উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে দখিণের জেলা পিরোজপুর
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ২১৭৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া, অভাবনীয় পরিবর্তন উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে দখিণের জেলা পিরোজপুর। প্রতিটি এলাকা পেয়েছে উন্নয়নের স্বাদ। শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য- সব কিছুতেই এসেছে আমূল পরিবর্তন। কমেছে হয়রানি, জনভোগান্তি ও দুর্নীতি। ৫ বছর আগেও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে ছিলজেলাটি। এখন সেটি উন্নয়নের রোল মডেল।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তার ছোঁয়ায় বদলে গেছে এ জেলার চিত্র। এমনটাই দাবি করছে স্থানীয়রা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন শ,ম রেজাউল করিম। আর প্রথমবার এমপি হয়েই কেবিনেট মন্ত্রী। এটা ছিলো পিরোজপুরবাসীর জন্য বড় চমক।
মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে অবহেলিত জনপদে উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি দেখিয়ে যাচ্ছেন একের পর এক চমক। যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর’ যা পিরোজপুরের মানুষ কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি। তাছাড়া সরকারের গ্রাম হবে শহর প্রকল্প এখনো চালু না হলেও বিলাঞ্চল খ্যাত আমার এলাকার মানুষ ইতোমধ্যে শহরের অনেক সুবিধা ভোগ করছেন। একজন ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ হয়েও এ কথা বলতে আমার দ্বিধা নেই।
কথাগুলো বলছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৯ নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসনাত ডালিম। আলাপকালে তিনি গত সাড়ে চার বছরে তার ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য নিম্নোক্ত উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন-কার্পেটিং সড়ক-২০ কিলোমিটার, এইচবিবি রাস্তা ইট সলিং-৩ কিলোমিটার, ইট সলিং রাস্তা ৫ কিলোমিটার, কাঁচা রাস্তা মেরামত ৩০ কিলোমিটার। ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বহুতল ভবন। ত্রাণের ব্রিজ ৪টি। আয়রণ ব্রিজ ১০০টি। ১৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন। ৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক। ইউনিয়ন পরিষদের মডেল ভবন টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন দেউলবাড়ী দোবড়া। ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাষ্টার ওয়ালি উল্লাহ বলেন, পিরোজপুর-১ আসনের তিনটি উপজেলায় নিরবিচ্ছিন্ন বহুমাত্রিক উন্নয়নে বদলে গেছে অবহেলিত এ জনপদ। এক সময় পিছিয়ে থাকা এই জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের ফলে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প ও অবকাঠামো খাতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ি দোবড়া ইউনিয়নের ৮০ ভাগ এলাকায় বছরের ১২ মাসই যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিলো নৌকা। শ ম রেজাউলকরিম মহোদয় নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হওয়ার পর বিগত সাড়ে চার বছরে পাল্টে গেছে সে চিত্র। ওই সব এলাকার অধিকাংশ জায়গায় এখন রিকসা, ভ্যান বা মোটর সাইকেল যোগে চলাচল করছে মানুষ। আর বিদ্যুতের কথা যারা কখনো স্বপ্নেও ভাবেনি, তাদের ঘরও এখন বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
নাজিরপুর উপজেলার মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দূরদর্শী নেতৃত্ব আর স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ,ম রেজাউল করিমের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিটি ক্ষেত্রে জেলাটি অর্জন করেছে ঈর্ষনীয় সাফল্য। সরকারের উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। গ্রামীণ জীবন ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। গ্রামেই এখন মিলছে শহরের সুবিধা। অজপাড়াগাঁও শব্দটি আর নেই, পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে গেছে সবকিছুই। অবহেলিত এ জনপদের উন্নয়নে নজর দেয়ার জন্য বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ,ম রেজাউল করিমকে সাধুবাদ জানান তিনি।
