ঢাকা ০৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের নতুন সদস্য হলেন ২৫ গণমাধ্যম কর্মী রাজনৈতিক দলের সাথে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানি না করার আহবান জোড়া কবরে শুয়ে রইলেন তারা, নিভে গেল দুই পরিবারের বেঁচে থাকার স্বপ্ন সলঙ্গা থানা ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়কের নামে থানায় অভিযোগ  প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, তদন্তপূর্বক অপসারণের দাবী রাজশাহীতে বৈষম্যমুক্ত নগরের দাবিতে আলোচনা সভা  বেলকুচিতে হত্যাকান্ডের বিচার ও পি আর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে গণ সমাবেশ রামেকে একসঙ্গে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন প্রবাসীর স্ত্রী সলঙ্গায় সাংবাদিকের উপর যুবদল নেতার হামলার অভিযোগ  খাজা মেডিকেল প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ আমজাদ হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প 

ভোলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের দূর্নীতির শেষ কোথায়?   

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩ ৫০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি’র বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি’র বিষয়ে স্থানীয় কৃষকের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের বিরুদ্ধে, সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নামে বেনামে বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। নিজ পদে থেকে জুনিয়র সহকর্মীদের সাথে আঁতাত করে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধভাবে চার্জ গ্রহনঃ যদিও ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় সমপদের কর্মকর্তা উপস্থিত থাকা সত্বেও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির সরকারের বিধি ভেঙ্গে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় অনৈতিক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, কোন প্রকার কাজ ছাড়াই! জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের অনিয়ম ও দূর্নীতি এখন জেলার প্রতিটি কৃষকের মুখে মুখে।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা ছাড়া বাকি ৬টি উপজেলার চার্জ গ্রহন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করছেন। নিয়ম অনুযায়ী পাশের উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু সেই নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেছেন না জেলা কর্মকর্তা। ক্ষমতা বলে চার্জ বুজে নিয়ে বিভিন্ন বিল ও ভাউচারের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, একজন ডিসিকে কখনো উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা এসি ল্যান্ড হিসাবে চার্জ নিতে না দেখা গেলেও ডিসি পদমর্যাদার একজন উপপরিচালককে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার চার্জ নিতে দেখা গেছে এবং ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমান ও আছে।

স্থানীয় কৃষকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির চার্জ নিয়েই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। কোন কৃষক, কোন বিষয়ে হেল্প চেয়ে ফোন করলেও তিনি সাড়া দেন নি। এমনকি বরাদ্দ পেতে তিনি ভূয়া কৃষকদের নাম তালিকা পাঠিয়ে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। ফলে প্রতিটি উপজেলার কৃষকরা সরকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বোরহানউদ্দিনের চার্জ বুজে নেবার পর বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃষকরা একদিনও তাকে অফিসে পায় নি,বা তিনি ফিল্ডে আসেন নি। ফসলের নানা রকম রোগব্যাধি নিয়ে কথা বলার সুযোগও তারা পায় নি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে এই উপজেলার কৃষি ও কৃষক।

বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদর কৃষি কর্মকর্তা হজ্জে গিয়েছেন, সেই সুযোগে ভোলা জেলা ভোলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির পাশের উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে চার্জের দায়িত্ব না দিয়ে জেলা কর্মকর্তা চার্জ বুঝে নিয়েছিলেন! কেন? কারণ চার্জ বুজে নিলেই সেখানে মধু আছে। সেই মধুর লোভে উপজেলায় চার্জ নিয়েছেন তিনি।

ছুটি নেবার অধিকার সকল কর্মকর্তাই পেয়ে থাকেন। কিন্তু দৌলতখান উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে লম্বা ছুটিতে পাঠিয়ে ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবি চার্জ নেন এবং সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন।

তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বদলি হলে, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরে চার্জ বুজে নেন এবং সরকারের বরাদ্দ নয়ছয় করা সহ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

যদিও সেখানকার পাশের উপজেলায় সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী পাশের উপজেলার কর্মকর্তার দায়িত্ব নেবার কথা থাকলেও জেলা কর্মকর্তা মধু খেতে সেখানে চার্জ বুঝে নেন।

ভোলা জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মনপুরা, সেই মনপুরার কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন লালমোহনে পোষ্টিং হলে; ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির সেখানের চার্জ বুজে নেন। চার্জ বুঝে নিয়ে মধু খান।

