ঢাকা ০১:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা গাজীপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিজিট  পালিত ছেলেকে হারানো ছেলের আসনে বসিয়েছি, সে রোহিঙ্গা নয়: আব্দু সালাম

ইউনূসের বিনিময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বৈধতা দিবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে এখন দুটি ইস্যু। দুটি ইস্যু কি একটি অন্যটির পরিপূরক নাকি দুটি ইস্যু বিনিময় হিসেবে ব্যবহৃত হবে-এটি এখন কূটনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছিল। এই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা সরকারের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপও প্রয়োগ করেছিল। গত ২৪ মে এনিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। এই নির্বাচনে যেন সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’ এরকম একটি পরিস্থিতি নিয়ে যখন বাংলাদেশের ওপর অব্যাহত চাপ দেয়া হচ্ছে ঠিক সেই সময় ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে এসেছে।’

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা এখন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন চলছে। এই মামলা থেকে বাঁচার জন্য ড. ইউনূস বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হয়েছেন। পয়সা খরচ করে ১৬০ জনের বিবৃতি আদায় করেছেন। বারাক ওবামা তার জন্য চিঠি দিয়েছে। হিলারি ক্লিনটন টুইট বার্তা করেছেন। এসবের ফলে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনূসকে দায় মুক্তি দেয়ার জন্য অনুরোধ করছে। তাহলে এই দুটি ইস্যুর মধ্যে কোনটিকে প্রাধান্য দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’

কূটনীতিকরা মনে করছেন, দুটি ইস্যু সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের ব্যাপারে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনড়, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় ঠিক তেমনি ইউনূসের ব্যাপারেও তারা অনমনীয় অবস্থানে আছে। তারা মনে করে যে ড. ইউনূসের বিচারগুলো যেন স্থগিত করা হয়। আবার কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করেছেন, নির্বাচনের ইস্যু এবং ড. ইউনূস ইস্যু একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কিত’। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য দুটি ইস্যুকে সমান্তরালভাবে সামনে আনা হয়েছে। এই দুটি ইস্যুর মাধ্যমে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো কোনো কূটনৈতিক মনে করছেন, ড. ইউনূস ইস্যুটি আসলে দরকষাকষির উপায়। যদি ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত করা হয় বা মামলাগুলোকে আড়াল করা হয় কিংবা মামলাগুলোর ব্যাপারে সরকার নমনীয় নীতি গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের যে প্রস্তাব সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইউনূসের মামলা বা অন্যান্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নরম হলে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও নরম হবে।’

বাংলাদেশের যে অবস্থান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল না করল সেটি মূল বিষয় না। সেরকম একটি অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহমত হবে যদি ইউনূসের ব্যাপারে সরকার নমনীয় হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি। এটি শ্রমিকরা করেছে। আর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগের ওপর কোনরকম হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকার দুটি ইস্যুর কোনোটিই থেকেই সরে দাঁড়াবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ইউনূসের বিনিময়ে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বৈধতা দিবে যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় : ১০:২২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে এখন দুটি ইস্যু। দুটি ইস্যু কি একটি অন্যটির পরিপূরক নাকি দুটি ইস্যু বিনিময় হিসেবে ব্যবহৃত হবে-এটি এখন কূটনৈতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। গত দুই বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলছিল। এই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তারা সরকারের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপও প্রয়োগ করেছিল। গত ২৪ মে এনিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে নির্বাচন হতে হবে অবাধ সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ। এই নির্বাচনে যেন সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।’ এরকম একটি পরিস্থিতি নিয়ে যখন বাংলাদেশের ওপর অব্যাহত চাপ দেয়া হচ্ছে ঠিক সেই সময় ড. ইউনূস ইস্যুটি সামনে এসেছে।’

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা এখন নিম্ন আদালতে বিচারাধীন চলছে। এই মামলা থেকে বাঁচার জন্য ড. ইউনূস বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলের দ্বারস্থ হয়েছেন। পয়সা খরচ করে ১৬০ জনের বিবৃতি আদায় করেছেন। বারাক ওবামা তার জন্য চিঠি দিয়েছে। হিলারি ক্লিনটন টুইট বার্তা করেছেন। এসবের ফলে এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ড. ইউনূসকে দায় মুক্তি দেয়ার জন্য অনুরোধ করছে। তাহলে এই দুটি ইস্যুর মধ্যে কোনটিকে প্রাধান্য দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।’

কূটনীতিকরা মনে করছেন, দুটি ইস্যু সম্পূর্ণ ভিন্ন। একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক নেই। নির্বাচনের ব্যাপারে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান অনড়, তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেখতে চায় ঠিক তেমনি ইউনূসের ব্যাপারেও তারা অনমনীয় অবস্থানে আছে। তারা মনে করে যে ড. ইউনূসের বিচারগুলো যেন স্থগিত করা হয়। আবার কোনো কোনো কূটনীতিক মনে করেছেন, নির্বাচনের ইস্যু এবং ড. ইউনূস ইস্যু একটি অন্যটির সাথে সম্পর্কিত’। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে চাপে ফেলার জন্য বা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য দুটি ইস্যুকে সমান্তরালভাবে সামনে আনা হয়েছে। এই দুটি ইস্যুর মাধ্যমে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে কোনো কোনো কূটনৈতিক মনে করছেন, ড. ইউনূস ইস্যুটি আসলে দরকষাকষির উপায়। যদি ড. ইউনূসের মামলা স্থগিত করা হয় বা মামলাগুলোকে আড়াল করা হয় কিংবা মামলাগুলোর ব্যাপারে সরকার নমনীয় নীতি গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে নির্বাচনের ব্যাপারে ভারতের যে প্রস্তাব সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ ইউনূসের মামলা বা অন্যান্য বিষয়গুলোর ব্যাপারে সরকারের অবস্থান নরম হলে নির্বাচনের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও নরম হবে।’

বাংলাদেশের যে অবস্থান সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন এবং সেই নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করল না করল সেটি মূল বিষয় না। সেরকম একটি অবস্থানের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহমত হবে যদি ইউনূসের ব্যাপারে সরকার নমনীয় হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা সরকার করেনি। এটি শ্রমিকরা করেছে। আর বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। বিচার বিভাগের ওপর কোনরকম হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার সরকারের নেই। সরকার দুটি ইস্যুর কোনোটিই থেকেই সরে দাঁড়াবে না।