ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট! 

জাতীয় ৪ নেতাকেও গ্রেফতার করল খুনী মোশতাক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তার খুনী মোশতাক বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে তার মন্ত্রীসভায় যোগদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের সাহসী ৪ জন নেতা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের সহযোগী ছিলেন। যারা সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করেছেন। খুনী মোশতাকের এই প্রস্তাব তারা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে দেন। এরপরে মোশতাক ব্যর্থ হয়ে ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এবং জেলখানার মধ্যেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত নেতারা হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী যুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।

স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতাকে হত্যা করে। এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সত্য যে, যারা পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারাই চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে।’

লক্ষণীয় ব্যাপার যে, খুনী মোশতাক যে মন্ত্রীসভা গঠন করেছিল সেই মন্ত্রীসভায় কোন প্রধানমন্ত্রী ছিল না। মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে তার সরকারে কোনও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত ছিল।’

১৯৭৫ সালের ১৭ আগস্ট খুনী মোশতাক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ধারণা করা হয় যে সেই সাক্ষাতে খুনী মোশতাক মনসুর আলীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মনসুর আলী সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে তাদের গ্রেফতার হওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিল না।’

মূলত বাংলাদেশে মুক্ষিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে চিরতরে ধ্বংস করা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতির কবর রচনা করে বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর মিশনেই জাতীয় চার নেতাসহ ২০ জনকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ৩ নভেম্বর কারাগারে এই চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু আদর্শের কাছে যে নিজের জীবনও তুচ্ছ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন জাতীয় চারনেতা।

খুনী মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনে যে নির্মমতা ও বর্বরতা তার সূচনাপর্ব মনে করা হয় এই ২৩ আগস্টকে। কারণ এই সময় থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গ্রেফতার, নির্মমতা নেমে আসে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জাতীয় ৪ নেতাকেও গ্রেফতার করল খুনী মোশতাক

আপডেট সময় : ০৯:৫৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর তার খুনী মোশতাক বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে তার মন্ত্রীসভায় যোগদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের সাহসী ৪ জন নেতা যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত কাছের সহযোগী ছিলেন। যারা সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করেছেন। খুনী মোশতাকের এই প্রস্তাব তারা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে দেন। এরপরে মোশতাক ব্যর্থ হয়ে ২৩ আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করেছিল এবং জেলখানার মধ্যেই ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। নিহত নেতারা হচ্ছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী যুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম কামারুজ্জামান।

স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও চারনেতাকে হত্যা করে। এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত সত্য যে, যারা পরিবারের সদস্যসহ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে, তারাই চার জাতীয় নেতাকে হত্যা করেছে।’

লক্ষণীয় ব্যাপার যে, খুনী মোশতাক যে মন্ত্রীসভা গঠন করেছিল সেই মন্ত্রীসভায় কোন প্রধানমন্ত্রী ছিল না। মোশতাক ক্ষমতা গ্রহণের সময় প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হয়। ফলে তার সরকারে কোনও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৮ সালের ২৯ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত ছিল।’

১৯৭৫ সালের ১৭ আগস্ট খুনী মোশতাক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনসুর আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ধারণা করা হয় যে সেই সাক্ষাতে খুনী মোশতাক মনসুর আলীকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মনসুর আলী সেই প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে তাদের গ্রেফতার হওয়া ছাড়া আর কোন পথ ছিল না।’

মূলত বাংলাদেশে মুক্ষিযুদ্ধের পক্ষের রাজনীতিকে চিরতরে ধ্বংস করা এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতির কবর রচনা করে বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তান বানানোর মিশনেই জাতীয় চার নেতাসহ ২০ জনকে সেদিন গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং ৩ নভেম্বর কারাগারে এই চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু আদর্শের কাছে যে নিজের জীবনও তুচ্ছ তার স্বাক্ষর রেখে গেছেন জাতীয় চারনেতা।

খুনী মোশতাকের ৮৩ দিনের শাসনে যে নির্মমতা ও বর্বরতা তার সূচনাপর্ব মনে করা হয় এই ২৩ আগস্টকে। কারণ এই সময় থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গ্রেফতার, নির্মমতা নেমে আসে।’