লালমোহন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন দায়িত্বে ছিলেন, তখন তাকে ছুটি দিয়ে ৪ মাসের এক চিল্লায় পাঠান তিনি। ফলাফল, যেই লাউ সেই কদু, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির চার্জ বুঝে নেন সেখানকার।

পুরো জেলার কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্ব একাই হাতের মুঠোয় নিয়েছেন। কোন কোন কর্মকর্তা বিষয়টি জেনে বৈধও অবৈধ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, সেই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হুমকি দামকি এমনকি চাকরি খাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন, ভোলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির।

<strong>কৃষি উপকরণ বিতরণে দূর্নীতিঃ</strong> ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের সহায়তা প্রদান এবং কৃষকদের কৃষি উপকরণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। সম্প্রতি নারকেল গাছ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তিনি। কৃষকদের নারকেল চারা না দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে দেওয়া হয়েছে যা সরকারের বিধি পরিপন্থী। এসব বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও দৌলতখান উপজেলার কৃষকরা একাধিক অভিযোগ করেন।

দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কাছে নারকেল চারা বিতরণের কৃষকদের তালিকা চাইলেও কর্মকর্তাগণ কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তালিকা দেন নি।

বিভিন্ন ধরনের বীজ, সার ও ঔষধ বিতরণে তিনি বিভিন্ন উপজেলায় ভুয়া কৃষকের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। যা সরকারের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।

সরজমিনে,মাঠের কৃষকদের সাথে এই প্রতিবেদক সরাসরি যোগাযোগ করেন এবং সরকারের প্রনোদনার আওতায় বীজ, সার ও ঔষধ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে, রেজিষ্টার্ড ও নিবন্ধিত কৃষকরা এসব প্রনোদনার বিষয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন। তাহলে কৃষকদের মাঝে বিতরনের জন্য যে সার,বীজ ও কীটনাশক দেওয়া হলো সেগুলো গেল কোথায়?

অর্থনৈতিক লাভবান হয়ে বদলিঃ সরকারের বিধিতে উল্লেখ আছে উপসহকারী কৃর্ষিকর্মকর্তা বা so কে নিজ জেলার নিজ উপজেলায় বদলী করা যাবে না।

কিন্তু স্থানীয় অফিসের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভোলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের দূর্নীতির শেষ কোথায়?   

আপডেট সময় : ০৩:৫৩:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি’র বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতি’র বিষয়ে স্থানীয় কৃষকের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের বিরুদ্ধে, সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নামে বেনামে বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন তিনি। নিজ পদে থেকে জুনিয়র সহকর্মীদের সাথে আঁতাত করে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন।

অবৈধভাবে চার্জ গ্রহনঃ যদিও ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় সমপদের কর্মকর্তা উপস্থিত থাকা সত্বেও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির সরকারের বিধি ভেঙ্গে প্রায় প্রতিটি উপজেলায় অনৈতিক ভাবে দায়িত্ব নিয়ে বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, কোন প্রকার কাজ ছাড়াই! জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরের অনিয়ম ও দূর্নীতি এখন জেলার প্রতিটি কৃষকের মুখে মুখে।

ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা ছাড়া বাকি ৬টি উপজেলার চার্জ গ্রহন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করছেন। নিয়ম অনুযায়ী পাশের উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পালন করার কথা। কিন্তু সেই নিয়মের কোন তোয়াক্কা করেছেন না জেলা কর্মকর্তা। ক্ষমতা বলে চার্জ বুজে নিয়ে বিভিন্ন বিল ও ভাউচারের নামে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা অভিযোগ করে বলেন, একজন ডিসিকে কখনো উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা এসি ল্যান্ড হিসাবে চার্জ নিতে না দেখা গেলেও ডিসি পদমর্যাদার একজন উপপরিচালককে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার চার্জ নিতে দেখা গেছে এবং ভূয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার প্রমান ও আছে।

স্থানীয় কৃষকরা আরও অভিযোগ করে বলেন, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির চার্জ নিয়েই তিনি লাপাত্তা হয়ে যান। কোন কৃষক, কোন বিষয়ে হেল্প চেয়ে ফোন করলেও তিনি সাড়া দেন নি। এমনকি বরাদ্দ পেতে তিনি ভূয়া কৃষকদের নাম তালিকা পাঠিয়ে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। ফলে প্রতিটি উপজেলার কৃষকরা সরকারের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বোরহানউদ্দিনের চার্জ বুজে নেবার পর বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃষকরা একদিনও তাকে অফিসে পায় নি,বা তিনি ফিল্ডে আসেন নি। ফসলের নানা রকম রোগব্যাধি নিয়ে কথা বলার সুযোগও তারা পায় নি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে এই উপজেলার কৃষি ও কৃষক।

