বিএনপির অর্ধেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা
- আপডেট সময় : ১০:১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৫০ লাখ সদস্যের প্রায় অর্ধেক (২৫ লাখ) নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এসব নেতাকর্মীকে আন্দোলনের চেয়ে কোর্টে হাজিরা ও মামলা চালানো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে।’
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বিষয়টি নিয়ে একটি বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। পাঠকদের জন্য নিবন্ধটির চৌম্বক অংশ তুলে ধরা হলো….
নিবন্ধে বলা হয়েছে, ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে শ্বাসরোধ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন বিরোধীদলের হাজারো নেতাকর্মী, সদস্য ও সমর্থকদের আদালতে বিচারকের সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগই ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং দুর্বল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কয়েক মাস আগে এ অচলাবস্থার প্রভাব স্পষ্ট।’
প্রধান বিরোধীশক্তি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রায় ৫০ লাখ কর্মীর অর্ধেকই (প্রায়২৫ লাখ) রাজনৈতিক মামলার শিকার। সবচেয়ে সচল নেতা ও সংগঠকরা ডজন এমনকি শত শত মামলার শিকার হয়েছেন। যাদের এখন মিছিলে থাকা অথবা মধ্যরাত অবধি বিভিন্ন রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে চিন্তাভাবনার কথা ছিল-তাদের উকিলের চেম্বার, কোর্টরুমের চার কোনা খাঁচা এবং এ দুটি জায়গার মধ্যে তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এভাবেই তাদের দমিয়ে রাখা হয়েছে।’
ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে প্রত্যাশিত নির্বাচনের আগে আরেকটি বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। বিএনপি আগামী নির্বাচনকে তাদের শেষ লড়াই হিসেবে দেখছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আমরা কোনোভাবেই বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে পারি না। তারা ক্ষমতায় আসলে আমাদের মেরে ফেলবে।’
বিএনপি নেতারা দাবি করেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রায় ৮০০ নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং ৪০০ জন গুম হয়েছেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে অনুরূপ কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। এ সময় তিনি হাজারো নেতাকর্মীদের জেল এবং হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, এটা তারা শুরু করেছে’।
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার লক্ষ্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।’ খালেদা জিয়ার স্বামীর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সেনা ছাউনি থেকে সৃষ্টি হয়েছে।’ খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের পর থেকে জেলে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি এবং তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ঘটছে। তিনি বর্তমানে টেলিভিশন ও পত্রিকা পড়ে সময় কাটান।’
২০০৪ সালে শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার অভিযোগ রয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি লন্ডনে রয়েছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৯৩টি মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার পাশাপাশি যতটা পারেন দলকে টেনে নিচ্ছেন।’
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান খাদ্যমূল্য ও বিদ্যুতের ঘাটতি নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যখন শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই নির্বাচন করার কথা বলছেন তখন বিরোধীদল জনমনে সৃষ্ট সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার ভয়, খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের ঘাটতির মতো সমস্যাকে কাজে লাগাতে চাইছে।