেই পার্টনার ড্রাইভার রাজনকে অভিযোগ থেকে রক্ষা করতে পরিদর্শক মুশাইব বিভিন্ন ফন্দি ও বিধি খোঁজছে এমন খবর পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য যে ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বের কর্মস্থলেও অনিয়ম করার কারনে একাধিক বিভাগীয় মামলার ফাঁদে ও পড়েছে বলে একটি সূত্রে জানা যায়। সেব এর নির্বাহী পরিচালক স,ম,ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন ড্রাইভার রাজনের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবরে দিলে, জেলা প্রশাসক বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে পাঠান। অভিযোগটিও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রটের হাতে আইনগত প্রক্রিয়াধীন আছে।

এ বিষয়ে জানতে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মুশাইব এর ব্যাক্তিগত মোবাইলে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এত গোপন কথা আপনি কিভাবে জানলেন এবং এই বিষয়ে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের এডি সাথে কথা বলতে বলে ফোন কেটে দেয়।