ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

কসোভোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের অবস্থান 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩ ২৭ বার পড়া হয়েছে

জার্মান সংবাদদাতা: যুদ্ধের ঢামাঢোল থেমে গেলে ইউরোপ , আমেরিকার হাত ধরে দেশটি ইউরোপের আদলে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছে সরকার । দক্ষিন পূর্ব ভলকানের এই পাহাড়ী জনপদ কসোভো, যার মোট জনসংখ্যার ৯৫% মুসলিম । রাজধানী প্রিস্টিনা ঘিরেই বেশী উন্নয়ন হচ্ছে ।দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট ড. ওভাসি ওসমানী দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন করার জন্য চেষ্টা করছেন ।

ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর সেপ্টম্বর/ অক্টোবরে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে কসোভো নাগরিকরা ভিসা ছাড়া যেতে পারবে ও কাজ করতে পারবে, এমন আইন পাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা হলে উঠতি যুবশক্তি কসোভো ছাড়বে ৮০%। যাবে উন্নত ইউরোপে । তখন কসোভোর প্রচুর অভিবাসী শ্রমিক দরকার পড়বে ।

বাংলাদেশ যেহেতু শ্রমিক রপ্তানীকারক দেশ তাই বাংলাদেশ এই সুযোগটি নিতে পারে। বাংলাদেশ সরকার কসোভো সরকার চুক্তি করে শ্রমিক পাঠাতে পারে । এতে দুইদেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশ পাবে রেমিটেন্স , কসোভো পাবে শ্রমশক্তি।

তবে এখনও বেসরকারিভাবে শ্রমিক আসছে , কিন্তু কেউ মনে হয় কসোভো থাকছেন না। কসোভোকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে আসা শ্রমিকরা , চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও।

আমি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খুঁজে এখানে কোন বাংলাদেশীকে পাইনি । তাই কোন মালিকরা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে চায় না , কেউ থাকে না বলে । তবে আমি প্রাকটিকাললি কোন বাংলাদেশীকে খুঁজে না পেলেও প্রিস্টিনা শহরের সব ফটোকপির দোকান এবং নোটারী পাবলিক উকিলরা খুব ভাল চেনেন । কারন তারা কোন বাংলাদেশীকে স্বশরীরে না দেখলেও তাদের কাগজপত্র ফটোকপি ও সত্যায়িত করার কারনে তারা বাংলাদেশকে চেনে । আমি এক সপ্তাহে অন্তত এক ডজন ফটোকপির দোকান ও নোটারী পাবলিক উকিলের খবর নিয়েছি, সবাই কাগজপত্রে বাংলাদেশীদের চেনে । বাংলাদেশীরা কসোভোতে থাকেন না। তার কারন খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে তারা দেশ থেকে আসার আগেই টার্গেট থাকে বা শ্রমিক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি থাকে যে,তারা ইউরোপে চলে যাবে। অন্য একটি বড কারন বেতন কাঠামো কম । যেমন বেশীর ভাগ শ্রমিকদের বেতন মাসে ত্রিশ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা । কসোভোর শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা ও দুপুরের খাবার এবং চিকিৎসা বীমা মালিকদের করতে হয় । কিন্তু অনেক শ্রমিক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিক পাঠায় । তবে এই খবরের পিছনের খবর খুঁজতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, যারা এখানে আসবেন , ভাল করে জেনেশুনে আসবেন এবং আসার পর এখানেই থাকুন। বেতন একটু কম হলেও আধুনিক মুসলিম পরিবেশে ভালই থাকবেন বৈধভাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কসোভোর শ্রমবাজারে বাংলাদেশীদের অবস্থান 

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

জার্মান সংবাদদাতা: যুদ্ধের ঢামাঢোল থেমে গেলে ইউরোপ , আমেরিকার হাত ধরে দেশটি ইউরোপের আদলে ঢেলে সাজাতে চেষ্টা করছে সরকার । দক্ষিন পূর্ব ভলকানের এই পাহাড়ী জনপদ কসোভো, যার মোট জনসংখ্যার ৯৫% মুসলিম । রাজধানী প্রিস্টিনা ঘিরেই বেশী উন্নয়ন হচ্ছে ।দেশটির নারী প্রেসিডেন্ট ড. ওভাসি ওসমানী দেশটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন করার জন্য চেষ্টা করছেন ।

ইউরোপের গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর সেপ্টম্বর/ অক্টোবরে ইউরোপের অন্য দেশগুলোতে কসোভো নাগরিকরা ভিসা ছাড়া যেতে পারবে ও কাজ করতে পারবে, এমন আইন পাশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এটা হলে উঠতি যুবশক্তি কসোভো ছাড়বে ৮০%। যাবে উন্নত ইউরোপে । তখন কসোভোর প্রচুর অভিবাসী শ্রমিক দরকার পড়বে ।

বাংলাদেশ যেহেতু শ্রমিক রপ্তানীকারক দেশ তাই বাংলাদেশ এই সুযোগটি নিতে পারে। বাংলাদেশ সরকার কসোভো সরকার চুক্তি করে শ্রমিক পাঠাতে পারে । এতে দুইদেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশ পাবে রেমিটেন্স , কসোভো পাবে শ্রমশক্তি।

তবে এখনও বেসরকারিভাবে শ্রমিক আসছে , কিন্তু কেউ মনে হয় কসোভো থাকছেন না। কসোভোকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করছে বাংলাদেশ থেকে বৈধপথে আসা শ্রমিকরা , চলে যাচ্ছে অন্য কোথাও।

আমি প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে খুঁজে এখানে কোন বাংলাদেশীকে পাইনি । তাই কোন মালিকরা বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক আনতে চায় না , কেউ থাকে না বলে । তবে আমি প্রাকটিকাললি কোন বাংলাদেশীকে খুঁজে না পেলেও প্রিস্টিনা শহরের সব ফটোকপির দোকান এবং নোটারী পাবলিক উকিলরা খুব ভাল চেনেন । কারন তারা কোন বাংলাদেশীকে স্বশরীরে না দেখলেও তাদের কাগজপত্র ফটোকপি ও সত্যায়িত করার কারনে তারা বাংলাদেশকে চেনে । আমি এক সপ্তাহে অন্তত এক ডজন ফটোকপির দোকান ও নোটারী পাবলিক উকিলের খবর নিয়েছি, সবাই কাগজপত্রে বাংলাদেশীদের চেনে । বাংলাদেশীরা কসোভোতে থাকেন না। তার কারন খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে তারা দেশ থেকে আসার আগেই টার্গেট থাকে বা শ্রমিক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি থাকে যে,তারা ইউরোপে চলে যাবে। অন্য একটি বড কারন বেতন কাঠামো কম । যেমন বেশীর ভাগ শ্রমিকদের বেতন মাসে ত্রিশ হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা । কসোভোর শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা ও দুপুরের খাবার এবং চিকিৎসা বীমা মালিকদের করতে হয় । কিন্তু অনেক শ্রমিক রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিক পাঠায় । তবে এই খবরের পিছনের খবর খুঁজতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা থেকে বলবো, যারা এখানে আসবেন , ভাল করে জেনেশুনে আসবেন এবং আসার পর এখানেই থাকুন। বেতন একটু কম হলেও আধুনিক মুসলিম পরিবেশে ভালই থাকবেন বৈধভাবে।