ঢাকা ১২:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত রায়গঞ্জে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপিত 

চলন্ত প্লেনে অসুস্থ বাংলাদেশি ১৫ মাস বয়সী শিশু, নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: প্লেন চলাকালীন মাঝ আকাশ পথেই এক শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ভারতের নাগপুরে জরূরী অবতরণ করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হলো ১৫ মাস বয়সী ওই বাংলাদেশি শিশুর।’

জানা গেছে, ২৭ আগস্ট রাতের দিকে বাবা-মায়ের সাথে সাথেভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল শিশুটি। কিন্তু হঠাৎ করেই প্লেনের মধ্যে অসুস্থতা বোধ করে সে। এরপর প্লেনের গতিপথ ঘুরিয়ে রাতেই নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থেকেই নাগপুরের একটি বেসরকারি মাল্টিস্পেশালটি হাসপাতালে (কেআইএমএস-কিংসওয়ে) ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যু হয় শিশুটির।

নাগপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কেআইএমএস-কিংসওয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এজাজ শামি (ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন) জানান ‘তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার ভোর ৩.১৫ মিনিট নাগাদ শিশুটি মারা যায়।’

জানা গেছে, প্লেনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ওই শিশুটি সিলেটের বাসিন্দা । বাবা-মা’য়ের কোলেই সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। এসময় প্লেনের সহযাত্রীরা তাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ব্যবস্থার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। প্লেনের সহযাত্রীদের মধ্যে দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস’ (এইমস) এর পাঁচ চিকিৎসকও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের অনবরত প্রচেষ্টায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরে শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে’।

তিনি আরো জানান, প্লেনের ভেতর এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে তাকে অচেতন অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করার একাধিকবার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের সকলে মিলে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। শিশুটি কিডনি এবং কার্ডিয়াক ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগছিল বলেও জানান এজাজ শামি। একটা সময় তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। আরও জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে ওই শিশুটির হৃদরোগের অস্ত্রপ্রচার হয়েছিল।’

হাসপাতাল সূত্রে খবর শুক্রবারই ওই শিশুটির লাশ নিয়ে বাংলাদেশ ফিরবে তার বাবা-মা। ইতিমধ্যেই লাশ নিয়ে আসার আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছে। নাগপুর থেকে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে নিয়ে আসা হবে ওই শিশুটিকে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

চলন্ত প্লেনে অসুস্থ বাংলাদেশি ১৫ মাস বয়সী শিশু, নাগপুরে জরুরি অবতরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:৩৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: প্লেন চলাকালীন মাঝ আকাশ পথেই এক শিশু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে ভারতের নাগপুরে জরূরী অবতরণ করা হয়। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরও বাঁচানো যায়নি শিশুটিকে। তিন দিন পর বৃহস্পতিবার মৃত্যু হলো ১৫ মাস বয়সী ওই বাংলাদেশি শিশুর।’

জানা গেছে, ২৭ আগস্ট রাতের দিকে বাবা-মায়ের সাথে সাথেভিস্তারা এয়ারলাইন্সের একটি প্লেনে ভারতের বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছিল শিশুটি। কিন্তু হঠাৎ করেই প্লেনের মধ্যে অসুস্থতা বোধ করে সে। এরপর প্লেনের গতিপথ ঘুরিয়ে রাতেই নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থেকেই নাগপুরের একটি বেসরকারি মাল্টিস্পেশালটি হাসপাতালে (কেআইএমএস-কিংসওয়ে) ভর্তি করা হয় তাকে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শারীরিক জটিলতা দেখা দেয় এবং মৃত্যু হয় শিশুটির।

নাগপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কেআইএমএস-কিংসওয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এজাজ শামি (ব্র্যান্ডিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন) জানান ‘তিনদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার ভোর ৩.১৫ মিনিট নাগাদ শিশুটি মারা যায়।’

জানা গেছে, প্লেনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া ওই শিশুটি সিলেটের বাসিন্দা । বাবা-মা’য়ের কোলেই সম্পূর্ণ অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। এসময় প্লেনের সহযাত্রীরা তাকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) ব্যবস্থার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। প্লেনের সহযাত্রীদের মধ্যে দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস’ (এইমস) এর পাঁচ চিকিৎসকও ছিলেন বলে জানা গেছে। তাদের অনবরত প্রচেষ্টায় কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে শিশুটি। এরপর নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পরে শিশুটিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে’।

তিনি আরো জানান, প্লেনের ভেতর এবং হাসপাতালে নিয়ে আসার পর থেকে তাকে অচেতন অবস্থা থেকে পুনরুজ্জীবিত করার একাধিকবার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে হাসপাতালের সকলে মিলে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি। শিশুটি কিডনি এবং কার্ডিয়াক ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন শারিরীক জটিলতায় ভুগছিল বলেও জানান এজাজ শামি। একটা সময় তার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। আরও জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর নারায়ণা হাসপাতালে ওই শিশুটির হৃদরোগের অস্ত্রপ্রচার হয়েছিল।’

হাসপাতাল সূত্রে খবর শুক্রবারই ওই শিশুটির লাশ নিয়ে বাংলাদেশ ফিরবে তার বাবা-মা। ইতিমধ্যেই লাশ নিয়ে আসার আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হয়েছে। নাগপুর থেকে দিল্লি হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে নিয়ে আসা হবে ওই শিশুটিকে।’