ঢাকা ০৯:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ড.ইউনূস সাহেব আসলে কী চান?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০৩৭ বার পড়া হয়েছে

ড.মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ীর নাম।এবং বাংলাদেশের একটি বহুল আলোচিত নাম।কয়দিন পরপর তিনি নানা প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে আলোচনার টপিক হয়ে যান।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে নিজ দেশের ছোট বড় কোনো ইস্যুতে আমরা তাঁকে পাইনা।তবে ইদানিং সংবাদপত্রের হেডলাইন হচ্ছে “আবারও আলোচনায় ড. ইউনূস”।এই “আবারও”মানে কি?পিছনে ফিরলেই উত্তরটা পাওয়া যাবে।আসলে তিনি প্রতিবার নির্বাচনের আগেই একটা করে সংবাদ হওয়ার মত উপকরণ তৈরি করেন।

তিনি শান্তিতে নোবেল পেলেও দেশের চরম অশান্তির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজে দল করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেটা প্রচলিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে।নোবেল জয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকার আসার পরপরই তিনি দল গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন।স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট হবেন।দেশের মানুষতো অত বোকা নয় যে নোবেল পেলেই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।

দেশের কোনো ক্রান্তিকালে আমাদের শান্তির দূতকে পাওয়া না গেলেও নিজের সকল দুর্নীতি ও বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে ঠিকই বিদেশী বন্ধুদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তিনি।এ কাজটি তিনি সবসময়েই করে আসছেন।

এর আগেও বহুবার তার বন্ধু সেই সময়কার ক্ষমতাশালী ফার্স্টলেডি এবং পরবর্তীতে ওবামা প্রশাসনের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিংটনকে দিয়েও সরকারের উপর নানা চাপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।সফল হয়েছেন কি কখনও?হতে পারেননি।বরং নিজের নাম ও সুনামের প্রতি একপ্রকার অবিচার তিনি নিজেই করে চলেছেন ক্রমাগত।

এখন আসা যাক চলমান বিষয়ে।ড. ইউনূস সাহেব একজন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব।কিন্তু তার মানে কি এই যে তিনি দেশের সকলপ্রকার আইন আদালত বা নিয়ম কানুনের ঊর্ধ্বে?দেশেতো ভিআইপিদের জন্য কোনো আলাদা আইন করা হয়নি জনাব ড. ইউনুস সাহেবদের জন্য।

এবার আসি বিদেশী বন্ধুদের বিবৃতি প্রসঙ্গে।যেসব নোবেল জয়ীরা বিবৃতি দিয়েছেন তারা কি জানেননা যে প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন ও নিয়ম আছে যা মেনে চলতে একজন নাগরিক বাধ্য?তাঁরা কি তাদের দেশের নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেন?তাদের দেশে কি শ্রমিক ঠকানো,কর ফাঁকি দেয়া জায়েজ?

আমি নিশ্চিত যে সই করা মানুষগুলোই নিজের দেশে আইন মেনে চলে।আন্তর্জাতিক আইনের কোথাও কি বলা আছে?একজন ব্যক্তি নোবেল পেলেই তিনি আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাবেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশের কেউ কোন মামলা করতে পারবে না?

বিশিষ্ট বুদ্ধাদের মতামত আবশ্যক দরকার যে আচ্ছা!বিদেশীরা কি দেশের সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে?আমাদের সরকার কি সেইসব নোবেল বিজয়ীদের কাছে কোন বন্ডসই দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে?

ড. ইউনূস সাহেব আসলে কী চান তা আমার বোধগম্য নয়।তিনি কি কর ফাঁকি দিতে চান,শ্রমিকের পাওনা মেরে দিতে চান,দেশের নানাবিষয়ে কলকাঠি নাড়তে চান,নাকি প্রভাব খাটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চান-মানুষজন এটাই জানতে চায়।ড. ইউনূস সাহেব আসলে কী চান?

লেখক: গোলাম মোস্তফা, গণমাধ্যম কর্মী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ড.ইউনূস সাহেব আসলে কী চান?

