সেপ্টেম্বর জুড়ে টার্গেট কিলিং এবং নাশকতার নীলনকশায় জামাত
- আপডেট সময় : ১০:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৪০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দল জামাত ইসলাম। এ দলটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য আবার নতুন করে মাঠে নামছে। গত কিছুদিন আগে জামাত দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে কর্মীসভা করেছিল। এরপর দলটি বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতি চায়। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই অনুমতি দেয়নি। এর মধ্যে জামাতের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং যুদ্ধাপরাধী দেলু রাজাকার হরফে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী স্বাভাবিকভাবে হাসপাতালে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর জামাত এটিকে ইস্যু বানাতে চেয়েছিল’। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এখন জামাত নতুন পরিকল্পনা আঁটছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে বিভিন্ন স্থানে টার্গেট কিলিং এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নাশকতা করার একটি নীলনকশা প্রণয়ন করেছে জামাত এমন খবর পাওয়া গেছে বিভিন্ন দায়িত্বশীল সূত্র থেকে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলেছে, জামাতের এ সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামাতকে প্রতিহত করার জন্য যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের যে জঙ্গি সংগঠনগুলো সক্রিয় রয়েছে তার সঙ্গে জামাতের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই প্রত্যেকটি জঙ্গী সংগঠনের নেতৃত্বে যারা আছে তারা কোনো না কোনোভাবে জামাতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। এখন প্রকাশ্য রাজনীতির অনুমতি না পেয়ে জামাত গুপ্তহত্যা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায়।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জামাত এবং বিএনপি অভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। যেহেতু বিএনপি এক দফা আন্দোলন ঘোষণা করেছে এবং এক দফা দাবিতে আন্দোলন দমাতে পারছে না তাই তারা এখন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে জামাতকে ব্যবহার করতে চাইছে। তাদের পরিকল্পনা এরকম যে জামাত একটা নাশকতা, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি করে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলবে। এই সুযোগে বিএনপি তার রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। অতীতেও জামাতকে এরকম কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। যদিও প্রকাশ্যে বিএনপি বলছে, জামাতের সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং তারা বলছে, ২০১৮ নির্বাচনের পর থেকেই জামাতের সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। ২০ দলীয় জোটকেও বিএনপি এখন কার্যকর দেখাচ্ছে না। কিন্তু জামাতের সঙ্গে বিএনপির গোপন যোগাযোগ রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। আন্তর্জাতিক চাপ এবং সাধারণ মানুষের নেতিবাচক ধারণার কারণে যুদ্ধাপরাধী দল থেকে বিএনপি নিজেদেরকে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে প্রকাশ্যে। কিন্তু গোপনে জামাত এবং বিএনপি অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানা গেছে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, জামাতের পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত যে জঙ্গি সংগঠন গুলো আছে সেগুলোকে গত কিছুদিন ধরেই সক্রিয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেশ কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে এবং এই আস্তানা থেকে বেশকিছু সক্রিয় জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে জামাতের যে ক্যাডার বাহিনী রয়েছে তারা এখনও প্রস্তুতি নিচ্ছে’।
গত কিছুদিন ধরে জামাত কোন প্রকাশ্য কর্মসূচিতে নেই। বিভিন্ন সূত্রগুলোর কাছে খবর আছে, জামাত গোপনে গোপনে আসলে নাশকতার পরিকল্পনা আটঁছে। আর সেই সমস্ত পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি এবং ব্যক্তিদের ওপর আক্রমণ করা, বিভিন্ন স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করা। এই ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হবে, জনমনে আতঙ্ক হবে। এই সুযোগে রাজনীতির জল ঘোলা করা যাবে এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপি এবং জামাত এগুচ্ছে। এখন দেখার বিষয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিভাবে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে।