জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ
- আপডেট সময় : ০৭:১৬:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৫৫ বার পড়া হয়েছে
জয়পুরহাট সংবাদদাতা: জয়পুরহাটে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার মঞ্চে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন কর্তৃক জেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল প্রধানের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে গোলজার হোসেনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে উজ্জল প্রধানের অনুসারি ও সমর্থকরা। শনিবার (২রা সেপ্টেম্বর) সন্ধার আগে শহরের রেলগেট এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ০১লা সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে র্যালী শেষে শহরের নতুনহাট এলাকায় এক আলোচনা সভায় মঞ্চে বক্তব্য প্রদানকালে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম মোজাহার আলী প্রধানের বড় ছেলে উজ্জল প্রধানের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে গালিগালাজ ও লাঞ্চিত করে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয় জেলা বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক গোলজার হোসেন। পরে মঞ্চের পিছনে উভয়ের মধ্যে চর-থাপ্পর ও ধাক্কাধাক্কি হয়।
এ ঘটনায় জেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল প্রধানের অজ টুুধষ চৎড়ফযধহ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে ৪৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপসহ (ভিডিওতে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া ও ধাক্কার দৃশ্য) প্রিয় জয়পুরহাট জেলা, থানা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী ও প্রিয় ভাই-বোনেরা গতকাল কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছিল। বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আমাকে এক মিনিটের মধ্যে বক্তব্য শেষ করতে বলেছিল আমি চেষ্টাও করেছিলাম এক মিনিটের মধ্যেই বক্তব্যে মধ্যে থাকতে। কিন্তু কথা হল এই যে জেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা কেন্দ্রীয় রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন সাহেব থাকা সত্ত্বেও আমি কি বক্তব্য ভুল করেছি আমার কি বক্তব্য ভুল ছিল আমি এখন পর্যন্ত বুঝে উঠতে পারিনি। আমার বাবা সাবেক এমপি মোজাহার আলী প্রধানের হাতে আমি আমার জীবনে ৩৩ বছর রাজনৈতিক জীবনে আমি কখনো দেখিনি আব্বার দ্বারা কখনো কেউ লাঞ্ছিত হয়েছে। বরং আব্বায় লাঞ্চিত হয়েছে মানুষের কাছে আমার ভাগ্য সেটি ঘটলো শিক্ষিত নামের একজন অহংকারী নিগৃহীত লোকের দ্বারা যা আমি সত্যিই গতকাল থেকে মর্মাহত ও লজ্জিত। আমার প্রাণপ্রিয় সংগঠন যুবদলের ভাইয়েরা ও কালাই, ক্ষেতলাল আক্কেলপুর, জয়পুরহাট সদর সহ মহিলা দল শ্রমিক দল জাসাস ছাত্রদল যুবদল সহ সকলের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বিশেষ দ্রষ্টব্য এই ধরনের লোকের নেতৃত্ব থাকলে আশা করি আমার মত আরও কেউ লাঞ্ছিত হবেন। সুতরাং দল করতে আসলে হিসাব নিকাশ করে চলবেন আল্লাহ হাফেজ ভালো থাকবেন সবাই। পরিশেষে একটি কথাই এ লজ্জা আমার নয় সমগ্র জয়পুরহাট জেলা বিএনপির। এই লেখা পোস্ট করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে তার শুভাকাংঙ্খি ও সমর্থকরা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
এ ব্যাপারে জেলা যুব দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জল প্রধানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আসলে কি অপরাধে আমার সাথে এমন করা হলো আমি বুঝতে পারছিনা। এ ঘটনার পরই বিষয়টি সুরাহার জন্য বিএনপি উচ্চপদস্থ নেতাদের বললেও এখন পর্যন্ত আমি কোন প্রতিকার পাইনি। আর কুশপুত্তলিকা দাহ করার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি দলের মধ্যে ভাঙন চাইনা। আমাকে কেন হাজারো নেতাকর্মীর মাঝে লাঞ্চিত ও হেয়প্রতিপন্ন করা হলো আমি এর প্রতিকারে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, উজ্জল প্রধানের অনুরোধে তাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিয়েছি। মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে কি কারণে সেটি তার আপন দুই ভাই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, তাদের কাছ থেকেই শুনেন। তারাও দায়িত্বশীল নেতা।