এবার চিনি রপ্তানি বন্ধ করতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি উৎপাদনকারী দেশ ভারত
- আপডেট সময় : ০৯:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ৬০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন মৌসুম থেকে চিনি উৎপাদনকারী কারখানাগুলোকে রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জনিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃষ্টির অভাবে আখের ফলন কম হওয়ায় আগামী মৌসুমে অক্টোবর থেকে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দেশটি। সাত বছর পর এই প্রথমবারের মতো চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ভারত।’
ইতোমধ্যে কয়েক বছর ধরে চিনির দাম বেড়েছে। তার উপর ভারত চিনি রপ্তানি বন্ধ করলে বিশ্ব বাজারে, যেমন নিউইয়র্ক ও লন্ডনে চিনির দাম আরও বাড়তে পারে এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য বাজারে আরও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সরকারি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে,আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য স্থানীয় বাজারে চিনির চাহিদা পূরণ করা এবং উদ্বৃত্ত আখ থেকে ইথানল উত্পাদন করা। তাই আগামী মৌসুমে রপ্তানি করার মতো পর্যাপ্ত চিনি আমাদের কাছে থাকবে না।’
এল নিনোর প্রভাবে সাত দশকে এবার সবচেয়ে বেশি খরার মুখোমুখি হয়েছে দেশটি। চলতি বছরের শেষ দিকে তা আরো প্রকট হওয়ার শঙ্কার কথা বলেছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে যাতে তেঁতে উঠছে মূল্যস্ফীতি’।
রয়টার্স আবহাওয়া দপ্তরের তথ্যের বরাতে লিখেছে, ভারতের শীর্ষ আখ উত্পাদনকারী অঞ্চলগুলোর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্র ও কর্ণাটকের জেলাগুলোতে মৌসুমি বৃষ্টিপাত ৫০ শতাংশ কম হয়েছে। এসব জেলা থেকে দেশটির মোট চিনির অর্ধেক জোগান দেওয়া হয়।
এ বছরের শেষ দিকের সাধারণ নির্বাচনের আগে পণ্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টার অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপের মাধ্যমে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় দেশটির সরকার।’
এ বছর সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে কারখানাগুলোকে ৬১ লাখ টন চিনি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে গত মৌসুমে রেকর্ড এক কোটি ১১ লাখ টন চিনি বিক্রি করেছিল ভারত।
বাংলাদেশে বছরে ২১ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ টনের মতো চিনি দেশে উৎপাদিত হয়। বাকি চিনি ভারত, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা হয়।