সাংবাদিকতা পেশাকে আগের চেহারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করি
- আপডেট সময় : ০৭:৩৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
আসুন,সাংবাদিকতা পেশাকে আগের সৎ ও নির্ভীক চেহারায় ফিরে আনার চেষ্টা করি । যারা অপ-সাংবাদিকতা তৈরি করছে তারা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যেই তা করছে। এটা কোন সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্রও হতে পারে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে হবে। নইলে বড্ড বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে এ মহান পেশায়।
উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকতার নামে হচ্ছেটা কী? সাংবাদিক নামধারী অপ-সাংবাদিকদের বিষয়ে কিছু না বলে পারছি না । সাংবাদিকতা একটি স্পর্শকাতর পেশা। যে কারো হাতে যেভাবে ছুরি কাঁচ তুলে দিয়ে অপারেশনের সার্জন বানিয়ে দেয়া গ্রহণযোগ্য হয় না, একইভাবে যে কারো হাতে পরিচয়পত্র, কলম-ক্যামেরা-বুম তুলে দিয়ে তাকে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের দায়িত্ব দেয়াটাও গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।
অথচ দেখা যাচ্ছে যে, লেখাপড়ায় মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি, এলাকায় ভাঙ্গারী বিক্রেতা, দোকান কর্মচারী, নির্মাণ শ্রমিক ও টাউট হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা রাজধানীসহ জেলা শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অখ্যাত-কুখ্যাত পত্রিকা ও কথিত অনলাইনের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সাংবাদিক বনে যায়। আর প্রশাসন ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ছবি ভিডিও ফেসবুকে আপলোড দিয়ে তা হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে ওই টাউট সংবাদকর্মীরা সহজ সরল মানুষকে ব্লাকমেইলিং করছে। পত্রিকা বিক্রেতা থেকে স্বঘোষিত সাংবাদিক হওয়াসহ এসব টাউট সংবাদকর্মী মোটরসাইকেলে অথবা প্রাইভেটকারে সাংবাদিক বা প্রেস লিখে অবাধে চলাফেরা করছে। সরকারি বেসরকারি দফতরের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসব টাউট সংবাদকর্মীদের সমীহ করছে, আবার তাদের অপকর্মে সহযোগিতা নিচ্ছে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। শুধু এখানেই থেমে নেই টাউট হিসাবে চিহ্নিত এসব কথিত সংবাদকর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সম্যসাগ্রস্থ মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এসব সংবাদকর্মীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত মানুষদের আরো বিপদে ফেলছে। সময় এসেছে এদেরকে চিহ্নিত করবার। এরা আসলে সমাজ সুব্যবস্থার শত্রু। আসুন, দাউদকান্দি তিতাস উপজেলায় আমরা এদেরকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে এদের প্রতিহত করি, পেশার মর্যাদা রক্ষায় কাজ করি।
লেখক: জাকির হোসেন হাজারী,সাধারণ সম্পাদক দাউদকান্দি প্রেস ক্লাব,কুমিল্লা।