আমদানি করে গরুর মাংস ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি সম্ভব: বাণিজ্যসচিব
![](https://banglaportalnews.com/wp-content/themes/Newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৮:৫১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ২৮ বার পড়া হয়েছে
![](https://banglaportalnews.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: বিদেশ থেকে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশে তা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। তবে দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতে গরুর মাংস আমদানি করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। তবে দেশীয় উৎপাদকেরা বলেছেন, আমদানি করে এতো কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করা সম্ভব নয়’।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গরুর মাংসের দাম নিয়ে কথা বলেন বাণিজ্যসচিব। ভোক্তা-অধিকার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল বিষয়ে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
অন্যদিকে, আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ৮০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে। কোথাও তা ২০-৫০ টাকা কম বা বেশিতেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্যও বলছে, ঢাকার বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা কেজিতে।
এফডিসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব বলেন, ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা থেকে গরুর মাংস আমদানি করা গেলে ভোক্তারা ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস খেতে পারবেন। এখন হয়তো ৮০০ টাকায় তাদের এই মাংস কিনতে হচ্ছে। কিন্তু এটা (বাড়তি দামের দায়) ভোক্তাদের ওপর দেওয়া হচ্ছে দেশীয় উৎপাদনকারীদের সুরক্ষা ও সহযোগিতা করার জন্য। ডিম, মুরগিসহ অনেক পণ্যের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়।,
তিনি আরও বলেন, ‘ভোক্তাদের সুবিধা দিতে হলে আমদানিকে উন্মুক্ত করে দেওয়া প্রয়োজন। উন্নত দেশগুলো আমদানিতে কোনো বিধিনিষেধ দেয় না। কিন্তু আমরা বিভিন্ন পণ্যে আমদানিতে অনেক বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছি। কারণ, দেশে প্রচুর মানুষ বেকার। ফলে আমাদের আত্মকর্মসংস্থানে যেতে হবে। এজন্য তাদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে, দেশীয় উৎপাদকদের সুরক্ষা দিতেই এসব বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।’