নেছারাবাদ উপজেলার বিন্ন নেছারিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইদ্রিস বাহাদুর বলেন, নেছারাবাদ উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন বলদিয়া। আমি ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা। এ ইউনিয়নে পাকা রাস্তা তো দূরের কথা, ইট সলিংয়ের রাস্তাও ছিলো না বললেই চলে। শ,ম রেজাউল করিম মহোদয় এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হওয়ার পর তার ছোঁয়ায় বদলে গেছে উন্নয়ন বঞ্চিত এ ইউনিয়নের চিত্র। প্রায় ১০ কিলোমিটার কাপেটিং রাস্তা রাস্তার কাজ চলমান। যা প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ২ কিলোমিটার হেরিং বন্ড রাস্তার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ১০ থেকে ১২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক ভবন, বহুতল ভবন, সাইক্লোন শেল্টারের কাজ চলমান। যার মধ্যে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারতলা ভবনের কাজ শেষের পথে। শুধু তিনটি ইউনিয়ন নয়, এ আসনের তিন উপজেলা, দুইটি পৌরসভা ও ২৬টি ইউনিয়নের সব অঞ্চলেই একইভাবে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এখনো চলছে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ।
সরেজমিন ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে উন্নয়ন বঞ্চিত পিরোজপুরের অভাবনীয় পরিবর্তনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত পিরোজপুরবাসী। বর্তমান সরকার দুঃখ-বেদনার অবসান ঘটিয়ে একের এক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলছে। এত উন্নয়ন স্বাধীনতার পরবর্তীতে আর কখনও দেখা যায়নি। উন্নয়নের সুবিধাভোগীদের কাছে এখন শেখ হাসিনার প্রশংসা ছাড়া আর কোন কথা নেই। এ অঞ্চলের কোন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মহল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মন্ত্রী শ,ম রেজাউলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও অভিনন্দন জানানো হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের উন্নয়ন বঞ্চনা ওবিপর্যস্ত অবস্থায় থাকা পিরোজপুরের বর্তমান পরিস্থিতি অবলোকনে বিস্ময়কর পরিবর্তন দৃশ্যমান।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রকৃতিক কারণেই বিচ্ছিন্ন জেলার বিভিন্ন উপজেলা। বিশেষ করে পিরোজপুর জেলা সদর থেকে নেছারাবাদ, ভাণ্ডারিয়া, কাউখালী ও মঠবাড়িয়া বিশাল নদী দ্বারা বিভাজিত। জেলা শহরে আসা-যাওয়ায় ভোগান্তির শেষ ছিল না। ২০২২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর পিরোজপুরের বেকুটিয়া কচা নদীর ওপর ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সেতু চালু হওয়ায় সেই ভোগান্তির সমাপ্তি ঘটেছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার সাথে নেছারাবাদ উপজেলার সংযোগের জন্য কলাখালীতে কালীগঙ্গা নদীর উপরে বিশাল সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। নেছারাবাদ উপজেলার দীর্ঘদিনের বিভাজিত অবস্থা, নেছারাবাদ-ইন্দেরহাট এবং নাজিরপুর উপজেলার সঙ্গে কালীগঙ্গা ও বেলুয়া নদী দ্বারা বিভাজিত। নেছারাবাদ উপজেলার দুই প্রান্ত সংযুক্ত করা এবং নাজিরপুর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য নেয়া হয়েছে মেগা প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রাথমিক সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এই সেতু ও
সড়ক নির্মাণের ফলে নেছারাবাদ উপজেলার দুইপ্রাপ্ত এক হয়ে নাজিরপুর ও ঢাকা মহাসড়কে সংযুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে অবসান হতে যাচ্ছে প্রায় ১০০ বছরের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপন্নতা। নাজিরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ও নেছারাবাদ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন এতই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল যে, হাঁটা বা যন্ত্র চালিত নৌকা চলাচলের উপযোগী ছিল না। ঝুঁকিপূর্ণ ছোট নৌকা বা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করতে হতো এলাকাবাসীদের। সে সকল এলাকায় এখন কার্পেটিং রাস্তাসহ কালভার্ট, ব্রিজ, লোহার পুল নির্মাণের মধ্য দিয়ে অভাবনীয় উন্নতি হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার। জেলার বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে বাঁশ ও কাঠের পুল, পুরাতন জরাজীর্ণ লোহার পুল, ছোট্ট পরিসরের পাকা কালভার্ট পরিবর্তন করে সময় উপযোগী ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণের মধ্য দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উপজেলা সদর ও জেলার সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়া শ্রীরামকাঠি-ভরতকাঠি এবং নেছারাবাদ ও ইন্দেরহাটে স্থাপন করা হয়েছে আধুনিক ফেরি পারাপার। অতীতে যা কল্পনাও করতে পারেনি এলাকার জনসাধারণ। বিদ্যুত ব্যবস্থার ভঙ্গুর অবস্থা থেকে উন্নয়ন আর এক বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছে। বিদ্যুত বণ্টনের উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলমান। এখন শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ায় হাসি ফুটেছে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মুখে। