প্রিগোশিনের মৃত্যুতে মুখ খুললেন পুতিন, জানালেন সমবেদনা
- আপডেট সময় : ০২:২৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩ ৪০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: অবশেষে প্রিগোশিনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন পুতিন। জানালেন সমবেদনা তার পরিবারের প্রতি। এই ঘটনাকে একটি ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন,
‘আমি নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাতে চাই। এটি একটা ট্র্যাজেডি।’
ওই ঘটনার এক দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মন্তব্য করলেন পুতিন। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পুতিন বলেন, ‘
এ সময় দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র প্রিগোশিন সম্পর্কে পুতিন বলেন, আমি তাঁকে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে চিনতাম। এই ব্যক্তি জটিল ভাগ্য নিয়ে এসেছিলেন, তবে তিনি তাঁর জীবনে মারাত্মক ভুল করেছিলেন।’
বক্তব্যে প্রিগোশিনকে ‘মন্দ কপাল নিয়ে জন্মানো একজন মেধাবী ব্যবসায়ী’ হিসেবেও উল্লেখ করেন পুতিন।
গত বুধবার সন্ধ্যায় প্রিগোশিনের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ ‘এমব্রেয়ার লিগেসি’ রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। মস্কো থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে টিভিয়ের এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। উড়োজাহাজে প্রিগোশিন ও তাঁর ডান হাত হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি উতকিনসহ সাতজন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু ছিলেন। তাঁদের সবাই নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় ওই দিনই প্রতিক্রিয়া জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে। তারা এই ঘটনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে দায়ী করেছে, তবে পুতিন ছিলেন নিশ্চুপ। এক দিন পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন প্রিগোশিন। একসময় প্রিগোশিনের পরিচয় ছিল পুতিনের ‘পাঁচক’ হিসেবে। তখন থেকেই ঘনিষ্ঠতা দুজনের। সেই সূত্র ধরে ভাগনারের হাল ধরেন প্রিগোশিন। ভাগনার রাশিয়ার হয়ে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধেও মস্কোর বড় সফলতা এসেছে বাহিনীটির হাত ধরে।
তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে গত ২৩ জুন বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। ঘটনাটি ছিল ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর পুতিনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি। পরে বিদ্রোহ থেকে পিছু হটেন প্রিগোশিন’।
কিন্তু ভাগনারের ওই বিদ্রোহকে পিঠে ছুরি মারার মতো’ বলে আখ্যা দেন পুতিন। অনেক বিশ্লেষকের আশঙ্কা ছিল, বিদ্রোহের পরিণতি মোটেও ভালো হবে না প্রিগোশিনের জন্য। কারণ, পুতিন তাঁর শত্রুদের ছেড়ে দেন না’।
এদিকে প্রিগোশিনের উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। ভাগনার গ্রুপের টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানিয়েছে, রাশিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে উড়োজাহাজটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে, তবে নিজেদের দাবির পক্ষে তেমন কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।