ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার কি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: একদিকে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।

ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।

অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।’

মূলত সফটওয়্যারজাত বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?

চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন তিন হাজার ৯০০ লোক।

ফুড ফর দ্য ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।’

নতুন চ্যাটবট মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে। এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি হচ্ছে।’

তাই মানুষ ভবিষ্যতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তার কি মানবসভ্যতার জন্য হুমকি

আপডেট সময় : ১১:২৭:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: একদিকে ক্রমশ বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অন্যদিকে ক্রমশ কমছে মানুষের বুদ্ধি। যা রীতিমতো উদ্বেগে ফেলে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের, ঘোর সংকটে ফেলে দিয়েছে মানবসভ্যতাকেও।

ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব ব্রেন কেমিস্ট্রি অ্যান্ড হিউম্যান নিউট্রিশনের প্রফেসর মাইকেল ক্রফোর্ড সতর্ক করেছেন এই বলে যে, গত ৫০ বছরে মানুষের মস্তিষ্কের ধূসর কোষগুলোর সংখ্যা যেভাবে কমেছে, তাতে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে পুরো মানবসভ্যতাই।

অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ আমেরিকান উদ্বিগ্ন। তাদের ৬১ শতাংশই মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সভ্যতাকে হুমকির মধ্যে ফেলতে পারে।’

মূলত সফটওয়্যারজাত বুদ্ধিমত্তা, যা মানুষ বা বিভিন্ন প্রাণীর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠার প্রাকৃতিক বুদ্ধিমত্তার সাথে এখন প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হিসেবে পরিচিত। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মানুষের মধ্যে গড়ে ওঠা বুদ্ধিমত্তার প্রতিফলন, স্বাভাবিকভাবে গড়ে ওঠা মানবচিন্তা ও তার পরিধি কি পরাজিত হয়ে হারিয়ে যাবে তার সৃষ্ট কোনো ঊনমানুষরূপী অতিমানবের কাছে?

চ্যাটজিপিটির মধ্য দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে অস্ত্র প্রতিযোগিতার মতো দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। মাইক্রোসফট ও গুগলের মতো প্রভাবশালী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একে অপরের অর্জনগুলো ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ঘোষণা এর বাস্তবতা। মাত্র গত মে মাসে সিলিকন ভ্যালিতে কর্মচ্যুত হয়েছেন তিন হাজার ৯০০ লোক।

ফুড ফর দ্য ব্রেন ফাউন্ডেশন নামের এক ওয়েবিনারে প্রফেসর ক্রফোর্ড বলেছেন, ১৯৭০ সাল থেকেই আইকিউ কমছে। এটি খুবই ভয়ের বিষয়। এভাবে চলতে থাকলে হোমো সেপিয়েন্স নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে এবং সেদিন বেশি দূরে নয়।’

নতুন চ্যাটবট মানুষকে সঙ্গ দিচ্ছে, কথা বলছে, শিশুদের খেলার সাথী হচ্ছে, বয়স্কদের প্রমোদ সঙ্গী হচ্ছে। এ সব কিছু একজন ব্যক্তিকে সমাজবিমুখ করে আত্মকেন্দ্রিক করে তুলছে। পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্ন অবস্থান তৈরি করছে। এখানে সমাজবিজ্ঞান, মানুষ ও বিজ্ঞান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মুখোমুখি হচ্ছে।’

তাই মানুষ ভবিষ্যতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইনরূপী তার সৃষ্টিকে অপার সম্ভবনার পৃথিবীতে স্বাগত জানাবে নাকি আপন সৃষ্ট ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের হাতে সংহারিত হবে তা এখন বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন।’