ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শাহজাদপুরে অটোবাইক ছিনতাই চক্রের ৬ জন আটক ৭ নভেম্বর না আসলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যেত: বাউবি উপাচার্য বেলকুচির সেন ভাঙ্গাবাড়ী বাজার মসজিদের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন “জয় বাংলা” স্লোগান দেওয়ায় সাবেক পিপি-কে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ উলিপুরে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভোট কেন্দ্র মেরামতের টাকা আত্নসাতের অভিযোগ খাজা শাহ্ এনায়েতপুরী (রহ:) এর ১১০ তম ওরছ শরীফের দাওয়াত পত্র বিতরণ  রাজশাহীর মাঠে স্পীড স্কেটিংয়ে বগুড়ার স্কেটারদের ৩টি স্বর্ণপদক সহ ৮ পদক অর্জন এনায়েতপুরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি উপলক্ষে আলোচনা সভা গাজীপুরে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ভিজিট  পালিত ছেলেকে হারানো ছেলের আসনে বসিয়েছি, সে রোহিঙ্গা নয়: আব্দু সালাম

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আজ, কীভাবে জিততে হবে জানালেন শোয়েব আখতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আগুনে লড়াই। খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রত্যাশিত দ্বৈরথগুলোরও একটি। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই ম্যাচ নিয়ে সবার আগ্রহও থাকে তুঙ্গে।’

আজ এশিয়া কাপে আরও একবার মুখোমুখি হবে এ দুই দল। বরাবরের মতো এই ম্যাচটি হয়ে উঠেছে দুই দলের জন্য মর্যাদার লড়াই। লড়াইটা শুধু মাঠের খেলোয়াড়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সাবেক তারকারাও নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উত্তরসূরিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনই পরামর্শ নিয়ে এবার হাজির হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার। এই ম্যাচে কে কোথায় এগিয়ে এবং কীভাবে ম্যাচটি জেতা সম্ভব, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সে টোটকাও দিয়েছেন শোয়েব’।

বোলিংয়ে পাকিস্তান সব সময় এগিয়ে থাকে। এবারও ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে এগিয়ে রাখলেন শোয়েব। বোলারদের লক্ষ্য কী হবে, তা জানাতে গিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের লড়াই সব সময় বিশাল কিছু। আপনারা জানেন পাকিস্তানের শক্তি বোলিং। ভারতের তিন ব্যাটসম্যান যদি শুরুতেই আউট হয়ে যায়, তাহলে তারা বিপদে পড়ে যায়। পাকিস্তান চেষ্টা করবে ভারতের দুর্বল জায়গায় আঘাত করার।’

এ সময় বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেছেন শোয়েব, ‘বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে আশা করি নিজের দুর্বলতাগুলো সে ঠিক করে নেবে। আর বাবর এবং তার দল বেশ পরিণত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন ধরেই খেলছে। এখন তাই ওদের ওপর অত বেশি চাপ নেই।’

টস জিতলে আগে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা জানাতে গিয়ে শোয়েবের মত, ‘ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ বেড়ে গেছে’। পাকিস্তান টস জিতলে ব্যাটিং নেবে। তারা আক্ষরিক অর্থেই ভারতের ওপর শুরু থেকে আক্রমণ করবে। আর ভারত টসে জিতলে পাকিস্তান বিপদে পড়তে পারে। কারণ উইকেটে সমস্যা আছে, বোলিংয়ের সময় পরিস্থিতি কেমন হবে তা আমিও বুঝতে পারছি না। সব মিলিয়ে দুই দলের সামনেই সুযোগ আছে। তাদের ফাস্ট বোলারদের ওপর সম্মান রেখেই বলছি, তাদের ব্যাটিং দারুণ। তবে আমার ধারণা বুমরা, শামি এবং সিরাজ তিন পেসার নিয়ে তারা খেলবে। কুলদীপকেও দলে রাখা দরকার।’

