শেখ হাসিনার ভারত, চীন, রাশিয়া নীতিতেই কোণঠাসা যুক্তরাষ্ট্র
- আপডেট সময় : ০৭:৪৩:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩ ৩২ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অবস্থান করছেন। সেখানে ব্রিকস সম্মলনে তিনি আলো ছড়াচ্ছেন। গতকাল দক্ষিন আফ্রিকায় তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিংয়ের সংঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়াও নরেন্দ্র মোদির সাথেও তার সাক্ষাৎ হয়েছে। বাংলাদেশে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সবকিছু মিলিয়ে মর্কিন চাপের মুখেও শেখ হাসিনা তাঁর কূটনৈতিক, পাল্টা কূটনৈতিক দ্বারা অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে যে সময় গোটা বিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের অর্থনৈতিক স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে, সে সমযয়ে বাংলেদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিন্ডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করে মার্কিন যুক্তরাষ্টকে একটি বার্তা দিয়েছেন।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এই বৈঠকের মাধ্যমে দেখিয়েছেন যে, বাংলাদেশ বিশ্বে একা নয়। বরং বাংলাদেশের অনেক বন্ধু আছে এবং বাংলাদেশের সাথে সকলেই বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী। এর আগে ভারতও বাংলাদেশের ব্যপারে তাদের অবস্থানের কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায়, বাংলাদেশে কোনোভাবেই সাম্পদ্রায়িক এবং জঙ্গিবাদের উত্থান না ঘটুক এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলাদেশে ঘাঁটি নান করুক- এমন অবস্থান ভারতের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সুসপষ্ট করা হয়েছে।
আবার রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই গভীর বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো। আর সে কারণে রাশিয়ার সাথে আওয়ামী লীগের সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রার এবং রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বাংলাদেশকেন্দ্রিক তৎপরতা নিয়ে একাধিকবার বিবৃতি দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই তৎপরতাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্থক্ষেপ হিসেবেও তারা চিহৃত করেছেন। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ, চীন, রাশিয়া এবং ভারতের সাথে সমান্তরাল সম্পর্ক রেখে চলেছে। এটি বিশ্বে বিরল। সাধারণত দেখা যায় চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হলে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। উপহাদেশের এ অঞ্চলের একাধিক দেশের ক্ষেত্রে এটি হয়েছে।’
পাকিস্থান জন্মের পর থেকেই ভারতের শত্রু। তাদের কথা বাদ দিলেও শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ভারত এবং চীনের দ্বন্দ্ব সেখানে রাজনীতিতে ঝর তুলেছে। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কূটনৈতিক বিচক্ষনতায় ভারত এবং চীনের সাথে সমান্তরাল সম্পর্ক রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গেও বাংলাদেশ সমান্তরালভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিচ্ছে। এই বার্তাটি ব্রিকস-এর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী ভালোভাবেই দিলেন। এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রাসী তৎপরতা নেওয়ার ক্ষেত্রে চিন্তা-ভাবনা করবে’।
এ কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুঝতে পেরেছে, বাংলাদেশ একা নয় এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে গেলে এই তিনটি বৃহৎ রাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াবে। ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাঙ্গা বা অন্য কোনো শর্ত খুব একটা কার্যকর হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশকে নিয়ে যে চাপ প্রয়োগ করছে, সে কূটনীতির বিপরীতে শেখ হাসিনা ভারত, চীন, রাশিয়ার সাথে প্রকাশ্যে বন্ধুত্ব নীতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে কি পাল্টা চাপ দিলেন?