দেশে আবারও বাড়ল ডলারের দাম
- আপডেট সময় : ০২:২৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: আবারও নগদ ডলারের সংকট দেখা দেওয়ায় দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোয় ডলার মিলছে না। ফলে নগদ ডলারের দাম আবারও বেড়ে গেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকার কথা। কিন্তু রাজধানীর খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকার মধ্যে। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকে ১১০ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে মেঘনা ব্যাংক নগদ ডলার সর্বোচ্চ ১১৩ টাকা করে বিক্রি করছে। বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক ১১২ টাকা করে বিক্রি করছে। আল আরাফাহ ব্যাংক ১১১ টাকা ৭৫ পয়সা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে ১১১ টাকা ৬০ পয়সা, আইএফআইসি, সিটি ব্যাংক এনএ, এক্সিম, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ১১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করছে। বর্তমানে ডলার বিক্রির গড় দাম ১১০ টাকা ৮০ পয়সা। সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, রূপালী ব্যাংক ১১০ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছে।’
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশফেরত নাগরিকেরাই সাধারণত ব্যাংকে নগদ ডলার সরবরাহের প্রধান মাধ্যম হিসেবে কাজ করেন। যেসব ব্যাংকের খুচরা গ্রাহক বেশি, তারা কিছু ডলার পাচ্ছে। মতিঝিল এলাকার ব্যাংকে নগদ ডলারের অন্যতম জোগানদাতা ছিল জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস। তবে সেখানে এখন ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।’
ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই ও চলতি আগস্ট মাসে ডলার কেনার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ সময়ে অনেকে বিদেশে ভ্রমণের জন্য গেছেন।’ আবার শিক্ষার উদ্দেশ্যে অনেকে বিদেশে গেছেন। তাদের প্রায় সবাই নগদ ডলার সঙ্গে করে নিয়েছেন। ফলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে।’
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘নগদ ডলার সরবরাহ থাকলে বিক্রি করা হয়। এখন কেউ আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করছে না, এ জন্য আমরাও দিতে পারছি না। তবে মাঝেমধ্যে কেউ বিক্রি করলে আমরা তা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছি। আমরা ডলার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করছি।’
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে সংকটের সময়ে খোলাবাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১২১ টাকায় উঠেছিল। এরপর ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠনকে (এবিবি) ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়। পাশাপাশি নগদ ডলারের দামও নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।