ঢাকা ০৭:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ: অপসরন চেয়ে সারা দেশে চলছে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ  আজ মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা: রাজশাহীতে দেবীর চরণে ভক্তের শ্রদ্ধা রাউজানে মন্ডপে মন্ডপে চলছে দূর্গাপূজা রায়গঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, ৫ জনকে কারাদন্ড টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা

বন্দরে ‘ফোনে ডেকে’ যুবলীগ নেতা জুম্মানকে কোপালো শেখ আরিফ গং

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩ ৪৪ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: বন্দরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে জুম্মান নামে এক যুবলীগ নেতা কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে শেখ আরিফ গংদের বিরুদ্ধে। গত রোববার (২৭ আগস্ট) উপজেলার পশ্চিম কল্যান্দী বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

জুম্মান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম কল্যান্দী এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারাযণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ ঘটনায় রাতেই আহত জুম্মানের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে শেখ আরিফকে প্রধান আসামি করে ৯জনের নামে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়াও আরও ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আসামিরা হলো: বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শেখ আরিফ (৪০), কামাল মিয়ার ছেলে শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাত (২৭), নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শাহীন, চান বাদশার ছেলে সানোয়ার (৪৮), ছবির প্রধানের ছেলে ডিস মনির (৫৫), বন্দর রেললাইন এলাকার মামুন, কল্যান্দী টেটনাপাড়া এলাকার ইয়াসিন (১৯), শাহী মসজিদ এলাকার জুবায়ের (৩৭), জিওধরা এলাকার মনির মিয়ার ছেলে আউয়াল।

বাদীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার বিকেল ৪ টার দিকে অজ্ঞাত ০১৬৩৪ ৩৬৮ ৫৪৪ এই নম্বর থেকে ফোন করে জুম্মানকে পশ্চিম কল্যান্দী বালুর মাঠ সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় ডেকে নিয়ে যান। পরে শেখ আরিফের নেতৃত্বে ১৬ থেকে ১৭ জন মিলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো দেশীয় অস্ত্র, কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক, কাঠের স্ট্যাম্প ও সামুরাই দিয়ে হামলা চালায়। জুম্মান দৌঁড়ে পালানোর ২নং বিবাদীর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে পিছন বারী দিলে মাঠিতে লুটে পড়লে সকল বিবাদীরা এলোপাতাাড়ি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। ৪ ও ৫নং বিবাদীর হুমুকে ২, ৩ ও ৬নং বিবাদী হকিস্টিক ও কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। ১ ও ২নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে গলায় ঠেকিয়ে কোরবানি দেয়ার কথা বলে কোপ মারলে বাম হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। হাত দিয়ে রামদা ধরিলে ২ ও ৩নং বিবাদী ধারালো রামদা দিয়ে দু’পায়ে কোপাতে থাকে। ৯নং বিবাদী ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে তার নাকে গিয়ে লাগে। ঘটনার খবর পেয়ে আমিসহ আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারাযণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এবিষয় অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল সামাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছি, এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বন্দরে ‘ফোনে ডেকে’ যুবলীগ নেতা জুম্মানকে কোপালো শেখ আরিফ গং

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ সংবাদদাতা: বন্দরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে জুম্মান নামে এক যুবলীগ নেতা কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে শেখ আরিফ গংদের বিরুদ্ধে। গত রোববার (২৭ আগস্ট) উপজেলার পশ্চিম কল্যান্দী বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

জুম্মান বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিম কল্যান্দী এলাকার রাজা মিয়ার ছেলে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারাযণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এ ঘটনায় রাতেই আহত জুম্মানের স্ত্রী বিথী বেগম বাদী হয়ে শেখ আরিফকে প্রধান আসামি করে ৯জনের নামে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়াও আরও ৭/৮জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আসামিরা হলো: বন্দর শাহী মসজিদ এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শেখ আরিফ (৪০), কামাল মিয়ার ছেলে শেখ সিফাত ওরফে কাটা সিফাত (২৭), নাজিম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে শাহীন, চান বাদশার ছেলে সানোয়ার (৪৮), ছবির প্রধানের ছেলে ডিস মনির (৫৫), বন্দর রেললাইন এলাকার মামুন, কল্যান্দী টেটনাপাড়া এলাকার ইয়াসিন (১৯), শাহী মসজিদ এলাকার জুবায়ের (৩৭), জিওধরা এলাকার মনির মিয়ার ছেলে আউয়াল।

বাদীর অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রোববার বিকেল ৪ টার দিকে অজ্ঞাত ০১৬৩৪ ৩৬৮ ৫৪৪ এই নম্বর থেকে ফোন করে জুম্মানকে পশ্চিম কল্যান্দী বালুর মাঠ সংলগ্ন কাঁচা রাস্তায় ডেকে নিয়ে যান। পরে শেখ আরিফের নেতৃত্বে ১৬ থেকে ১৭ জন মিলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধারালো দেশীয় অস্ত্র, কুড়াল, রামদা, হকিস্টিক, কাঠের স্ট্যাম্প ও সামুরাই দিয়ে হামলা চালায়। জুম্মান দৌঁড়ে পালানোর ২নং বিবাদীর হাতে থাকা হকিস্টিক দিয়ে পিছন বারী দিলে মাঠিতে লুটে পড়লে সকল বিবাদীরা এলোপাতাাড়ি লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। ৪ ও ৫নং বিবাদীর হুমুকে ২, ৩ ও ৬নং বিবাদী হকিস্টিক ও কাঠের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলাফুলা জখম করে। ১ ও ২নং বিবাদী হত্যার উদ্দেশ্যে রামদা দিয়ে গলায় ঠেকিয়ে কোরবানি দেয়ার কথা বলে কোপ মারলে বাম হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। হাত দিয়ে রামদা ধরিলে ২ ও ৩নং বিবাদী ধারালো রামদা দিয়ে দু’পায়ে কোপাতে থাকে। ৯নং বিবাদী ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে তার নাকে গিয়ে লাগে। ঘটনার খবর পেয়ে আমিসহ আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে অবচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারাযণগঞ্জ সদর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

এবিষয় অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল সামাদ জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে তদন্তে গিয়েছি, এখনও তদন্ত চলমান রয়েছে।