রাজারহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার দ্বন্দ্বে কার্যত অচল
- আপডেট সময় : ০৮:২৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ১০১ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের দ্বন্দ্বে কার্যত অচল হয়ে পরেছে ইউনিয়ন পরিষদ। ফলে চরম জন- ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২৬আগষ্ট) রাজারহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে মেম্বারদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে চেয়ারম্যান-মেম্বারের দ্বন্দে অচল হয়ে পড়েছে রাজারহাট উপজেলার সদর ইউনিয় ন পরিষদ। এতে করে চরম জন-ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।এরআগে গত ১৮ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদটির ১০সদস্য চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।
মেম্বারদের অভিযোগে জানা গেছে, রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এনামুল হক পরিষদের চলতি দায়িত্ব গ্রহণের পর অল্প দিনে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি ইউপি সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করে সমন্বয়হীনতার মধ্য দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চালানো শুরু করেন। কোন মেম্বার এর প্রতিবাদ করলে তিনি তাকে হুমকী-ধামকী প্রদর্শন করেন। মেম্বারদের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন তারা। ফলে ৩জন নারী ইউপি সদস্য সহ ১০ জন ইউপি সদস্য চলতি বছরের ১৮এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের নিকট চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রেজুলেশন সহ অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত এবং বিচার দাবি করে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তারা।
এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরে তাসনিম উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মাহফুজার রহমানকে তদন্তকারী কর্মকর্তা মনোনীত করেন। তিনি তদন্ত শেষে নীতিমালা অনুযায়ী চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দ্বন্দ নিরসনের চেষ্টা করলেও তা ভেস্তে যায়। এর ধারাবাধিকতায় দায়িতপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শনিবার উপজেলা অফিসার ক্লাবে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদআইন-২০০৯ ) এর ৩৯ ধারা মোতাবেক বিশেষ সভার আয়োজন করেন। সভায় আপোস মিমাংসা না হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে শনিবার সকাল থেকে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এড়াতে মোতায়েন করা হয় স্পেশাল ফোর্স।
মেম্বাররা বলেন,চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে এবং হতদরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে তার অপসারণের দাবিতে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।
এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদটির সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা থেকে জনসাধারণ বঞ্চিত হচ্ছেন।
এবিষয়ে রাজারহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন,তারা ১০জন মেম্বার আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে এবং ১৪টি বিষয়ে অভিযোগ করেছে আমি প্রতিটির জবাব দিয়েছি।
ইউএনও নুরে তাসনিম বলেন, বিধি মোতাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে,তিনি এ বিষয়ে কাজ করছেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (পর্যবেক্ষক) ডাঃ মাহফুজার রহমান বলেন,অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত সমাধান চায় এলাকা বাসি।