হিলারি-ওবামার বাংলাদেশ সফর: ড. ইউনূসের আরেকটি “স্ট্যান্টবাজি”
- আপডেট সময় : ০৭:২০:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩০ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: ড.মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী’। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন এই তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এ ধরনের কোনো আগ্রহের স্বীকারোক্তি বা তথ্য পাওয়া যায়নি। বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটন দুজনই টুইটার অ্যাকাউন্টে অত্যন্ত সক্রিয় এবং তাদের বিপুল পরিমাণ ফলোয়ার রয়েছে। তারা টুইটারের সার্বক্ষণিকভাবে তাদের কর্মকাণ্ড এবং তাদের বিভিন্ন বিষয়ে অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। যেমন-হিলারি ক্লিনটন ড. ইউনূসের পক্ষে যে ১৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতি ছিল সেই বিবৃতিটি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে দিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ড. ইউনূসের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মামুন যে দাবি করেছেন যে হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামা বাংলাদেশে ড. ইউনূসের বিচার পর্যবেক্ষণ করতে আসতে আগ্রহী এরকম এই দাবির সমর্থনে এই দুইজনের টুইটার বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো ইতিবাচক ও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিভিন্ন সময় নানা রকম চমক দেখিয়েছেন, স্ট্যান্ডবাজি করেছেন। অনেক সময় অসত্য বক্তব্য দিয়ে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করছেন। এর আগেও তার এরকম স্ট্যান্টবাজির প্রচুর নমুনা ছিল। যেমন-২০০৬ সালে শান্তিতে যৌথভাবে তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে। এই নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন, বিশ্ব থেকে দারিদ্র বিদায় হবে, দারিদ্র মিউজিয়ামে চলে যাবে। কিন্তু বিশ্বের দারিদ্র্যের হার আরও বেড়েছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই সমস্ত অসত্য পূর্বাভাস নিয়ে কেউ চ্যালেঞ্জ জানায়নি। এরকম বহু উদাহরণ দেওয়া যায় যেখানে ইউনূস তার ব্যক্তিগত প্রচারণা এবং ইমেজ বৃদ্ধির জন্য অসত্য তথ্য প্রচার এবং জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেছেন।’
এখন ড. ইউনূস হিলারি ক্লিনটন এবং বারাক ওবামাকে নিয়েও তিনি কি একইরকম কৌশল অবলম্বন করছেন কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ড. ইউনূসের মামলা পর্যবেক্ষণের জন্য যদি বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটন সত্যি সত্যি বাংলাদেশে আসতেন তাহলে তো তারা সেটি টুইট অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করতেন। কিন্তু এরকম কোন টুইট বার্তা তাদের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। এছাড়াও এই ধরনের বিশাল ঘটনার পরপরই তাদের ব্যক্তিগত কর্মচারী বা স্টাফরা এনিয়ে আনুষ্ঠানিক মানিক ঘোষণা দিত। কিন্তু এ ধরনের ঘোষণা কারও পক্ষ থেকেই দেওয়া হয়নি’।
বারাক ওবামার টুইট অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা গেছে তিনি সর্বশেষ টুইট করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধের মূল্য বিষয়ে একটি টুইট বার্তা এবং এই টুইট বার্তা একদিন আগে করা। তিন দিন আগে বারাক ওবামা মিশেল ওবামার একটি টুইট রিটুইট করেছেন। এর চার দিন আগে বারাক ওবামা মার্টিন লুথার কিংয়ের ওপর একটি মন্তব্য করেছিলেন। অর্থাৎ তার টুইট অ্যাকাউন্টে ড. ইউনূসকে নিয়ে কোনো টুইট নেই। তিনি বাংলাদেশে আসবেন, মামলা পর্যবেক্ষণ করবেন এই ধরনের কোন কোনো বক্তব্য দেখা যায়নি’।
হিলারি ক্লিনটনের একটি অফিশিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। সেই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটটিতে হিলারি ক্লিনটন বিভিন্ন কর্মসূচি বা কার্যক্রম এবং প্রকল্প গুলো সম্পর্কে অবহিত করেন জনগণকে। সেখানেও তিনি বাংলাদেশে আসবেন এ ধরনের কোনো টুইট করেননি। হিলারি ক্লিনটনের টুইট অ্যাকাউন্টে দেখা যায়, গতকাল তিনি ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসদেরকে ওষুধের ব্যাপারে একটি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ডেমোক্রেট কংগ্রেসম্যানদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিন দিন আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি টুইট করেছেন। ওইদিনই তিনি ড. ইউনূসের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য একটি টুইট বার্তা করেছিলেন। এখন প্রশ্ন হল যে ড. ইউনূসের আইনজীবী এ ধরনের মন্তব্য কোত্থেকে পেলেন এবং এই ধরনের সিদ্ধান্ত আজও হিলারি বা বারাম ওবামা দিয়েছেন কিনা। কারণ ড. ইউনূস অতীতে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ব্যবহার করেছেন। যারা বাস্তবে এই সমস্ত ঘটনার বিন্দুবিসর্গও জানেন না।