পাকিস্তান ও ভারতের শক্তির জায়গাগুলো শোয়েব চিহ্নিত করেছেন এভাবে, ‘পাকিস্তান এই মুহূর্তে সুদৃঢ় একটি দল। তাদের বোলিং দুর্দান্ত। ব্যাটিংও বেশ স্থির। পাকিস্তানের ব্যাটিং আগের মতো নেই। আগে ছিল ৩ জন আউট হলে ব্যাটিং তাসের ঘরে পরিণত হতো। আমি মনে করি এই দুটি দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। বিশেষ করে দল দুটি যখন উপমহাদেশে খেলে। দুটি দলকেই উপমহাদেশে হারানো খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু একটি দলকে তো ম্যাচ হারতেই হবে। তবে আমার বিশ্বাস পাকিস্তানের স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রয়েছে। আমার মনে হয় পাকিস্তান জয় পাবে। আমি আশা করি ভারত খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ দেবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন ওদের প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যানকে তাড়াতাড়ি আউট করা যায়, যাতে ওরা চাপে পড়ে। এরপরও বলতে হয়, ভারতের ব্যাটিং লাইন কিন্তু অনেক লম্বা। ওদের ৭ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান আছে।’

এই ম্যাচ নিয়ে কোনো চাপ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব। অভিজ্ঞতা কতটা অমূল্য, তা ব্যাখ্যা করে শোয়েব বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের এই ম্যাচটি একটি আগুনে লড়াই হতে যাচ্ছে’। যদি দল দুটি ফাইনালে ওঠে, আমি অবশ্যই দেখতে যাব। দুই দলের জন্যই শুভকামনা রইল। আমরা থ্রিলার দেখতে চেয়েছিলাম সেটা পেয়ে গেলাম। সম্ভবত দুই বিলিয়নের বেশি মানুষ এই ম্যাচ উপভোগ করবে। সবাইকে বলব, কোনো চাপ নেওয়ার দরকার নেই। এটা এমন ম্যাচ যার গল্প তুমি নিজের ছেলে-মেয়েদের শোনাবে। বলতে পারবে আমি বিরাট কোহলির বিপক্ষে খেলেছি। আমি নিজেও শোনাই। বলি যে, আমি শচীনের (টেন্ডুলকারের) বিপক্ষে খেলেছি; বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এই সুযোগগুলো তাই হাতছাড়া করা উচিত নয়। মন দিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আজ, কীভাবে জিততে হবে জানালেন শোয়েব আখতার

আপডেট সময় : ১০:৪৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলা পোর্টাল ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই আগুনে লড়াই। খেলার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রত্যাশিত দ্বৈরথগুলোরও একটি। দুই দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এই ম্যাচ নিয়ে সবার আগ্রহও থাকে তুঙ্গে।’

আজ এশিয়া কাপে আরও একবার মুখোমুখি হবে এ দুই দল। বরাবরের মতো এই ম্যাচটি হয়ে উঠেছে দুই দলের জন্য মর্যাদার লড়াই। লড়াইটা শুধু মাঠের খেলোয়াড়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে না। সাবেক তারকারাও নিজেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে উত্তরসূরিদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনই পরামর্শ নিয়ে এবার হাজির হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার। এই ম্যাচে কে কোথায় এগিয়ে এবং কীভাবে ম্যাচটি জেতা সম্ভব, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সে টোটকাও দিয়েছেন শোয়েব’।

বোলিংয়ে পাকিস্তান সব সময় এগিয়ে থাকে। এবারও ভারতের চেয়ে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে এগিয়ে রাখলেন শোয়েব। বোলারদের লক্ষ্য কী হবে, তা জানাতে গিয়ে শোয়েব বলেছেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের লড়াই সব সময় বিশাল কিছু। আপনারা জানেন পাকিস্তানের শক্তি বোলিং। ভারতের তিন ব্যাটসম্যান যদি শুরুতেই আউট হয়ে যায়, তাহলে তারা বিপদে পড়ে যায়। পাকিস্তান চেষ্টা করবে ভারতের দুর্বল জায়গায় আঘাত করার।’

