ঢাকা ০৮:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টেকনাফে মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অস্ত্রদিয়ে ফাঁসানো নিরপরাধ শহিদুল্লাহর মুক্তির দাবি নেতাদের শিক্ষক উন্নয়নের জন্য ইউনেস্কো-হামদান পুরস্কার পেয়েছে ‘গুড নেইবারস বাংলাদেশ’ বেলকুচিতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালিত  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ভন্ড কবিরাজের বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান   বিশ্ব শিক্ষক দিবসে নিজ সহকর্মিদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন গুণী শিক্ষক শওকত আলী বদির ক্যাশিয়ার ফারুককে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হলেন র‍্যাব সদস্যরা কাজিপুরের চরাঞ্চলের বিদ্যুতে শুভংকরের ফাঁকি ! চাহিদা ১০ বরাদ্দ মাত্র ২ মেগাওয়াট!  স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ  কাজিপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অফিস সহকারি গ্রেপ্তার বেলকুচিতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সাথে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি চায় পালাতে : তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সাথে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলবো মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’

মঙ্গলবার অপরাহ্নে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পুর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে যে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সাথে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।’

জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়। আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সাথে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।’

সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিলো পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলো, এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন- “কথা বেশি নয়, কথা একটাই, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে”। কিন্তু আসলে আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেবের নিজের পতন এবং বিএনপির পতন দুটিই অবলোকন করবেন।’

বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ কি ব্যবস্থা নেবে এবং বিএনপি ছাড়া নির্বাচন কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে -এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিলো ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করে নাই তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সাথে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি চায় পালাতে : তথ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সাথে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলবো মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’

মঙ্গলবার অপরাহ্নে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পুর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে যে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে। মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সাথে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।’

জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে, মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়। আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সাথে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।’

সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিলো পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলো, এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে। মির্জা ফখরুল সাহেব সম্প্রতি বলেছেন- “কথা বেশি নয়, কথা একটাই, এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে”। কিন্তু আসলে আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেবের নিজের পতন এবং বিএনপির পতন দুটিই অবলোকন করবেন।’

বিএনপি নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ কি ব্যবস্থা নেবে এবং বিএনপি ছাড়া নির্বাচন কতোটা গ্রহণযোগ্য হবে -এ প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিলো ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি এবং তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করে নাই তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।’