ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে সিআইএ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ভারতের গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকশিত হয়। এর মধ্যে একটি ছিলো বোম্বের ‘বামপন্থী’ সাপ্তাহিক ক্ল্যারিটি। ২৩ আগস্ট ১৯৭৫ সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নিবন্ধের শিরোনাম ‘বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে সিআইএ’। এ বিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানিয়েছেন, ওই নিবন্ধের শুরুটা হয়েছে এভাবে : বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ব্যাপারে আমেরিকার যোগসাজশের সন্দেহটা এতটাই দৃঢ়ভিত্তিক যে, এটা এখন প্রায় সন্দেহাতীত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই নিবন্ধে ফরাসি কমিউনিস্ট দৈনিক লা হিউমানেতে-এ প্রকাশিত খবরের ওপর নির্ভর করা হয় এবং ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি রমেশচন্দ্রই হলেন এই খবরের উৎস। ক্ল্যারিটির নিবন্ধের উপসংহারে বলা হয়, ভারত যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহক হতে অস্বীকার করেছে, তখন এটাই স্বাভাবিক যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবে আর অন্য দিকে সিআইএর ‘ডার্টি ট্রিকস স্কোয়াডে’র প্রতিও তাদের সায় থাকবে। এই তারবার্তায় মন্তব্য করা হয় যে ক্রমবর্ধমানভাবে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে ভারতে সংবাদপত্রের ওপর যে সেন্সরশিপ জারি রয়েছে, তা তাদের বামপন্থী সিপিআই/মস্কোপন্থী প্রকাশনাগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়। আর এটা বলা নিষ্প্রয়োজন যে এ কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের পোয়াবারো হয়েছে।’

১৯৭৫ সালের ২৫ আগস্ট দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণে বামপন্থী প্রেসের লাইসেন্স’ শীর্ষক একটি তারবার্তা প্রেরণ করেন। এতে তিনি লিখেছেন,

২৩ আগস্ট বোম্বের বামপন্থী ছোট্ট সাপ্তাহিক ক্ল্যারেটি তার প্রথম পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএকে জড়িত করে নিবন্ধ ছেপে লিংক ও ব্লিৎজ-এর সঙ্গেই যোগ দিল। এই পত্রিকা দুটো বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে প্রবন্ধ ছেপেছে। যদিও আমাদের বলা হয়েছে যে ভারত সরকার কতিপয় মার্কিনবিরোধী নিবন্ধের প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু এটা এখন স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে অন্তত কতিপয় বামপন্থী সাময়িকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার লাইসেন্স ভোগ করছেন। তবে এটা লক্ষণীয় যে ভারতের অধিকাংশ দৈনিক, যার মধ্যে কলকাতার সংবাদপত্রও রয়েছে, তারা আর বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দায়দায়িত্বের অভিযোগ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করছে না। আমরা বোম্বের কনসাল জেনারেলকে ক্ল্যারিটি পত্রিকার কাছে একটি প্রতিবাদ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। ২২ আগস্ট অতিরিক্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরণ সিংয়ের কাছে ব্লিৎজ সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ব্লিৎজ, ক্ল্যারিটি ও লিংক-এর মতো যারাই যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে নিবন্ধ বা প্রতিবেদন ছাপবে, তাদের কাছেই আমরা প্রতিবাদ জানাব। যদিও আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছি যে কংগ্রেস-সিপিআই সম্পর্ক এবং রুশ-ভারত সম্পর্কের কারণে ভারত সরকার তাদের নিজেদের সেন্সরশিপ পুরোপুরি বহাল করবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে সিআইএ

আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: জাতির পিতাকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর ভারতের গণমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকশিত হয়। এর মধ্যে একটি ছিলো বোম্বের ‘বামপন্থী’ সাপ্তাহিক ক্ল্যারিটি। ২৩ আগস্ট ১৯৭৫ সংখ্যার প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত নিবন্ধের শিরোনাম ‘বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে সিআইএ’। এ বিষয়ে দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানিয়েছেন, ওই নিবন্ধের শুরুটা হয়েছে এভাবে : বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মুজিব ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ব্যাপারে আমেরিকার যোগসাজশের সন্দেহটা এতটাই দৃঢ়ভিত্তিক যে, এটা এখন প্রায় সন্দেহাতীত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই নিবন্ধে ফরাসি কমিউনিস্ট দৈনিক লা হিউমানেতে-এ প্রকাশিত খবরের ওপর নির্ভর করা হয় এবং ওয়ার্ল্ড পিস কাউন্সিলের জেনারেল সেক্রেটারি রমেশচন্দ্রই হলেন এই খবরের উৎস। ক্ল্যারিটির নিবন্ধের উপসংহারে বলা হয়, ভারত যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তল্পিবাহক হতে অস্বীকার করেছে, তখন এটাই স্বাভাবিক যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবে আর অন্য দিকে সিআইএর ‘ডার্টি ট্রিকস স্কোয়াডে’র প্রতিও তাদের সায় থাকবে। এই তারবার্তায় মন্তব্য করা হয় যে ক্রমবর্ধমানভাবে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে ভারতে সংবাদপত্রের ওপর যে সেন্সরশিপ জারি রয়েছে, তা তাদের বামপন্থী সিপিআই/মস্কোপন্থী প্রকাশনাগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়। আর এটা বলা নিষ্প্রয়োজন যে এ কারণে সোভিয়েত ইউনিয়নের পোয়াবারো হয়েছে।’

১৯৭৫ সালের ২৫ আগস্ট দিল্লিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্যাক্সবি ‘যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণে বামপন্থী প্রেসের লাইসেন্স’ শীর্ষক একটি তারবার্তা প্রেরণ করেন। এতে তিনি লিখেছেন,

২৩ আগস্ট বোম্বের বামপন্থী ছোট্ট সাপ্তাহিক ক্ল্যারেটি তার প্রথম পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সিআইএকে জড়িত করে নিবন্ধ ছেপে লিংক ও ব্লিৎজ-এর সঙ্গেই যোগ দিল। এই পত্রিকা দুটো বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে প্রবন্ধ ছেপেছে। যদিও আমাদের বলা হয়েছে যে ভারত সরকার কতিপয় মার্কিনবিরোধী নিবন্ধের প্রকাশনা নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু এটা এখন স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে যে অন্তত কতিপয় বামপন্থী সাময়িকী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার লাইসেন্স ভোগ করছেন। তবে এটা লক্ষণীয় যে ভারতের অধিকাংশ দৈনিক, যার মধ্যে কলকাতার সংবাদপত্রও রয়েছে, তারা আর বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দায়দায়িত্বের অভিযোগ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করছে না। আমরা বোম্বের কনসাল জেনারেলকে ক্ল্যারিটি পত্রিকার কাছে একটি প্রতিবাদ পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছি। ২২ আগস্ট অতিরিক্ত ডেপুটি চিফ অব মিশন প্রতিরক্ষামন্ত্রী শরণ সিংয়ের কাছে ব্লিৎজ সম্পর্কে অভিযোগ করেছেন। এবং আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ব্লিৎজ, ক্ল্যারিটি ও লিংক-এর মতো যারাই যুক্তরাষ্ট্রকে জড়িয়ে নিবন্ধ বা প্রতিবেদন ছাপবে, তাদের কাছেই আমরা প্রতিবাদ জানাব। যদিও আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বাধ্য হচ্ছি যে কংগ্রেস-সিপিআই সম্পর্ক এবং রুশ-ভারত সম্পর্কের কারণে ভারত সরকার তাদের নিজেদের সেন্সরশিপ পুরোপুরি বহাল করবে না।