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ধনী-দরিদ্র সকলেই এখন বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছে নানাভাবে। আর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ পিরোজপুর নামে পিরোজপুরে হয়েছে একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। স্বপ্ন দেখা তো দূরের কথা, যা কখনো কল্পনাও করেনি। এর বাইরে পিরোজপুরে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টেক্সটাইল টেকনোলজি ইন্সটিটিউট, সরকারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বরাদ্দ হয়েছে। জরাজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়নে একের পর এক ভবন, দেয়াল ও অপরাপর অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে।
পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারী গার্লস কলেজ, টাউন স্কুলসহ ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়া নেছারাবাদ উপজেলায় ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নাজিরপুর উপজেলার ৩০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রক্রিয়াধীন কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট, একইভাবে অন্যান্য উপজেলায়ও অভাবনীয়ভাবে চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ।
চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সংস্কার করে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পিরোজপুর সদর হাসপাতাল আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করার জন্য বিপুল অর্থে বহুতল ভবন নির্মাণ শেষের পথে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। নাজিরপুর-নেছারাবাদে হাসপাতালের আধুনিক ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। প্রায় অধিকাংশ হাসপাতালের আধুনিক এ্যাম্বুলেন্সসহ চিকিৎসার উন্নত সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে’। বিচার বিভাগীয় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বহুতল বিশিষ্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের নির্মাণ কাজ এগিয়ে নেয়ার মাধ্যমে। আবাসিক ব্যবস্থার দুরবস্থা দূর করতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারী আবাসন প্রকল্প। শিল্প ব্যবস্থায় পিছিয়ে পড়া পিরোজপুরে বরাদ্দ করা হয়েছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। যেখানে দেশী ও বিদেশী শতাধিক বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবে। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন প্রকার ভাতা প্রদানকে শতভাগে উন্নীত করা হয়েছে।”
হয়রানি এড়িয়ে সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে পিরোজপুরে ইতোমধ্যে পাসপোর্ট অফিসের নিজস্ব ভবন স্থাপন করা হয়েছে। প্রকৃতিক কারণেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের সঙ্কট ছিল দীর্ঘদিনের। বর্তমান সরকার আমলে পিরোজপুর-নেছারাবাদ-নাজিরপুরে গভীর নলকূপ, রেইন হার্ডভেস্টার ও অন্যান্য আধুনিক পদ্ধতির পানি সরবরাহ প্রকল্প গ্রহণ করায় এখন পানীয় জলের অভাব কমে আসছে। সকল উপজেলা সদরে এবং জেলা সদরে ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (মডেল মসজিদ) নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। একই সঙ্গে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক কাজ এগিয়ে চলছে। সরকারী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে গুণগতমানের উন্নয়ন হচ্ছে।
আধুনিক পিরোজপুর বিনির্মাণের ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেয়া হয়েছে একের পর এক প্রকল্প। বর্তমান পিরোজপুরের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় গেলেই উন্নয়নের চিত্র দেখে হতবাক হতে হয় পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ,ম রেজাউল করিম নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প পিরোজপুরে আনার জন্য কাজ করছেন। ফলশ্রুতিতে পিরোজপুরের সামগ্রিক উন্নয়ন এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে, স্বাধীনতা পরবর্তীতে এত উন্নয়ন পিরোজপুরবাসী কখনও দেখেনি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ,ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশে আজ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে উন্নীত করেছেন। আমার নির্বাচনী এলাকার তিনটি উপজেলায় তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’ আর উন্নয়নের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা উচিত, তাহলেই আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।