বোরহানউদ্দিন ও ভোলা সদর কৃষি কর্মকর্তা হজ্জে গিয়েছেন, সেই সুযোগে ভোলা জেলা ভোলায় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির পাশের উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে চার্জের দায়িত্ব না দিয়ে জেলা কর্মকর্তা চার্জ বুঝে নিয়েছিলেন! কেন? কারণ চার্জ বুজে নিলেই সেখানে মধু আছে। সেই মধুর লোভে উপজেলায় চার্জ নিয়েছেন তিনি।

ছুটি নেবার অধিকার সকল কর্মকর্তাই পেয়ে থাকেন। কিন্তু দৌলতখান উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাকে লম্বা ছুটিতে পাঠিয়ে ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবি চার্জ নেন এবং সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন।

তজুমদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার বদলি হলে, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবিরে চার্জ বুজে নেন এবং সরকারের বরাদ্দ নয়ছয় করা সহ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

যদিও সেখানকার পাশের উপজেলায় সমপদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী পাশের উপজেলার কর্মকর্তার দায়িত্ব নেবার কথা থাকলেও জেলা কর্মকর্তা মধু খেতে সেখানে চার্জ বুঝে নেন।

ভোলা জেলার একমাত্র দ্বীপ উপজেলা মনপুরা, সেই মনপুরার কৃষি কর্মকর্তা আবু হাসনাইন লালমোহনে পোষ্টিং হলে; ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির সেখানের চার্জ বুজে নেন। চার্জ বুঝে নিয়ে মধু খান।

লালমোহন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন দায়িত্বে ছিলেন, তখন তাকে ছুটি দিয়ে ৪ মাসের এক চিল্লায় পাঠান তিনি। ফলাফল, যেই লাউ সেই কদু, ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির চার্জ বুঝে নেন সেখানকার।

পুরো জেলার কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্ব একাই হাতের মুঠোয় নিয়েছেন। কোন কোন কর্মকর্তা বিষয়টি জেনে বৈধও অবৈধ বিষয়ে প্রশ্ন করলে, সেই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হুমকি দামকি এমনকি চাকরি খাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন, ভোলার কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাসান ওয়ারিসুল কবির।

<strong>কৃষি উপকরণ বিতরণে দূর্নীতিঃ</strong> ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকদের সহায়তা প্রদান এবং কৃষকদের কৃষি উপকরণ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি করেছেন। সম্প্রতি নারকেল গাছ বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন তিনি। কৃষকদের নারকেল চারা না দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে দেওয়া হয়েছে যা সরকারের বিধি পরিপন্থী। এসব বিষয়ে বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও দৌলতখান উপজেলার কৃষকরা একাধিক অভিযোগ করেন।

দৌলতখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার কাছে নারকেল চারা বিতরণের কৃষকদের তালিকা চাইলেও কর্মকর্তাগণ কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। তালিকা দেন নি।

বিভিন্ন ধরনের বীজ, সার ও ঔষধ বিতরণে তিনি বিভিন্ন উপজেলায় ভুয়া কৃষকের নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারের বরাদ্দ আত্মসাৎ করেছেন। যা সরকারের আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।

সরজমিনে,মাঠের কৃষকদের সাথে এই প্রতিবেদক সরাসরি যোগাযোগ করেন এবং সরকারের প্রনোদনার আওতায় বীজ, সার ও ঔষধ বিতরণের বিষয়ে জানতে চাইলে, রেজিষ্টার্ড ও নিবন্ধিত কৃষকরা এসব প্রনোদনার বিষয়ে সরাসরি অস্বীকার করেন। তাহলে কৃষকদের মাঝে বিতরনের জন্য যে সার,বীজ ও কীটনাশক দেওয়া হলো সেগুলো গেল কোথায়?

অর্থনৈতিক লাভবান হয়ে বদলিঃ সরকারের বিধিতে উল্লেখ আছে উপসহকারী কৃর্ষিকর্মকর্তা বা so কে নিজ জেলার নিজ উপজেলায় বদলী করা যাবে না।

কিন্তু স্থানীয় অফিসের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন ভোলা জেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হাসান ওয়ারিসুল কবির অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহন করে।