শহরের মোহাজেরপাড়ার নুরুল আলম ফের পাহাড় কাটায় বেপরোয়া তান্ডব
- আপডেট সময় : ০৯:৪২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭১ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজার সংবাদদাতা: কক্সবাজার শহরের মোহাজেরপাড়া এলাকায় মসজিদ সংলগ্ন ঠিক দক্ষিণ-পূর্বপাশ দিয়ে পরিবেশ আইন অমান্যকারী নুরুল আলম চরম ঝুঁকিতে দেদারসে পাহাড় কেটে ধ্বংস করছে পরিবেশ, সেই সাথে তৈরি হয়েছে ঝুঁকি। চলমান বর্ষা মৌসুমে নিচের বসতবাড়িও হুমকির মুখে আছে এমন আশঙ্কা করছেন নিচে বসবাসকারীরা। তার অবৈধভাবে পাহাড় কাটার এসব বেপরোয়া তান্ডব যেন কোনভাবেই থেমে নেই। পাহাড় কেটে বিল্ডিং করায় ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশ আইনে মামলা হলেও বন্ধ হচ্ছেনা পাহাড় কাটা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, কিছু পাহাড়ের পাশে কাপড়ের পর্দা আর ভিতরে যাওয়ার স্থানে টিনের দরজা লাগিয়ে দিয়ে কৌশলে দিনের পর দিন পাহাড় কাটার চিত্র দেখা গেছে। তাৎক্ষণিক ছবি ও ভিডিও নিলে নুরুল আলম ও তার স্ত্রী এসে বিভিন্ন স্থানীয় ও সাংবাদিকদের আত্বীয় পরিচয় দিয়ে নিউজ না করার জন্যেও আকুতি মিনতি করেন।
তবে নুরুল আলম ও তার পরিবারের দাবি তিনি দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করার কারণে পাশের পাহাড়টি নিজের মনে করে কেটে ঘর নির্মাণ করছে। তারা বলেন, এই পাহাড় কাটার কারণে মামলা হয়েছে।
ইতিপুর্বে তিনি এই পাহাড় কেটে বিশাল আকারের বিল্ডিং তৈরি করেছেন। নুরুল আলম বলেন, জীবনে প্রথম যখন মামলা খেয়েছি এখানে আর চুপ থেকে লাভ নেই। তাই সবকিছু ম্যানেজ করে কাটছি। এখানে ঝুঁকির কোন আশঙ্কা নেই। বর্ষার পানিতে এমনিতেও তলিয়ে যাবে। তবে আমি না ভাঙ্গার জন্য আগের কাট পাহাড়টি গতকাল একটু ঠিক করেছি কেটে।
স্থানীয় একজন মুদির দোকান ব্যবসায়ী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন নুরুল আলম দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কেটে পাঁচ তলা বিশিষ্ট ফাউন্ডেশন দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছেন । ঐসময়ও বিশাল আকারের পাহাড় কেটে ধ্বংস করছে। তবে তার বিল্ডিংয়র পাশ্বে যে পাহাড়টি রয়েছে বর্তমানে সেটি বেশিরভাগ রাতে কিংবা দিনের বেলায় কাটছে । তবে প্রশাসনের নজরে এখন তেমন দেখা যায়নি বলে নুরুল আলম এমন বেপরোয়া।
এনিয়ে আরও বিস্তারিত জানতে নুরুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার পিছনে পাহাড় নেই তবে আমার পাশে কে বা কারা পাহাড় কেটেছে জানিনা বলে ফোন কেটে দেন।
বিষয়টি নিয়ে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই প্রতিবেদকের কাছে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে নিউজ বন্ধ করার আপ্রাণ চেষ্টা চালান।
এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (কাউন্সিলর) সালাউদ্দিন সেতু বলেন, তিনি কোন কিছুই জানেনা তবে ঘটনার সত্যত্য প্রমান হলে আইগত ব্যবস্থার দাবি জানান। সেই সাথে প্রতিবেদকের সহযোগিতাও কামনা করেন।
এনিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার এর পরিদর্শক মোঃ মোশাইব কে ফোন করলে, তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। কারন আমি বাইরে ছিলাম, এখন শুনলাম দ্রুত ব্যবস্থা নেব।