নাইজারে অভ্যুত্থান: ফ্রান্সের ঘাঁটির সামনে লাখো মানুষ
- আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৩০ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে অবস্থিত ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির সামনে জড়ো হয়েছেন লাখ লাখ জান্তা সমর্থক। রাষ্ট্রদূত এবং ফরাসি সেনাদের অবলিম্বে নাইজার ছাড়ার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন তারা।’
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
রাজধানী নিয়মিতে থাকা আল জাজিরার প্রতিবেদক আহমেদ ইদ্রিস বলেছেন, রাষ্ট্রদূত এখনও দেশত্যাগ না করায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা।
গত ২৬ জুলাই পশ্চিমা ও ফ্রান্সপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজোমকে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে অবরুদ্ধ করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক জান্তা। এরপরই দেশটিতে ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব প্রকাশ পেতে থাকে। নাইজারের সামরিক বাহিনী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবার অভিযোগ, সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স নাইজারকে শোষণ করে আসছে। আর এ কারণে দেশটিতে অবস্থানরত ফরাসি সেনাদের চলে যাওয়ার দাবি করেছেন তারা।
আলজাজিরা জানিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই ফ্রান্সের ঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ চলছিল। কিন্তু শনিবার সেখানে সমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় সমাবেশ শুরুর কথা থাকলেও সকাল ১০টার মধ্যে হাজার হাজার মানুষ সেখানে চলে আসেন। এ বিষয়টিতে অবাক হয়ে যান সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও।
বিক্ষোভকারীরা ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সালভিন ইত্তেসহ সকল ফরাসি সেনাকে নাইজার ছাড়ার দাবি জানিয়েছেন’।
সাংবাদিক আহমেদ ইদ্রিস আরও জানিয়েছেন, শনিবারের পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, সাধারণ মানুষ ফরাসি সেনাদের হটাতে নিজেদের হাতে সবকিছু তুলে নিচ্ছেন।’
গত ২৬ আগস্ট ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাইজার ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল সামরিক জান্তা। কিন্তু সেই নির্দেশনা তিনি মানেননি। রাষ্ট্রদূত ইত্তে নির্দেশ অমান্য করায় দেশটির সাধারণ মানুষও ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন।’
তবে ফ্রান্সের ঘাঁটির ভেতর যেন সাধারণ মানুষ ঢুকতে না পারেন সেজন্য সেখানে সেনাবাহিনীর আরও সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। ওই ঘাঁটিতে প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সেনা অবস্থান করছেন।’
সাহারা মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত বিস্তীর্ণ দেশ নাইজার। ফ্রান্সের কাছ থকে ১৯৬০ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। স্বাধীনতার পর বেশ কয়েকটি অভ্যুত্থানের কারণে দেশটির রাজনীতিতে অস্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করেছিল। নতুন করে সামরিক অভ্যুত্থানে অনিশ্চিয়তার মুখে দেশটি।