এ সময় বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেছেন শোয়েব, ‘বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। তবে আশা করি নিজের দুর্বলতাগুলো সে ঠিক করে নেবে। আর বাবর এবং তার দল বেশ পরিণত। তারা একসঙ্গে অনেক দিন ধরেই খেলছে। এখন তাই ওদের ওপর অত বেশি চাপ নেই।’

টস জিতলে আগে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, তা জানাতে গিয়ে শোয়েবের মত, ‘ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ বেড়ে গেছে’। পাকিস্তান টস জিতলে ব্যাটিং নেবে। তারা আক্ষরিক অর্থেই ভারতের ওপর শুরু থেকে আক্রমণ করবে। আর ভারত টসে জিতলে পাকিস্তান বিপদে পড়তে পারে। কারণ উইকেটে সমস্যা আছে, বোলিংয়ের সময় পরিস্থিতি কেমন হবে তা আমিও বুঝতে পারছি না। সব মিলিয়ে দুই দলের সামনেই সুযোগ আছে। তাদের ফাস্ট বোলারদের ওপর সম্মান রেখেই বলছি, তাদের ব্যাটিং দারুণ। তবে আমার ধারণা বুমরা, শামি এবং সিরাজ তিন পেসার নিয়ে তারা খেলবে। কুলদীপকেও দলে রাখা দরকার।’

পাকিস্তান ও ভারতের শক্তির জায়গাগুলো শোয়েব চিহ্নিত করেছেন এভাবে, ‘পাকিস্তান এই মুহূর্তে সুদৃঢ় একটি দল। তাদের বোলিং দুর্দান্ত। ব্যাটিংও বেশ স্থির। পাকিস্তানের ব্যাটিং আগের মতো নেই। আগে ছিল ৩ জন আউট হলে ব্যাটিং তাসের ঘরে পরিণত হতো। আমি মনে করি এই দুটি দল খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। বিশেষ করে দল দুটি যখন উপমহাদেশে খেলে। দুটি দলকেই উপমহাদেশে হারানো খুবই কঠিন কাজ। কিন্তু একটি দলকে তো ম্যাচ হারতেই হবে। তবে আমার বিশ্বাস পাকিস্তানের স্নায়ুচাপ নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা রয়েছে। আমার মনে হয় পাকিস্তান জয় পাবে। আমি আশা করি ভারত খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ দেবে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন ওদের প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যানকে তাড়াতাড়ি আউট করা যায়, যাতে ওরা চাপে পড়ে। এরপরও বলতে হয়, ভারতের ব্যাটিং লাইন কিন্তু অনেক লম্বা। ওদের ৭ নম্বর পর্যন্ত ব্যাটসম্যান আছে।’

এই ম্যাচ নিয়ে কোনো চাপ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শোয়েব। অভিজ্ঞতা কতটা অমূল্য, তা ব্যাখ্যা করে শোয়েব বলেছেন, ভারত-পাকিস্তানের এই ম্যাচটি একটি আগুনে লড়াই হতে যাচ্ছে’। যদি দল দুটি ফাইনালে ওঠে, আমি অবশ্যই দেখতে যাব। দুই দলের জন্যই শুভকামনা রইল। আমরা থ্রিলার দেখতে চেয়েছিলাম সেটা পেয়ে গেলাম। সম্ভবত দুই বিলিয়নের বেশি মানুষ এই ম্যাচ উপভোগ করবে। সবাইকে বলব, কোনো চাপ নেওয়ার দরকার নেই। এটা এমন ম্যাচ যার গল্প তুমি নিজের ছেলে-মেয়েদের শোনাবে। বলতে পারবে আমি বিরাট কোহলির বিপক্ষে খেলেছি। আমি নিজেও শোনাই। বলি যে, আমি শচীনের (টেন্ডুলকারের) বিপক্ষে খেলেছি; বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়। এই সুযোগগুলো তাই হাতছাড়া করা উচিত নয়। মন দিয়ে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে হবে।’