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ড.মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল জয়ীর নাম।এবং বাংলাদেশের একটি বহুল আলোচিত নাম।কয়দিন পরপর তিনি নানা প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে আলোচনার টপিক হয়ে যান।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে নিজ দেশের ছোট বড় কোনো ইস্যুতে আমরা তাঁকে পাইনা।তবে ইদানিং সংবাদপত্রের হেডলাইন হচ্ছে “আবারও আলোচনায় ড. ইউনূস”।এই “আবারও”মানে কি?পিছনে ফিরলেই উত্তরটা পাওয়া যাবে।আসলে তিনি প্রতিবার নির্বাচনের আগেই একটা করে সংবাদ হওয়ার মত উপকরণ তৈরি করেন।

তিনি শান্তিতে নোবেল পেলেও দেশের চরম অশান্তির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজে দল করে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেটা প্রচলিত রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে।নোবেল জয়ের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকার আসার পরপরই তিনি দল গড়ার কাজে হাত দিয়েছিলেন।স্বপ্ন ছিল প্রেসিডেন্ট হবেন।দেশের মানুষতো অত বোকা নয় যে নোবেল পেলেই ক্ষমতায় নিয়ে আসবে।

দেশের কোনো ক্রান্তিকালে আমাদের শান্তির দূতকে পাওয়া না গেলেও নিজের সকল দুর্নীতি ও বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে ঠিকই বিদেশী বন্ধুদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন তিনি।এ কাজটি তিনি সবসময়েই করে আসছেন।

এর আগেও বহুবার তার বন্ধু সেই সময়কার ক্ষমতাশালী ফার্স্টলেডি এবং পরবর্তীতে ওবামা প্রশাসনের নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিংটনকে দিয়েও সরকারের উপর নানা চাপ দেয়ার চেষ্টা করেছেন।সফল হয়েছেন কি কখনও?হতে পারেননি।বরং নিজের নাম ও সুনামের প্রতি একপ্রকার অবিচার তিনি নিজেই করে চলেছেন ক্রমাগত।

এখন আসা যাক চলমান বিষয়ে।ড. ইউনূস সাহেব একজন নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব।কিন্তু তার মানে কি এই যে তিনি দেশের সকলপ্রকার আইন আদালত বা নিয়ম কানুনের ঊর্ধ্বে?দেশেতো ভিআইপিদের জন্য কোনো আলাদা আইন করা হয়নি জনাব ড. ইউনুস সাহেবদের জন্য।

এবার আসি বিদেশী বন্ধুদের বিবৃতি প্রসঙ্গে।যেসব নোবেল জয়ীরা বিবৃতি দিয়েছেন তারা কি জানেননা যে প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইন ও নিয়ম আছে যা মেনে চলতে একজন নাগরিক বাধ্য?তাঁরা কি তাদের দেশের নিয়ম লঙ্ঘন করে চলেন?তাদের দেশে কি শ্রমিক ঠকানো,কর ফাঁকি দেয়া জায়েজ?

আমি নিশ্চিত যে সই করা মানুষগুলোই নিজের দেশে আইন মেনে চলে।আন্তর্জাতিক আইনের কোথাও কি বলা আছে?একজন ব্যক্তি নোবেল পেলেই তিনি আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যাবেন এবং তার বিরুদ্ধে দেশের কেউ কোন মামলা করতে পারবে না?

বিশিষ্ট বুদ্ধাদের মতামত আবশ্যক দরকার যে আচ্ছা!বিদেশীরা কি দেশের সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে?আমাদের সরকার কি সেইসব নোবেল বিজয়ীদের কাছে কোন বন্ডসই দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে?

ড. ইউনূস সাহেব আসলে কী চান তা আমার বোধগম্য নয়।তিনি কি কর ফাঁকি দিতে চান,শ্রমিকের পাওনা মেরে দিতে চান,দেশের নানাবিষয়ে কলকাঠি নাড়তে চান,নাকি প্রভাব খাটিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চান-মানুষজন এটাই জানতে চায়।ড. ইউনূস সাহেব আসলে কী চান?

লেখক: গোলাম মোস্তফা, গণমাধ্যম কর্মী।