ঢাকা ০৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

ছাত্র হত্যায় ঘাতক শিক্ষক আমিনুলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ১০১১ বার পড়া হয়েছে

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা: খাগড়াছড়িতে শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ঘাতক

শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

আজ (সোমবার) রাত সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রামের চাঁটগাও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার আরিফুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল কোর্টে তোলা হবে। পরে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে

আবির হোসেন (৮) নামে শিক্ষার্থীকে মৃতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়। নিহত আবির

হোসেন পানছড়ির আইয়ুব নগর এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।

নিহত আবির হোসেনের চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে ভাতিজাকে

খাগড়াছড়ি সদরের ভুয়াছড়ি রাজশাহী টিলা এলাকার বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল

মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আবিরের বাবা

আমাকে হাসপাতালে আসতে বললে এসে দেখি আমার ভাতিজা আর বেচে নাই। ঘাতক হুজুর

আমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

আবিরের খালু নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আবিরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা

হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ও কানেও আঘাত এবং মুখ দিয়ে

ফেনা বের হয়েছে। অনেক নৃশংস ভাবে মেরে খুন করা হয়েছে।

বায়তুল আমান হেফজখানার পরিচালক ফরিদুল আলম জানান, দুই মাস হেফজ বিভাগে

আমিনুল ইসলাম নামে ওই হুজুর যোগ দেন। কি কারণে ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে

জানেন না। ঘটনার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না বলেও জানান।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রিপল বাপ্পী চাকমা

জানান, মরদেহের সুরতহালের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ছাত্র হত্যায় ঘাতক শিক্ষক আমিনুলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:৪০:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা: খাগড়াছড়িতে শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ঘাতক

শিক্ষক আমিনুল ইসলাম।

আজ (সোমবার) রাত সোয়া আটটার দিকে চট্টগ্রামের চাঁটগাও আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার আরিফুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে ঘাতক শিক্ষক আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল কোর্টে তোলা হবে। পরে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে

আবির হোসেন (৮) নামে শিক্ষার্থীকে মৃতাবস্থায় নিয়ে আসা হয়। নিহত আবির

হোসেন পানছড়ির আইয়ুব নগর এলাকার সরোয়ার হোসেনের ছেলে।

নিহত আবির হোসেনের চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, এক মাস আগে ভাতিজাকে

খাগড়াছড়ি সদরের ভুয়াছড়ি রাজশাহী টিলা এলাকার বায়তুল আমান ইসলামীয়া দাখিল

মাদ্রাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আবিরের বাবা

আমাকে হাসপাতালে আসতে বললে এসে দেখি আমার ভাতিজা আর বেচে নাই। ঘাতক হুজুর

আমিনুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

আবিরের খালু নুরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, আবিরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় হত্যা করা

হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ও কানেও আঘাত এবং মুখ দিয়ে

ফেনা বের হয়েছে। অনেক নৃশংস ভাবে মেরে খুন করা হয়েছে।

বায়তুল আমান হেফজখানার পরিচালক ফরিদুল আলম জানান, দুই মাস হেফজ বিভাগে

আমিনুল ইসলাম নামে ওই হুজুর যোগ দেন। কি কারণে ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে

জানেন না। ঘটনার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানে ছিলেন না বলেও জানান।

খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রিপল বাপ্পী চাকমা

জানান, মরদেহের সুরতহালের সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন।